খুঁজুন
সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ২৮ আশ্বিন, ১৪৩২

বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ফরিদগঞ্জের কৃতি সন্তান হুমায়ুন কবির বেপারী

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: শনিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৩৭ অপরাহ্ণ
বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ফরিদগঞ্জের কৃতি সন্তান হুমায়ুন কবির বেপারী

​চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ পৌরসভার কেরোয়া গ্রামের কৃতি সন্তান হুমায়ুন কবির বেপারী তার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর প্রতি অবিচল আনুগত্য ও ত্যাগের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

৯০-এর দশকে রাজনীতিতে পা রাখা এই নেতা দলের ক্রান্তিকালে আন্দোলন-সংগ্রামের পাশাপাশি সাংগঠনিক ও সাহিত্য জগতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন।

​​হুমায়ুন কবির বেপারী দীর্ঘকাল ধরে বিএনপির তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায় পর্যন্ত বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করে তার সাংগঠনিক দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন। ​তিনি ছিলেন চাঁদপুর জেলা বিএনপি’র সাবেক সম্মানীত সদস্য এবং স্থানীয় পর্যায়ে ফরিদগঞ্জ পৌর বিএনপির সাবেক বৃক্ষরোপণ বিষয়ক সম্পাদক।

​দলের সহযোগী সংগঠনগুলোতেও তার নেতৃত্ব ছিল উল্লেখযোগ্য।

রাজনৈতিক জীবনে​ আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকায় তিনি বহুবার কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন, কিন্তু দলীয় আদর্শ থেকে কখনো বিচ্যুত হননি।

বিশেষ করে, ১/১১ সরকারের সময় যখন বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কারাবন্দী ছিলেন, তখন তাদের মুক্তি আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

এই সময়ে তিনি খালেদা জিয়া মুক্তি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে দলকে সংগঠিত রাখেন।

​তাঁর রাজনৈতিক সক্রিয়তার কারণে ক্ষমতাসীন দলের শাসনামলে তাকে দুইবার কারাবরণ করতে হয়েছে, যা তাঁর ত্যাগের রাজনীতিকেই দৃঢ়ভাবে প্রমাণ করে।

​​রাজনীতির পাশাপাশি দলীয় ডকুমেন্টেশন ও প্রকাশনার ক্ষেত্রেও হুমায়ুন কবির বেপারীর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বই সম্পাদনা করেন, যা স্বয়ং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কর্তৃক উদ্বোধন হয়েছিল।

এছাড়াও, তাঁর তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত আরও তিনটি বই উদ্বোধন করেন তারেক রহমান। দলের বিভিন্ন তথ্যচিত্র (ডকুমেন্টারি) নির্মাণেও তিনি কারিগরি সহায়তা দিয়েছেন।

​কেরোয়া গ্রামের এই কৃতি সন্তান তাঁর কর্মনিষ্ঠা, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং ত্যাগের মধ্য দিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে এক অনুকরণীয় উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন।

সয়াবিনে লিটারপ্রতি ৬ টাকা বেড়েছে

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:৫৭ অপরাহ্ণ
সয়াবিনে লিটারপ্রতি ৬ টাকা বেড়েছে

বাজারে আবারও বাড়ল ভোজ্যতেলের দাম। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে ৬ টাকা, পাম তেলের দাম বেড়েছে ১৩ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৩ টাকা।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিভিওআরভিএমএ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নতুন মূল্যসূচি ঘোষণা করে।

নতুন দামে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৮৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৯৫ টাকা, খোলা সয়াবিন ১৭৪ টাকা থেকে বেড়ে ১৭৭ টাকা, এবং পাম তেল ১৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৬৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৪৫ টাকা।

সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নতুন এই দাম বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা ও সম্মতির ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়েছে।

তবে এর আগে গত আগস্টে ব্যবসায়ীরা প্রতি লিটারে ১০ টাকা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিলেও সরকার মাত্র ১ টাকা বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছিল। সে সময় ক্ষুব্ধ হয়ে ব্যবসায়ীরা কোনো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেননি। এবার নতুন করে বৈঠকের মাধ্যমে তারা মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেন।

মঙ্গলবার ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি ঘোষণা এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:৪১ অপরাহ্ণ
মঙ্গলবার ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি ঘোষণা এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে সারাদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন শিক্ষকরা। একইসঙ্গে, শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলছে অবস্থান কর্মসূচি।

আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট। এছাড়া শহীদ মিনারে অবস্থানসহ কর্মবিরতিও চলবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

২০ শতাংশ হারে বাড়ি ভাড়া ভাতা বৃদ্ধি, চিকিৎসা ভাতা বাবদ ১ হাজার ৫০০ টাকা এবং শিক্ষকদের আন্দোলনে পুলিশের বল প্রয়োগের প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন, দাবি মেনে না নিলে মার্চ সচিবালয়ের পর মার্চ টু যমুনার মতো কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন।

১৭ কোটি মানুষকে খাওয়াই, আশ্রয় দিচ্ছি ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকে

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:২৪ অপরাহ্ণ
১৭ কোটি মানুষকে খাওয়াই, আশ্রয় দিচ্ছি ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকে

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ ছোট ভূমির দেশ। আয়তনে ইতালির অর্ধেক। কিন্তু আমরা ১৭ কোটি ৩০ লাখ মানুষকে খাওয়াই, পাশাপাশি আশ্রয় দিচ্ছি ১৩ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে, যারা মিয়ানমারে সহিংসতার মুখে পালিয়ে এসেছে।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) ইতালির রোমে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ব খাদ্য ফোরামের সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

লিখিত বক্তব্যে ড. ইউনূস বলেন, আমরা ধান উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি, যা আমাদের প্রধান খাদ্যশস্যে। আমরা বিশ্বের শীর্ষ ধান, শাকসবজি ও মিঠাপানির মাছ উৎপাদনকারী দেশগুলোর একটি। আমাদের কৃষকেরা ফসল চাষের ঘনত্ব ২১৪ শতাংশে উন্নীত করেছেন। আমরা ১৩৩টি জলবায়ু-সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করেছি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা কৃষক মেকানাইজেশনে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দিয়েছি। শক্তিশালী খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থাগড়ে তুলেছি। শিশুদের খর্বতা কমেছে, খাদ্যতালিকা বৈচিত্র্যময় হয়েছে মাটি, পানি ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষার মাধ্যমে। কৃষি আরও সবুজ হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি আনন্দিত যে ‘ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালাচারাল অরগানাইজেশন (এফএও)’ কর্তৃক ২০১৬ সালে গঠিত ‘নোবেল পিস লরিয়েটস অ্যালায়েন্স ফর ফুড সিকিউরিরটি অ্যান্ড পিস’, যার একজন সদস্য আমি; সেটি এখন এফএও’র একটি মাইলফলক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমি আশা করি এটি আরও নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করবে।