খুঁজুন
সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ২৮ আশ্বিন, ১৪৩২

চাঁদপুরে ৪৫ হাজার জেলেকে খাদ্য সহায়তা প্রদান

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:০৯ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে ৪৫ হাজার জেলেকে খাদ্য সহায়তা প্রদান

চাঁদপুর জেলায় নিষেধাজ্ঞার সময়ে মা ইলিশ আহরণ থেকে বিরত থাকা ৪৫ হাজার ৬শ’ ১৫ জেলেকে মানবিক খাদ্য সহায়তা হিসেবে (বিজিএফ) ২৫ কেজি করে চাল প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার সকালে জেলা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

জেলেদের এসব খাদ্য সহায়তা দ্রুত সময়ের মধ্যে সরবরাহ করার জন্য গত ২৯ অক্টোবর জেলা প্রশাসক মেঘনা উপকূলীয় মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, সদর ও হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর চিঠি দিয়েছেন। ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয় ৩ অক্টোবরের মধ্যে যাতে নিবন্ধিত জেলেরা খাদ্য সহায়তা পান।

জেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, এ বছর জেলেদের হালনাগাদ সংখ্যা হিসেবে ৪৩টি পৌরসভা ও ইউনিয়নের ৪৫হাজার ৬১৫জন জেলের জন্য খাদ্য সহায়তার বরাদ্দ আসে ১১৪০.৩৭৫ মেট্টিক টন চাল। এসব চাল গুদাম থেকে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য দুই লাখ ৮৫ হাজার ৯৩টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। টন প্রতি পরিবহন ব্যয় ধরা হয় ২৫০টাকা।

হাইমচর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা এ.বি.এম. আশরাফুল হক বলেন, আমাদের উপজেলায় ১২হাজার ৩শ’ ৩ পরিবারের মাঝে খুবই সু-শৃঙ্খলভাবে খাদ্য সহায়তা চাল বিতরণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন জেলে এই বিষয়ে অভিযোগ করেননি।

সকালে চান্দ্রা ইউনিয়নের জেলেদের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়। ওই ইউনিয়নের জেলে সাইফুল ইসলাম বলেন, এবার চাল ওজনে ঠিক পেয়েছি। কারণ দুইজন জেলেকে ২৫ কেজি করে ৫০ কেজির বস্তা দেয়া হয়েছে। যার ফলে আলাদা করে ওজন দিতে হয়নি।

একই এলাকার জেলে বাবুল মিজি বলেন, চাল পেয়ে আমাদের উপকার হয়েছে। কারণ ২২ দিন আমাদের বেকার থাকতে হবে। তবে এই সহায়তা আরো বৃদ্ধি করা দরকার।

সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, পূজার বন্ধের কারণে সদরে চাল বিতরণ কার্যক্রম কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তবে নিবন্ধিত সব জেলের চাল পাওয়ার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করেছি।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ বলেন, প্রত্যেক উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে জেলেদের (বিজিএফ) চাল বিতরণ করা হয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা এই কাজটি সম্পন্ন করার চেষ্টা করেছি।

সয়াবিনে লিটারপ্রতি ৬ টাকা বেড়েছে

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:৫৭ অপরাহ্ণ
সয়াবিনে লিটারপ্রতি ৬ টাকা বেড়েছে

বাজারে আবারও বাড়ল ভোজ্যতেলের দাম। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে ৬ টাকা, পাম তেলের দাম বেড়েছে ১৩ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৩ টাকা।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিভিওআরভিএমএ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নতুন মূল্যসূচি ঘোষণা করে।

নতুন দামে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৮৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৯৫ টাকা, খোলা সয়াবিন ১৭৪ টাকা থেকে বেড়ে ১৭৭ টাকা, এবং পাম তেল ১৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৬৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৪৫ টাকা।

সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নতুন এই দাম বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা ও সম্মতির ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়েছে।

তবে এর আগে গত আগস্টে ব্যবসায়ীরা প্রতি লিটারে ১০ টাকা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিলেও সরকার মাত্র ১ টাকা বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছিল। সে সময় ক্ষুব্ধ হয়ে ব্যবসায়ীরা কোনো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেননি। এবার নতুন করে বৈঠকের মাধ্যমে তারা মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেন।

মঙ্গলবার ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি ঘোষণা এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:৪১ অপরাহ্ণ
মঙ্গলবার ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি ঘোষণা এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে সারাদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন শিক্ষকরা। একইসঙ্গে, শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলছে অবস্থান কর্মসূচি।

আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট। এছাড়া শহীদ মিনারে অবস্থানসহ কর্মবিরতিও চলবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

২০ শতাংশ হারে বাড়ি ভাড়া ভাতা বৃদ্ধি, চিকিৎসা ভাতা বাবদ ১ হাজার ৫০০ টাকা এবং শিক্ষকদের আন্দোলনে পুলিশের বল প্রয়োগের প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন, দাবি মেনে না নিলে মার্চ সচিবালয়ের পর মার্চ টু যমুনার মতো কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন।

১৭ কোটি মানুষকে খাওয়াই, আশ্রয় দিচ্ছি ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকে

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:২৪ অপরাহ্ণ
১৭ কোটি মানুষকে খাওয়াই, আশ্রয় দিচ্ছি ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকে

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ ছোট ভূমির দেশ। আয়তনে ইতালির অর্ধেক। কিন্তু আমরা ১৭ কোটি ৩০ লাখ মানুষকে খাওয়াই, পাশাপাশি আশ্রয় দিচ্ছি ১৩ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে, যারা মিয়ানমারে সহিংসতার মুখে পালিয়ে এসেছে।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) ইতালির রোমে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ব খাদ্য ফোরামের সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

লিখিত বক্তব্যে ড. ইউনূস বলেন, আমরা ধান উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি, যা আমাদের প্রধান খাদ্যশস্যে। আমরা বিশ্বের শীর্ষ ধান, শাকসবজি ও মিঠাপানির মাছ উৎপাদনকারী দেশগুলোর একটি। আমাদের কৃষকেরা ফসল চাষের ঘনত্ব ২১৪ শতাংশে উন্নীত করেছেন। আমরা ১৩৩টি জলবায়ু-সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করেছি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা কৃষক মেকানাইজেশনে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দিয়েছি। শক্তিশালী খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থাগড়ে তুলেছি। শিশুদের খর্বতা কমেছে, খাদ্যতালিকা বৈচিত্র্যময় হয়েছে মাটি, পানি ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষার মাধ্যমে। কৃষি আরও সবুজ হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি আনন্দিত যে ‘ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালাচারাল অরগানাইজেশন (এফএও)’ কর্তৃক ২০১৬ সালে গঠিত ‘নোবেল পিস লরিয়েটস অ্যালায়েন্স ফর ফুড সিকিউরিরটি অ্যান্ড পিস’, যার একজন সদস্য আমি; সেটি এখন এফএও’র একটি মাইলফলক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমি আশা করি এটি আরও নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করবে।