শাহারাস্তিতে শিশু নুসাইবা’র জীবন বাঁচাতে বাবার আকুতি


মানুষ মানুষের জন্যে
জীবন জীবনের জন্যে
একটু সহানুভূতি কি
মানুষ পেতে পারে না? ও বন্ধু……
আজকের দিনে গানটি খুবই প্রাসঙ্গিক মানবতা হোক জীবনের মূল মন্ত্র। হ্যাঁ বন্ধুরা, আমরা এই গানটির সুরেই আজ ৫ বছর বয়সী শিশু নুসাইবা ইসলাম মাহির জীবনের গল্প। মাইনুদ্দিন ও ফারজানা আক্তার দম্পতি চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের পাথৈর (পিয়ন বাড়ি) গ্রামের বাসিন্দা। তাদের দাম্পত্য জিবনে ২ টি কন্য সন্তান জন্ম নেয়। বড় মেয়ের বয়স ৫ বছর আর ছোট মেয়ের বয়স ১০ মাস। এরমধ্যে বড় মেয়ে জন্মগতভাবে হৃদ রোগে আক্রান্ত বলে জানান চিকিৎসকগণ। কিছুদিন চিকিৎসা চলতে থাকার এক পর্যায়ে আবারও পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ পরামর্শ দেন মাহির অপারেশন ছাড়া ওষুধ সেবনের মাধ্যমে আর সুস্থ হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। চিকিৎসক আরও জানান, এই অপারেশন করতে প্রায় ৪ লাখ টাকার বেশি প্রয়োজন হবে।
ইতিমধ্যে শিশু মাহির চিকিৎসায় তার বাবা মাইনুদ্দিন উপার্জিত সকল টাকা ও আত্মীয়-স্বজন ও পাড়াপড়শির নিকট থেকে ধারদেনা করে অনেক টাকা ব্যয় করে ফেলেছেন।
মাইনুদ্দিন স্থানীয় সূচিপাড়া বাজারে একটি ট্রেইলারিং দোকানে পোষাক তৈরির কাজ করেন আর মা বহু কষ্টে সংসার ও অসুস্থ শিশু সন্তানের যাবতীয় কাজ শেষ করে স্থানীয় কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশোনা করতে ভর্তি হন। মাইনুদ্দিনের এমন কোন সহায় সম্পত্তিও নেই যা বিক্রি করে আদরের শিশু সন্তান মাহির চিকিৎসা করাতে পারেন।
এমতাবস্থায় মাইনুদ্দিন ও তার স্ত্রী তাদের আদরের শিশু সন্তান মাহির চিকিৎসায় সমাজের, দেশে-বিদেশে থাকা দানবীর ও বিত্তশালীদের নিকট আর্থিক সহায়তা কামনা করেছেন।
কেউ আর্থিকভাবে সহায়তা করতে চাইলে মাহির বাবার বিকাশ ও নগদ নম্বর ০১৯১৩৮২৭০৬৪। কেউ চাইলে এই নম্বরে তার বাবা-মায়ের সাথে কথাও বলতে পারেন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে শিশু মাহি শেরেবাংলা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের স্পেশালিস্ট কার্ডিয়াক সার্জন অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাক্তার কামরুল হাসান মিলন এর অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন