খুঁজুন
মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ, ১৪৩২

শহীদ সিয়াম সর্দারের কবর জিয়ারত করলেন গণঅধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দ

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫, ৯:৫০ অপরাহ্ণ
শহীদ সিয়াম সর্দারের কবর জিয়ারত করলেন গণঅধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনে বুলেটের আঘাতে নির্মমভাবে মৃত্যুবরণ করেন সিয়াম সরদার। চাঁদপুর সদর উপজেলার ৬ নং মৈশাদী ইউনিয়নের সোহাগ সরদারের ছেলে সিয়াম সরদার (ওরফে জিহাদ) ( ১৭) এর রুহের মাগফিরাত কামনায় দক্ষিণ হামান কর্দ্দি জামে মসজিদে ২৮ জুলাই সোমবার বাদ আসর চাঁদপুর জেলা গণঅধিকার পরিষদের আয়োজনে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করে।

মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন চাঁদপুর জেলা গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক কাজী রাসেল, সদস্য সচিব মাহমুদুল হাসান, যুগ্ম আহবায়ক সাংবাদিক মোঃ জাকির হোসেন, যুগ্ম সদস্য সচিব সামিউল প্রধান, ওমর সালমান, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম শরীফ হোসেন, সদর উপজেলা যুব অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব আলামিন সুমন,পৌর যুব অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব মাসুদ রানা নিশান, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খলিলুর রহমান, ১০ নং লক্ষীপুর মডেল ইউনিয়ন যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মাহাবুব অলিউল্লাহসহ ওই এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং মুসল্লিগণ ।

দোয়া শেষে সবাই তার কবর জিয়ারত করেন এবং পরিবারের সাথে কথা বলেন নেতৃবৃন্দরা। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা ইমরান হোসেন।

সিয়াম সরদারের বাবা আবেগ আপ্লুত কন্ঠে বলেন, আমার একমাত্র ছেলে দেশের কল্যাণের জন্য শহীদ হয়েছেন আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতবাসী করেন। আমি একজন দিনমজুরের কৃষক আমার ছেলে সিয়াম টাইলস মিস্ত্রির কাজ করতেন ২৪ এর ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনে ১৮ই জুলাই ঢাকায় মিরপুর ১০ বেনারসী মার্কেটের সামনে আন্দোলনরত অবস্থায় বুলেটের আঘাতে নির্মম ভাবে মৃত্যুবরণ করেন। আমার ছেলের বাম চোখ দিয়ে বুলেট ঢুকে পিছন দিয়ে বের হয়ে যায়, কত না কষ্ট পেয়েছে আমার ছেলেটা। আমরা খবর পেয়েছি ঐদিন রাত পৌনে বারোটার সময় পরদিন শুক্রবার জানাজা শেষে তাকে দাফন করেছি। একমাত্র ছেলেকে হারিয়েছি দুঃখ নেই কারণ আমার ছেলের মত আরো শত শত দেশপ্রেমীরা জীবন দিয়েছে এবং দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করেছে। আমার ছেলে সহ সকল শহীদদের জন্য আমি দোয়া চাচ্ছি আপনারাও দোয়া করবেন আল্লাহ যেন সবাই বেহেশত নসিব করেন।

সিয়ামের বোন হাঁসি ইসলাম জানায়, সরকার থেকে আমরা সহযোগিতা পাচ্ছি এছাড়াও বিএনপি, জামাত, ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দরা আমাদের খোঁজ খবর নিয়েছেন। আমরা সরকার, প্রশাসন ও আপনারাসহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

যিনি চাঁদাবাজদের প্রটেকশন দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি চাঁদার ভাগিদার:সারজিস আলম

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫, ৭:৫১ অপরাহ্ণ
যিনি চাঁদাবাজদের প্রটেকশন দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি চাঁদার ভাগিদার:সারজিস আলম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘আমরা এখানে চাঁদাবাজি দেখতে চাই না। আমাদের কাছে চাঁদাবাজের পরিচয় তিনি চাঁদাবাজ। কোনো ধরনের দলীয়-ব্যক্তিগত কিংবা অন্য কোনো প্রভাবে প্রটেকশন দিয়ে আর চাঁদাবাজকে রক্ষা করা যাবে না। যিনি চাঁদাবাজদের প্রটেকশন দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি চাঁদার ভাগিদার হিসেবে বিবেচিত হবেন।’

মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের নিরালা মোড়ে পদযাত্রা শেষের পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, ‘২৪ পরবর্তী বাংলাদেশের প্রশাসন, পুলিশসহ অন্য বাহিনীও বাংলাদেশের জন্য দেখতে চাই। দেশের মানুষের জন্য দেখতে চাই। আমরা কোনো দল, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর জন্য আর প্রশাসনকে ব্যবহার হতে দেখতে চাই না। আগামীর বাংলাদেশে আমরা কোনো মিডিয়াকেও ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা দলের দালাল হিসেবে দেখতে চাই না। মিডিয়া যেন কোনো ব্যক্তি বা দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য কাজে না লাগে।’

তিনি বলেন, ‘কয়েকটি মিডিয়া অন্ধভাবে দালালি করেছে। আমরা চাই না ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে কোনো মিডিয়ার আর করুণ দশা হোক। আমরা পর্যবেক্ষণ করছি কোন মিডিয়া কার হয়ে কাজ করছে।’

সারজিস আলম বলেন, ‘শহীদ মারুফ হত্যার বিচারের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে আসামি ধরার তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। আমরা দেখছি টাঙ্গাইলের প্রশাসন কিংবা কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী সেই বিচারিক প্রক্রিয়াকে সামনের দিকে অগ্রসর না করে মামলা বাণিজ্য শুরু করেছেন। আমরা চিনে রাখছি কারা এ মামলা বাণিজ্য করছে।’

তিনি বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে পছন্দের কিছু জেলা বাদ দিয়ে ইচ্ছাকৃত বঞ্চিত করা হয়েছে। যমুনা পাড়ের মানুষের জন্য হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ আসেনি। যেটুকু এসেছে তাদের নেতাকর্মীরা লুট করেছে। প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে টাঙ্গাইলের তাঁত শিল্প ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী ভাসানী হল। এ হলকে কেন্দ্র করে ভাসানীর নাম ছড়িয়ে পড়তে পারতো। কিন্ত সেই হলকে মাদকাসক্তদের আস্তানা বানানো হয়েছে।’

সমাবেশে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর সঞ্চালনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, সিনিয়র সদস্যসচিব সারোয়ার নিভা ও ডা. তাজনুভা জাবিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এক ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশের পাসপোর্ট

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫, ৭:১৪ অপরাহ্ণ
এক ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশের পাসপোর্ট

হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স প্রকাশিত সর্বশেষ পাসপোর্ট র্যাংকিংয়ে এক ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশের পাসপোর্ট। ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের পাসপোর্ট এখন ৯৪তম অবস্থানে রয়েছে। ২০২৪ সালের তুলনায় তিন ধাপ এগিয়ে। গত বছর এ পাসপোর্টের অবস্থান ছিল ৯৭তম।

মূলত ২০২১ সালে সর্বনিম্ন ১০৮তম অবস্থান থেকে বাংলাদেশের পাসপোর্ট ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে এগিয়েছে। ২০২২ সালে এটি ছিল ১০৩তম, ২০২৩ সালে ১০১তম এবং এখন ২০২৫ সালে এসে পৌঁছেছে ৯৪তম স্থানে।

বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা বর্তমানে ৩৯টি দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারেন। এসব গন্তব্যের মধ্যে রয়েছে: বাহামা, বার্বাডোস, ভুটান, বলিভিয়া, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস, বুরুন্ডি, কম্বোডিয়া, কেপ ভার্দে দ্বীপপুঞ্জ, কোমোরো দ্বীপপুঞ্জ, কুক দ্বীপপুঞ্জ, জিবুতি, ডমিনিকা, ফিজি, গ্রেনাডা, গিনি-বিসাউ, হাইতি, জ্যামাইকা, কেনিয়া, কিরিবাতি, মাদাগাস্কার, মালদ্বীপ, মাইক্রোনেশিয়া, মন্টসেরাট, মোজাম্বিক, নেপাল, মোজাম্বিক, রুয়ান্ডা, সামোয়া, সিসেলস, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, শ্রীলঙ্কা, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডিনস, গাম্বিয়া, তিমুর-লেস্তে, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, টুভালু এবং ভানুয়াতু।

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায় সিঙ্গাপুর আবারও শীর্ষে রয়েছে। সিঙ্গাপুরের পাসপোর্টধারীরা বিশ্বের ২২৭টি দেশের মধ্যে ১৯৩টি গন্তব্যে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারেন।

দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া, যাদের নাগরিকরা ১৯০টি দেশে ভিসা ছাড়াই প্রবেশের সুবিধা পান।

তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাতটি দেশ— ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, ইতালি ও স্পেন। এদের প্রত্যেকের পাসপোর্টধারীরা ১৮৯টি দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারেন।

চতুর্থ স্থানে যৌথভাবে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাতটি দেশ— অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পর্তুগাল ও সুইডেন। এদের পাসপোর্টধারীরা ১৮৮টি দেশে ভিসা ছাড়াই প্রবেশ করতে পারেন।

পঞ্চম স্থানে রয়েছে নিউজিল্যান্ড, যা ইউরোপের বাইরে একমাত্র দেশ হিসেবে এই তালিকায় স্থান পেয়েছে। এই অবস্থানে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে রয়েছে গ্রিস ও সুইজারল্যান্ড। এই তিন দেশের নাগরিকরা ১৮৭টি গন্তব্যে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণের সুবিধা পান।

অন্যদিকে আফগানিস্তান এখনও পাসপোর্ট র্যাংকিংয়ের সবচেয়ে নিচের অবস্থানেই রয়েছে। আফগান নাগরিকরা মাত্র ২৫টি দেশে ভিসা ছাড়াই প্রবেশ করতে পারেন।

জানুয়ারির পর থেকে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট বিশ্ব র্যাংকিংয়ে এক ধাপ করে নামছে। এক সময় বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট ছিল যুক্তরাজ্য (২০১৫ সালে) ও যুক্তরাষ্ট্রের (২০১৪ সালে)। বর্তমানে যুক্তরাজ্যের অবস্থান ৬ষ্ঠ, যেখানে তারা ১৮৬টি দেশে ভিসা ছাড়াই প্রবেশের সুযোগ রাখে। যুক্তরাষ্ট্র এখন ১০তম স্থানে অবস্থান করছে, যার পাসপোর্টধারীরা ১৮২টি দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারেন।

এদিকে গত ছয় মাসে ভারতের পাসপোর্ট র্যাংকিংয়ে সবচেয়ে বড় উন্নতি হয়েছে, যা ৮৫তম স্থান থেকে ৭৭তম স্থানে ওঠে এসেছে। যদিও ভারতের ভিসা-মুক্ত গন্তব্য মাত্র দুইটি বৃদ্ধি পেয়ে মোট সংখ্যা এখন ৫৯, তবুও র্যাংকিংয়ে বড় ধাপে উন্নতি হয়েছে।

গত দশকের দিকে তাকালে দেখা যায়, হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্সে অনেক পাসপোর্ট শক্তিশালী হয়ে র্যাংকিংয়ে উঠেছে, তবে মাত্র ১৬টি দেশের পাসপোর্ট অবস্থান হ্রাস পেয়েছে।

সবচেয়ে বেশি পতন হয়েছে ভেনেজুয়েলায়, যেটি ৩০তম স্থান থেকে ৪৫তম স্থানে নেমেছে, অর্থাৎ ১৫ ধাপ নিচে গেছে। এর পর রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র (৮ ধাপ), ভানুয়াতু (৬ ধাপ), যুক্তরাজ্য (৫ ধাপ) এবং কানাডা (৪ ধাপ)।

গাজায় নিহতের সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়ালো

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫, ৭:০৩ অপরাহ্ণ
গাজায় নিহতের সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়ালো

ইসরায়েলের গাজা আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৬০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। তাছাড়া মঙ্গলবার ভোর থেকে গাজাজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৬২ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে মেডিকেল সূত্র। নিহতদের মধ্যে ১৯ জন ছিলেন ত্রাণের আশায় অপেক্ষমাণ সাধারণ মানুষ। মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা সত্ত্বেও হামলা অব্যাহত রয়েছে।

বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন গাজায় দুর্ভিক্ষের সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি শুরু হওয়ার সতর্কবার্তা দিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, ইসরায়েল কর্তৃক মানবিক সহায়তা প্রবেশে কঠোর বিধিনিষেধ এই সংকট আরও ঘনীভূত করছে।

এদিকে, অধিকৃত পশ্চিম তীরের মাসাফার ইয়াত্তায় এক ইসরায়েলি বসতিস্থাপক ফিলিস্তিনি অধিকারকর্মী ও শিক্ষক ওদেহ মোহাম্মদ হাদালিনকে গুলি করে হত্যা করেছে।

মানবাধিকার সংস্থা বেতসেলেম ও ফিজিশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস পৃথক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে।

অন্যদিকে প্রথমবারের মতো গাজায় ‘বাস্তব দুর্ভিক্ষ’ চলছে বলে স্বীকার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন, ইসরায়েল গাজায় ‘এক বিন্দু খাবার’ আটকানো যাবে না- সবকিছু ঢুকতে দিতে হবে।

যুক্তরাজ্য সফরের সময় সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাম্প এমন মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আমরা অনেক মানুষের জীবন বাঁচাতে পারি- বিশেষ করে কিছু শিশুদের। ওদের দেখে বোঝা যায়, সেটা সত্যিকারের ক্ষুধা। এটা বানানো নয়, আমরা দেখছি এবং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি দাবি করেছিলেন, গাজায় কোনো দুর্ভিক্ষ নেই- এ কথা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, টেলিভিশনে যেটা দেখছি, তা দেখে বলা যায় না যে সেখানে দুর্ভিক্ষ নেই। শিশুদের দেখেই বোঝা যায় ওরা অভুক্ত।

সূত্র: আল-জাজিরা