
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পৌরসভার মিরপুর তরফদার বাড়ির একটি পরিত্যক্ত বাগান থেকে পুলিশ মো.হাসানুর রহমান (৩৭) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে।
পুলিশ জানান, তিনি এক ছেলে ও দু’মেয়ের জনক। নিহত হাসানুর রহমান পৌরসভার নোয়াগাঁও এলাকার মিজি বাড়ির বাসিন্দা এবং মৃত খোকন মিজির ছেলে।
শুক্রবার বিকেলে তরফদার বাড়ির বাগানে ড্রেনের পাশে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা ফরিদগঞ্জ থানায় পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহ আলম,ওসি তদন্ত রাজীব চক্রবর্তী সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল আসে। যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু সংবাদ পেয়ে ফরিদগঞ্জ-হাজীগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মুকুর চাকমা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
পুলিশ মরদেহের সুরতহাল রিপোর্টে বলেন, নিহতের দু’হাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের মতো দগদগে চিহ্ন রয়েছে। তার কোমরে একটি ছুরিও ছিল।
নিহতের মেয়ে তানজিনা বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে আমার বাবা মাছ ধরতে বের হন। এরপর কিছু লোক তাকে খুঁজতে আসে। পরে তাকে মুখ চেপে ধরে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে। আমি আমার বাবার হত্যার বিচার চাই।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, ১৯ জুন ছোল্লা বাড়ির খালেকের ছেলে হাছানের ঘরে চুরির ঘটনা ঘটে। সে সময় আমার বাবার বিরুদ্ধে চুরির অপবাদ দিয়ে মারধর করা হয় এবং তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছিল।
নিহতের বড় ভাই শরীফ বলেন, চুরির ঘটনায় হাছান নামে এক ব্যক্তি বহিরাগত লোকজন এনে আমার ভাইকে মারধর করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আজকে সেই হুমকি বাস্তব হলো। আমরা এ হত্যাকান্ডের সঠিক তদন্ত ও বিচার চাই।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো.শাহ আলম বলেন, শুক্রবার দুপুরের পর স্থানীয়দের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে হাসানুর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মরদেহের হাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের মতো চিহ্ন রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুরি, দস্যুতা, ছিনতাই ও মাদকের সাতটি মামলা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। মৃত্যুর কারণ ও পেছনের রহস্য উদঘাটনে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন