খুঁজুন
রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১০ কার্তিক, ১৪৩২

চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়াম থেকে মেলা অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য স্মারকলিপি

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫, ৭:৩৬ অপরাহ্ণ
চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়াম থেকে মেলা অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য স্মারকলিপি

চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়াম থেকে মেলাসমূহ অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের দাবীতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করছেন এলাকাবাসী।

চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়াম থেকে মেলাসমূহ অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের দাবীতে স্মারকলিপি দিয়েছে বিষ্ণুদী মাদ্রাসা রোড এবং আউটার স্টেডিয়াম রোডের এলাকাবাসী।

মঙ্গলবার সকালে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক নজরুল ইসলাম আলম ও ইমামদের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে জেলা প্রশাসকের হাতে এই স্মারকলিপি তুলে দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিষ্ণুদী মুন্সি বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মিজানুর রহমান, বাসস্টেশন জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুর রশিদ, দন্ত বিশেষজ্ঞ ডা. মাহিদুর রহমান সা’দ, মোজাম্মেল হক সেলিম, কবির হোসেন ভুইয়া, সামছুল আলম, গোলাম মুর্তুজা চৌধুরী সহ এলাকাবাসীরা।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, চাঁদপুর শহরের মাঠগুলো অবৈধ দখলদারদের কাছে বেদখল হয়ে যাচ্ছে। শিশু-কিশোরদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ লাভের জন্য চাঁদপুর শহরে এখন তেমন কোনো উন্মুক্ত মাঠ অবশিষ্ট নেই। চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়ামে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের নামে মাঠকে সংকুচিত করে ফেলা হয়েছে। মাঠের যেটুকু স্থান অবশিষ্ট আছে সে স্থানে বছরব্যাপি চলে বিভিন্ন বাণিজ্যিক মেলা অথবা মেলার নামে যেসকল কার্যক্রম করা হয় তা অত্র এলাকার বাসিন্দাদের জন্য খুবই অস্বস্থিকর ও বিব্রতকর।

চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়ামটি চাঁদপুর শহরের গুরুত্বপূর্ণ আবাসিক এলাকাগুলোর মধ্যখানে অবস্থিত। আউটার স্টেডিয়ামে সীমানা প্রাচীরের সাথেই চাঁদপুর পৌর কবরস্থান অবস্থিত। এখানে মেলা অথবা মেলার নামে এই ধরণের কার্যক্রম পৌর কবরস্থানের ধর্মীয় ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে যাহা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও এক প্রকার গর্হিত কাজ।

বছরব্যাপি ধাপে ধাপে এসব বাণিজ্যিক মেলা হওয়ার কারণে আবাসিক এলাকার মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপন দুঃসহ হয়ে পড়েছে। বিকেল থেকে মাইকে গান-বাজনা চলার কারনে আবাসিক এলাকার অসুস্থ, বৃদ্ধ মানুষের দুর্দশা ধারণাতীত। উন্মুক্তভারে মাইক বাজানোর কারণে সন্ধ্যার পর শিশু-কিশোরদের পড়াশোনার মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে। মেলার কারণে টয়লেট ও পয়ঃনিষ্কাশনের যত্রতত্র ব্যবহারের ফলে এর অসহনীয় দুর্গন্ধে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এলাকাবাসীর বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

একটি সুন্দর-সুস্থ সমাজ গঠনের এবং শিশু-কিশোরদের মানসিক বিকাশ লাভের জন্য শরীরচর্চা এবং খেলাধুলার বিকল্প নেই। বছরব্যাপী ধাপে ধাপে এসব মেলা হওয়ার কারণে শিশু-কিশোররা খেলার মাঠ থেকে বঞ্চিত ও বিমুখ হয়ে বিভিন্ন ধরণের আড্ডা, মোবাইলে গেমস খেলা, ইভটিজিংসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে এবং নেশাগ্রস্থ হয়ে বিভিন্ন ধরণের মারাত্মক অনৈতিক ও অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ছে।

এমতাবস্থায় মহোদয়, চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়াম থেকে এধরণের মেলা সরিয়ে চাঁদপুর শহরের বাহিরে সরকারী জায়গায় অন্যত্র মেলা স্থানান্তরের জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।

এলাকাবাসীর নিম্নবর্ণিত দাবিগুলো মেনে নিলে আমরা আপনার নিকট কৃতজ্ঞ থাকবো।
১. পৌর কবর স্থানের পবিত্রতা রক্ষা করার জন্য মেলা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া খুবই আবশ্যক। ২. চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়াম মাঠ থেকে বাণিজ্যিক মেলাসমূহ অন্যত্র স্থানান্তরে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ। ৩. চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়াম মাঠ কে পূর্বের ন্যায় খেলার উপযোগী করে তোলার পদক্ষেপ গ্রহণ। ৪. চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়াম মাঠে নেশাখোরদের দৌরাত্ম প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ। যুক্তির-এলাকাবাসীর গণস্বাক্ষর স্মারকলিপির সাথে সংযুক্ত আছে।

ইলিশ ধরার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ আজ

শ্যামল সরকার
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৫০ অপরাহ্ণ
ইলিশ ধরার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ আজ

ইলিশের প্রজনন নিরাপদ রাখতে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনাসহ দেশের বিভিন্ন নদ-নদীতে গত ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছিল ২২ দিনের ইলিশ আহরণ নিষেধাজ্ঞা। এসময় নদীতে মাছ ধরা, বিক্রি, পরিবহন ও মজুদ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ছিল। দীর্ঘ বিরতির পর শনিবার (২৫ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে নদীতে নামবেন জেলেরা।

শেষ সময়ে কেউ মেরামত করছেন নৌকা, কেউবা পুরোনো জাল সেলাই করে নিচ্ছেন নতুন করে। চোখে মুখে আনন্দের অনুভূতি থাকলেও আশানুরূপ ইলিশ পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলেরা। তারা বলছেন, এবছর ভরা মৌসুমেও নদীতে ইলিশের দেখা মেলেনি। আর এখন মৌসুম শেষ। জালে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পেলে কষ্টের পাল্লা ভারী হবে।

এদিকে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন চাঁদপুরে নিবন্ধিত ৪৫ হাজার ৬১৫ জেলে পরিবারকে খাদ্য সহায়তা হিসেবে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। কিন্তু তা ছিল জেলেদের কাছে অপ্রতুল। ওই সময় জীবিকা হারিয়ে চরম কষ্টে পড়েন জেলেরা।

এদিকে, সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে নদীতে মাছ ধরতে না গেলেও নিষেধাজ্ঞার পর বেশ কিছু জেলে সরকারি সহযোগিতা না পেয়ে এবং মহাজন ও এনজিও থেকে ঋণ গ্রহণ করে তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবনযাপন করতে হয়েছে বলে আক্ষেপ করেছেন।

তাদের অভিযোগ, মূল জেলেদের কিছু জেলে সরকারি সহযোগিতা থেকে বাদ পড়েছে। অথচ যারা মাছ ধরতে জীবনেও নদীতে নামেনি এমন বিভিন্ন পেশার বেশ কিছু মানুষ সরকারী সহায়তার কার্ড পেয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তারা ক্ষোভ জানিয়েছেন। এমনকি বেশ কিছু জেলে সরকারি সহযোগিতা পেয়েও সরকারের নির্দেশনা না মেনে অবৈধভাবে নির্বিচারে মা ইলিশ শিকার করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করে সরকারের পরবর্তী সহযোগিতা থেকে বাদ দেওয়ারও আহ্বান জানান।

মৎস্য কর্মকর্তারা আশা করছেন, ২২ দিনের এই নিষেধাজ্ঞার কারণে এবার গত বছরের চেয়ে মাছের উৎপাদন রেকর্ড পরিমাণে বাড়তে পারে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় নদীতে মাছ শিকার করতে দেওয়া হয়নি। এবার রেকর্ড পরিমাণে ইলিশ উৎপাদন হতে পারে।

তিনি আরও জানান, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা মা ইলিশ রক্ষায় প্রতি বছরের মতো এবারও ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিনের জন্য দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুত নিষিদ্ধ করেছিল সরকার।

এই সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চালানো ৪৪৫ টি অভিযানে ৭৭ টি মামলা ও ৭৪ টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১১৯ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে সাঁজা প্রদান করা হয়। এছাড়া ৬ কোটি মিটার অবৈধ জাল, ১১০০ টন ইলিশ জব্দ করে বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানায় প্রদান করাহয়।

জনশ্রুতি আছে অভিযানে সময় অনেক জেলে সরকারের বরাদ্দ করা চাল পাননি বলেও অভিযোগ রয়েছে।

শনিবার মধ্যরাতে সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর থেকেই উপকূলের জেলেরা জাল, নৌকা, ট্রলার ও অন্যান্য সরঞ্জাম প্রস্তুত করে ইলিশ শিকারের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবেন। বিশেষ করে হরিনা ঘাট, আখনের ঘাট, পুরানবাজার রনাগোয়াল, লঞ্চ ঘাট, হাইমচরের নীলকমল, মতলব উত্তর মোহনপুর নৌঅঞ্চলের জেলেরা এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

ফরিদগঞ্জে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ আটক ১

শ্যামল সরকার
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৩২ অপরাহ্ণ
ফরিদগঞ্জে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ আটক ১

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে গঠিত যৌথবাহিনি। এ ঘটনায় দুই মাদক কারবারি পালিয়ে গেলেও একজনকে আটক করা হয়েছে।

শনিবার সকালে উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের সকদিরামপুর গ্রামের ছোট বাড়ি এলাকা থেকে ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এলাকাবাসীর খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও জেলা ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর আর্মি ক্যাম্পের অপারেশনাল অফিসার লেফটেন্যান্ট জাবিদ হাসান ও ফরিদগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত রাজিব চক্রবর্তী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকদিরামপুর গ্রামের খলিল বেপারির ছেলে মাদক কারবারি আল-আমিন (২৫) ও তার সহযোগী হত্যা মামলার আসামি রুবেল হোসেন (২৮) ফজরের নামাজের পর একটি প্রাইভেটকারে করে বিপুল পরিমাণ গাঁজা নিয়ে আসে। পরে আল-আমিনের বাড়ির গোসলখানায় গাঁজাগুলো লুকিয়ে রাখে। এ সময় স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।

পরে এলাকাবাসী পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে খবর দিলে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে।

এলাকাবাসী জানায়, রুবেল হোসেন এর আগে একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। গত ১০ দিন আগে তিনি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান। মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই আবারও মাদক ব্যবসায় সক্রিয় হয়ে ওঠে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি একই ইউনিয়নের বাইক্কারবাগানের পাশের ডোবা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মাদক ব্যবসায়ী সোহেল হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে মামলার অন্যতম আসামি ছিল রুবেল হোসেন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন স্বপন মিয়াজী জানান, সকালে ফজরের নামাজের পর এলাকাবাসী আমাকে জানায়, এ এলাকার কুখ্যাত মাদক কারবারি রুবেল জেল থেকে বের হয়ে আবারও মাদক কারবারির সাথে জড়িয়ে পড়েছে এবং বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ এলাকায় প্রবেশ করলে তাদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছে থানা পুলিশকে খবর দেই। তিনি আরো জানান, তাদের কারনে এ এলাকার যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ্ আলম বলেন, সকালে এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ডিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করি। তবে মূল মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। আল-আমিনের বাবা খলিল বেপারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

ধানের শীষ প্রতীকের গণসংযোগ শুরু করলেন ইঞ্জি. মমিনুল হক

মো. ইউসুফ বেপারী
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:২১ অপরাহ্ণ
ধানের শীষ প্রতীকের গণসংযোগ শুরু করলেন ইঞ্জি. মমিনুল হক

হাজীগঞ্জে ধানের শীষ প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে নিজ ইউনিয়নে গণসংযোগ ও পথসভা শুরু করলেন বিএনপির কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক ইঞ্জি. মমিনুল হক।

শুক্রবার দিনব্যাপী তিনি উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভা শুরু করেন। এরমধ্যে তিনি ইউনিয়নের নোয়াদ্দা, উত্তর রায়চোঁ, বড়কুল রামকানাই উচ্চ বিদ্যালয়, রায়চোঁ বাজার, মধ্য বড়কুল, আড়ুলি, মোল্লাডহর, দিকচাইল, সেন্দ্রা ও কোন্দ্রা এলাকায় পথসভায় বক্তব্য রাখেন।

পথসভায় ইঞ্জি. মমিনুল হক চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার লক্ষ্যে ইউনিয়নবাসীর সম্মতি চাইলে উপস্থিত লোকজন একযোগে হাত উঁচিয়ে সম্মতি প্রকাশ এবং ধানের শীষ প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এসময় তিনি বলেন, আমার ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির ২২টি ইউনিয়ন ও দুইটি পৌরসভায় গণসংযোগ ও পথসভা কার্যক্রম শুরু করলাম। দেশের মানুষ বিএনপিকে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষমান রয়েছে। তারা ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করে তারেক রহমানকে আগামির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়।

উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাছান মিয়াজীর সভাপতিত্বে গণসংযোগ ও পথসভায় সফর সঙ্গী ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ রহিম পাটওয়ারী, বিএনপি নেতা আব্দুল কাদের মিয়া, ইঞ্জি. জাহাঙ্গীর আলম, ইমান হোসেন, অহিদুল ইসলাম মোহন, আব্দুল গফুর পাটওয়ারী, ওলি উল্যাহ, আলমগীর হোসেন, মোশারফ হোসেন, তাফাজ্জল হোসেন বতু, শাহাদাত হোসেন মিলন, জামাল মেম্বার, মিজানুর রহমান, মাসুদ রানা, উপজেলা মৎসজীবি দলের সভাপতি মো. ইমান হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম চৌধুরী মিঠু, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক এসএম ফয়সাল হোসাইন, পৌর ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব দ্বীন ইসলাম টগর, ছাত্রনেতা শামছুদ্দিন খাঁন নূর, কবির হোসেন রাজু, ইউনিয়ন যুবদল নেতা আব্দুল জব্বার, ইকবাল বেপারী, ইমাম হোসেন, আব্দুল মতিন, আলাউদ্দিন, হেলাল উদ্দিন, হোসেন মজুমদার, স্বেচ্ছাসেবক নেতা মাসুম চৌধুরী, জহিরুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন, সুমন রাজ, হাসানাত, সোহাগ, কৃষক নেতা মিজানুর রহমান, ছাত্রনেতা আলামিন দিনু, হাবিবুর রহমান, ওসমান গণি, সাব্বির হোসেন, শেখ ফরিদসহ সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।