খুঁজুন
শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫, ২৬ বৈশাখ, ১৪৩২

স্বাধীনতার পর থেকে নেই কোন বিদ্যালয়

কচুয়ায় নাজমুন নাহার বেবী সপ্রাবি করতে চায় এলাকাবাসী

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: রবিবার, ৪ মে, ২০২৫, ৭:৩৮ অপরাহ্ণ
কচুয়ায় নাজমুন নাহার বেবী সপ্রাবি করতে চায় এলাকাবাসী

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার বিতারা ইউনিয়নের ঘোগড়ার বিলের গ্রামের নাম জলা-বিতারা। অতি দুর্গম এ গ্রামে নেই পাকা রাস্তাঘাট ও কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যাতায়াতের জন্য হেটেঁ চলাই এ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা। ঘোগড়াবিলের মাঝখানে অবস্থিত এ গ্রামটিতে শিশু শিক্ষার জন্য নেই কোনও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ফলে দূরের স্কুলে গিয়ে কেউ কেউ পড়তে গেলেও ক’দিন বাদে ঝরে পড়ছে তারা।

দুর্গম এ গ্রামে স্কুল না থাকায় ৩/৪ মাইল পথ হেঁটে কোমলমতি শিশুদের যেতে হয় পাশের গ্রামের স্কুলে। দীর্ঘ এ পথ পেরোনো তাদের জন্য বেশ কষ্টসাধ্য। কাদামাটির রাস্তা আর সাঁকো পার হয়ে যেতে হয় তাদের। ফলে ভয়ে অনেক শিশুই এখন বিদ্যালয় বিমুখ।

অভিভাবকরাও থাকেন বেশ শঙ্কায়। এর ফলে বাড়ছে শিশুদের ঝরে পড়ার হার। জলা-বিতারা গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে নাজমুন নাহার বেবী প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে একটি সরকারি বিদ্যালয় করতে চায় এলাকাবাসী। এর জন্য ওই গ্রামের জাকির হোসেন ও মনির হোসেন ৩৩ শতাংশ জমিও দান করেছেন।

যদিও স্থানীয়রা জানান, ২০০৪ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারের সময়ে এ বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু করলেও পরবর্তীতে ২০০৮ সালে আওয়ামী সরকারের আমলে বিভিন্ন কারনে বিদ্যালয়টি বন্ধ হয়ে যায়।

উপজেলার ২৪৩টি গ্রামের মধ্যে ১৭১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও দুর্গম এলাকা হিসেবে পরিচিত জলা-বিতারা গ্রামে স্বাধীনতার আগে পরে কোন বিদ্যালয় স্থাপিত হয়নি।

জলা-বিতারা গ্রামের অধিবাসী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ও বিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোক্তা মো. কবির হোসেন জানান, আমাদের এ গ্রামে ১৫টি ছোট-বড় বাড়ি নিয়ে প্রায় ২হাজার জনসংখ্যার মধ্যে ৫শ জন ভোটার বসবাস করছে। প্রতি ঘরেই দুই থেকে তিনটি করে শিশু আছে। এ গ্রাম থেকে প্রায় ৫ মাইল দূরে সাচার, ৩ মাইল পশ্চিমে বিতারা ও ২ কিলোমিটার দক্ষিণে বাইছারা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে। দূরত্বের কারণেই গ্রামের শিশুরা ঝরে পড়ে স্কুল থেকে।

তিনি আরো জানান, শিশুদের নিরাপত্তার স্বার্থে একটি স্কুল এখানে জরুরি হয়ে পড়েছে। তাই আমরা সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন এর সহধর্মীনি নাজমুন নাহার বেবীর নামে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করার উদ্যোগ নিয়েছি। এরই প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ১লা জানুয়ারী ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন এর উপস্থিতিতে বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৪ জন শিক্ষক ও ১৩০জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন শ্রেনিতে ভর্তি হয়েছে।

বিদ্যালয়ের সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যাংকার মো. মামুনুর রশিদ মোল্লা জানান, আমাদের ৩৩ শতাংশ নিজস্ব জায়গা হয়েছে। এখন একটি স্কুল হলেই শিশুদের লেখাপড়া নিয়ে আমরা নিশ্চিন্ত হতে পারি। গ্রামটিতে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনি জরুরি বলে তিনি মনে করেন। এজন্য তিনি নতুন ভবন, প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রসহ বিদ্যালয়টি স্বীকৃতি দেয়ার দাবী জানান।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আবু ইউসুফ জানান, স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে ঘোগড়ার বিল মধ্যবর্তী অবহেলিত এ গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন এখন সময়ের দাবীতে পরিনত হয়েছে। বিদ্যালয়টি জানুয়ারী থেকে শিক্ষা কার্যক্রম চালু হয়েছে। তাই দ্রুত অনুমোদন দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের জন্য জোড় দাবী জানাই।

এব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার পারভীন সুলতানা বক্তব্য দিতে রাজি না হলেও বিতারা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মো. রাকিবুল ইসলাম জানান, এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে জলা-বিতারা গ্রামে জনস্বার্থে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রস্তাবনা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে।

মতলবে ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী

মানবিক করিডোরের নামে দেশকে যুদ্ধক্ষেত্র বানাবেন না

আলআমীন পারভেজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫, ১১:৫৪ অপরাহ্ণ
মানবিক করিডোরের নামে দেশকে যুদ্ধক্ষেত্র বানাবেন না

মানবিক করিডোরের নামে দেশকে যুদ্ধক্ষেত্র বানাবেন না। কেন এই মানবিক করিডোর? দেশের গন্তব্য তাহলে কোন দিকে?

৯ মে শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি দরবার শরীফে ইমামুত্ব ত্বরীকত আল্লামা শায়খ বোরহানুদ্দীন (রা.) ও জান্নাতুল- বাক্কী’র বাসিন্দা আল্লামা শায়খ ড. মানযূর আহমাদ (রা.) এর ওফাত দিবস (মৃত্যুবার্ষিকী)’র মিলাদ ও দোয়ার অনুষ্ঠানে প্রধন অতিথির বক্তব্যে সুন্নি ত্বরীকার উজ্জ্বল নক্ষত্র আল্লামা মুফতি ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী একথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন এবং আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন নেদায়ে ইসলামের চেয়ারম্যান ও ফরাজীকান্দি দরবারের পীর ক্বেবলা আল্লামা শায়খ মাসউদ আহমাদ বোরহানী।

ফরাজীকান্দি দরবারের মসজিদে ফাতাতু-যোহরার খতিব মাওলানা জাকারিয়া শিকদার সঞ্চালনায় আলোচিত ইসলামিক বক্তা ড. এনায়েতুল্লাহ আবাবাসী আরো বলেন, নারী অধিকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন মেটেও মেনে নেয়া যায়না। নারী পুরুষের অধিকার কখনো সমান হতে পারেনা। কুরআন সুন্নাহর আলোকেই নারী ও পুরুষের অধিকার নিশ্চিৎ করা হোক।

তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, দেশ থেতে দুর্নীতি কি চলে গেছে, না চলে যায়নি। দেশকে দুর্নীতি মুক্ত করতে আমাদের সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। কেননা, ড. ইউনুসের কাছে আলাদিনের চেরাগ নাই। তাই একাজে আমাদের সকলকে দায়িত্ব নিতে হবে।

অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, উপজেলার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, ধর্মীয় ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শ্রনী পেশার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও বেশ কয়েক সহস্ত্রাধিক ভক্ত সমর্থকরা উপস্থিত থেকে দোয়ায় অংশগ্রহণ করেন।

জেলা গণঅধিকার পরিষদের মতবিনিময় সভা

মাহবুব অলিউল্লাহ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫, ১০:০৩ অপরাহ্ণ
জেলা গণঅধিকার পরিষদের মতবিনিময় সভা

চাঁদপুর জেলা গণঅধিকার পরিষদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ৯ মে শুক্রবার রাতে। জেলা গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক আশরাফুজ্জামান কাজী রাসেলের সভাপতিত্বে ও জেলা গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব সামিউল প্রধানের সঞ্চালনায় এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী, কেন্দ্রিয় গণঅধিকার পরিষদের জাতীয় ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক, চাঁদপুরের কৃতি সন্তান মোঃ নেয়ামত উল্লাহ।

তিনি বলেন, যে মানুষ কষ্ট করে অর্থ উপার্জন করে সম্পদের মালিক হয়, সে সম্পদের নিশ্চয়তা থাকে। ঠিক তেমনি ভাবে বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদ কষ্ট করে রাজপথ থেকে উঠে আসা একটি তারুণ্য ভিত্তিক দল। এ দলটার তৈরি হয়েছে কষ্ট করে,মানুষের কষ্ট কখনো বৃথা যায় না। তাই আমি আশা রাখি আগামী দিনে গণঅধিকার পরিষদের ভবিষ্যৎ আলোকিত হবে ইনশাল্লাহ।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা গনঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক চাঁদপুর ৩ ( সদর, হাইমচর) আসনের এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী সাংবাদিক মোঃ জাকির হোসেন, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এস এম শরীফ হোসেন, সদর উপজেলা যুব অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব আল আমিন সুমন, মোঃ নিশান হোসেন।

অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ খলিলুর রহমান, পৌর ছাত্র অধিকার পরিষদের আহবায়ক মোঃ পারভেজ হোসেন, সদস্য সচিব মোঃ রুবেল হোসেন প্রমুখ।

আ’লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চাঁদপুরে ছাত্র জনতার বিক্ষোভ

মিজান লিটন
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫, ৮:০৭ অপরাহ্ণ
আ’লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চাঁদপুরে ছাত্র জনতার বিক্ষোভ

আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত ও দলটিকে নিষিদ্ধের দাবিতে চাঁদপুর শহরের বাইতুল আমিন জামে মসজিদের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে সর্বস্তরের ছাত্র ও তৌহিদী জনতার ব্যানারে।

১৭ বছরের ফ্যাসিবাদ কায়েম করা, সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা, শাপলা চত্বরে গণহত্যা, গুম খুন ও পিলখানায় গণহত্যায় জড়িত। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ সহ তাদের সকল অঙ্গ সংগঠন নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে শুক্রবার (৯ মে) বাদ জুমা শহরের বাইতুল আমীন জামে মসজিদ সম্মুখ থেকে একটি মিছিল বের হয়ে শহরের হাসান আলী স্কুল মাঠে গিয়ে শেষ হয়।

মিছিল পূর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় মোহাম্মদ তামিম খানের সভাপতিত্বে এবং মো. জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মাকসুদুর রহমান, খেলাফত মজলিস চাঁদপুর জেলা শাখার সেক্রেটারি মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলি চাঁদপুর জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি নূর আলম, বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা তারেক হাসান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস চাঁদপুর জেলা শাখার অর্থ সম্পাদক হাফেজ কারী রশিদ আহমেদ, খেলাফত যুব মজলিস চাঁদপুর জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মোজাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ ইসমাইল, জেলা ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক কে এম মাসুদুর রহমান, হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মাহমুদুল হাসান সিরাজী, চাঁদপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন হিসাম ও সৈয়দ সাকিবুল ইসলাম।

এসময় বক্তারা বলেন, গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের এ কর্মসূচি চলবে। বক্তারা উপদেষ্টাদেরকে উদ্দেশ্য করে আরো বলেন,যাদের এজেন্ডায় গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট বয়ান নাই, তাদের সাথে আমরা নাই।”

সমাভেসে আরো উপস্থিত ছিলেন, খেলাফত মজলিস চাঁদপুর শাখার যুগ্ম সম্পাদক ফারুক নোয়াম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস চাঁদপুর সদর উপজেলা শাখার প্রচার সম্পাদক মুফতি আবু ইউসুফ হামিদীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।