খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২০ ভাদ্র, ১৪৩২

স্বাধীনতার পর থেকে নেই কোন বিদ্যালয়

কচুয়ায় নাজমুন নাহার বেবী সপ্রাবি করতে চায় এলাকাবাসী

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: রবিবার, ৪ মে, ২০২৫, ৭:৩৮ অপরাহ্ণ
কচুয়ায় নাজমুন নাহার বেবী সপ্রাবি করতে চায় এলাকাবাসী

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার বিতারা ইউনিয়নের ঘোগড়ার বিলের গ্রামের নাম জলা-বিতারা। অতি দুর্গম এ গ্রামে নেই পাকা রাস্তাঘাট ও কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যাতায়াতের জন্য হেটেঁ চলাই এ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা। ঘোগড়াবিলের মাঝখানে অবস্থিত এ গ্রামটিতে শিশু শিক্ষার জন্য নেই কোনও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ফলে দূরের স্কুলে গিয়ে কেউ কেউ পড়তে গেলেও ক’দিন বাদে ঝরে পড়ছে তারা।

দুর্গম এ গ্রামে স্কুল না থাকায় ৩/৪ মাইল পথ হেঁটে কোমলমতি শিশুদের যেতে হয় পাশের গ্রামের স্কুলে। দীর্ঘ এ পথ পেরোনো তাদের জন্য বেশ কষ্টসাধ্য। কাদামাটির রাস্তা আর সাঁকো পার হয়ে যেতে হয় তাদের। ফলে ভয়ে অনেক শিশুই এখন বিদ্যালয় বিমুখ।

অভিভাবকরাও থাকেন বেশ শঙ্কায়। এর ফলে বাড়ছে শিশুদের ঝরে পড়ার হার। জলা-বিতারা গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে নাজমুন নাহার বেবী প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে একটি সরকারি বিদ্যালয় করতে চায় এলাকাবাসী। এর জন্য ওই গ্রামের জাকির হোসেন ও মনির হোসেন ৩৩ শতাংশ জমিও দান করেছেন।

যদিও স্থানীয়রা জানান, ২০০৪ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারের সময়ে এ বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু করলেও পরবর্তীতে ২০০৮ সালে আওয়ামী সরকারের আমলে বিভিন্ন কারনে বিদ্যালয়টি বন্ধ হয়ে যায়।

উপজেলার ২৪৩টি গ্রামের মধ্যে ১৭১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও দুর্গম এলাকা হিসেবে পরিচিত জলা-বিতারা গ্রামে স্বাধীনতার আগে পরে কোন বিদ্যালয় স্থাপিত হয়নি।

জলা-বিতারা গ্রামের অধিবাসী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ও বিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোক্তা মো. কবির হোসেন জানান, আমাদের এ গ্রামে ১৫টি ছোট-বড় বাড়ি নিয়ে প্রায় ২হাজার জনসংখ্যার মধ্যে ৫শ জন ভোটার বসবাস করছে। প্রতি ঘরেই দুই থেকে তিনটি করে শিশু আছে। এ গ্রাম থেকে প্রায় ৫ মাইল দূরে সাচার, ৩ মাইল পশ্চিমে বিতারা ও ২ কিলোমিটার দক্ষিণে বাইছারা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে। দূরত্বের কারণেই গ্রামের শিশুরা ঝরে পড়ে স্কুল থেকে।

তিনি আরো জানান, শিশুদের নিরাপত্তার স্বার্থে একটি স্কুল এখানে জরুরি হয়ে পড়েছে। তাই আমরা সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন এর সহধর্মীনি নাজমুন নাহার বেবীর নামে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করার উদ্যোগ নিয়েছি। এরই প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ১লা জানুয়ারী ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন এর উপস্থিতিতে বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৪ জন শিক্ষক ও ১৩০জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন শ্রেনিতে ভর্তি হয়েছে।

বিদ্যালয়ের সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যাংকার মো. মামুনুর রশিদ মোল্লা জানান, আমাদের ৩৩ শতাংশ নিজস্ব জায়গা হয়েছে। এখন একটি স্কুল হলেই শিশুদের লেখাপড়া নিয়ে আমরা নিশ্চিন্ত হতে পারি। গ্রামটিতে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনি জরুরি বলে তিনি মনে করেন। এজন্য তিনি নতুন ভবন, প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রসহ বিদ্যালয়টি স্বীকৃতি দেয়ার দাবী জানান।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আবু ইউসুফ জানান, স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে ঘোগড়ার বিল মধ্যবর্তী অবহেলিত এ গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন এখন সময়ের দাবীতে পরিনত হয়েছে। বিদ্যালয়টি জানুয়ারী থেকে শিক্ষা কার্যক্রম চালু হয়েছে। তাই দ্রুত অনুমোদন দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের জন্য জোড় দাবী জানাই।

এব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার পারভীন সুলতানা বক্তব্য দিতে রাজি না হলেও বিতারা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মো. রাকিবুল ইসলাম জানান, এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে জলা-বিতারা গ্রামে জনস্বার্থে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রস্তাবনা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে।

চাঁদপুরে সড়ক সংস্কার ড্রেনেজ নির্মাণসহ বিভিন্ন দাবীতে মানববন্ধন

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১১:০৮ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে সড়ক সংস্কার ড্রেনেজ নির্মাণসহ বিভিন্ন দাবীতে মানববন্ধন

চাঁদপুর পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ড জি. টি রোড দক্ষিণ, সরকার বাড়ির সড়ক সংস্কার, প্রসস্থকরণ ও পয়ঃনিষ্কাশনের ড্রেনেজ নির্মাণের দাবীতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ড সরকার বাড়ির সামনে স্থানীয় শতাধিক বাসিন্দাদের অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে চাঁদপুর আইডিয়াল স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আব্দুলাহ আল মাহিম ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মিনহাজ হোসাইন বলেন, একটু বৃষ্টি হলে এই সড়কে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। ফলে তাদের স্কুলে যেতে কষ্ট হয়। স্কুলে যাওয়ার সময় হাতে থাকা বই-খাতা, কলম সহ যাবতীয় আসবাবপত্র পানিতে পড়ে নষ্ট হয়ে যায়। এবং নোংরা পানির কারণে পায়ে ফোসকা উঠে যায়। তাই দ্রুত এর সড়কটি সংস্কার ও পয়ঃনিষ্কাশনের ড্রেনেজ নির্মাণ করার দাবী তাদের।

স্থানীয় বাসিন্দা সোহাগী আক্তার বলেন, পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক এটি। তবে এই এলাকাটাই বেশি অবহেলিত। একটু বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি জমে থাকার কারনে চালাচল করা যায় না। আবার একবার জলাবদ্ধতা হলে কয়েকমাসেও তা নিরসন হয় না। এতে বৃষ্টি হোক বা না হোক সাঁকো ব্যবহার করে বাড়িতে আসা-যাওয়া করগে হয়।

সোহাগীর মতোই দুর্ভোগের বর্ণনা তুলে ধরেন এ্যাডভোকেট ফয়সাল হোসাইন, এ্যাডভোকেট মো. নুরুল হক কোমল, এ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম শাওন, হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ ও মো. আব্দুস সামাদ।

তারা বলেন, এই এলাকায় ১ হাজার পরিবারে ১০ হাজার মানুষের বসবাস। অথচ পৌর কর্তৃপক্ষের কোনো চিন্তা নেই এই সড়কটি নিয়ে। ১২ নং ওয়ার্ডের সকল শ্রেণীর পেশার মানুষ আজ রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছে। চাঁদপুর পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ এ ওয়ার্ড, যেখানে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, দায়রা জজ আদালত, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তর রয়েছে। অথচ এ ওয়ার্ড সব চেয়ে বেশি অবহেলিত। এ সড়টির বিষয়ে পৌর মেয়র ও পৌর প্রশাসনের কাছে যেতে যেতে আমরা ক্লান্ত। তবুও তারা কোনো সুরাহা করছে না। শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারছে না জলাবদ্ধতার কারনে। এ ওয়ার্ডে কয়েকটি স্কুল এবং মাদ্রাসা রয়েছে। তাই কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এ সড়কটি সংস্কার, প্রসস্থকরণ ও পয়ঃনিষ্কাশনের ড্রেনেজ নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করুন।

মানববন্ধনে ওই সময় চাঁদপুর আইডিয়া স্কুল সহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেনি প্রেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

ছবি ক্যাপশন:- সড়ক সংস্কার, প্রসস্থকরণ ও পয়ঃনিষ্কাশনের ড্রেনেজ নির্মাণের দাবী।

বাতিঘর মানবকল্যাণ সংস্থার কমিটি ঘোষণা

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৮:৫৫ অপরাহ্ণ
বাতিঘর মানবকল্যাণ সংস্থার কমিটি ঘোষণা

সামাজিক সংগঠন বাতিঘর মানবকল্যাণ সংস্থার ২০২৫-২৭ অর্থ বছরের জন্য নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার রাতে সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা সাইফুল ইসলাম সিফাতের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

কমিটিতে মো. জাহাঙ্গীর হোসাইনকে সভাপতি, মো. হোসেন বেপারীকে সাধারণ সম্পাদক ও নিরব আহমেদকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

কমিটির অন্যান্য সদসরা হলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হোসাইন পাটোয়ারী, সহ-সভাপতি এস এম মিরাজ মুন্সী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন বরকন্দাজ, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মো. রনি, তথ্য গবেষণা ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইউসুফ বেপারী, দপ্তর সম্পাদক মো. শাখাওয়াত হোসেন, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ মো. মহিউদ্দিন, পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান রিমেল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফারজানা ইসলাম ইয়াসমিন , শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক নাছির উদ্দীন (নাছিমুল বারী), সম্মানিত সদস্য রাজু মির্জা, মো. সোহরাব, মো. তারেক আজিজ ও মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন।

সংগঠনটির সদ্য ঘোষিত সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক মো. হোসেন বেপারী বলেন, বাতিঘর মানবকল্যাণ সংস্থা একটি অরাজনৈতিক ও অলাভজনক সামাজিক সংগঠন। সংগঠনটির সদস্যদের প্রধান কাজ গরিব, অসহায় ও দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো। অতীতেও সংগঠনের সদস্যরা মানুষের কল্যাণে কাজ করেছে এবং ভবিষ্যতেও যেন নিঃস্বার্থে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে সেজন্য সকালের সহযোগিতা কামনা করেন তারা।

উল্লেখ্য, সংগঠনটি ২০২২ সালের ২৬ আগস্ট যাত্রা শুরু করে। এর পর থেকে অসহায় পরিবারের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ, হুইল চেয়ার বিতরণ, শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃক্ষ বিতরণ, ঈদ উপহার বিতরণ, ইফতার সামগ্রী বিতরণ, মেধাবী অসহায় শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগিতা ও বই বিতরণ সহ সামাজিক কাজে অবদান রাখছেন।

কচুয়ায় ড্রেজারের বালুর গর্তে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

কচুয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৮:৪৬ অপরাহ্ণ
কচুয়ায় ড্রেজারের বালুর গর্তে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায় ড্রেজারের বালুর গর্তের পানিতে ডুবে দু-শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলার ৮নং কাদলা ইউনিয়নের শাসনখোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুরা হলো: রায়হান (৬) ও রিহান আহমেদ (৩)। তারা মামাতো-ফুফাতো ভাই। রায়হান শাসনখোলা গ্রামের মোশারফের ছেলে। রিহান একই গ্রামের শাহিনের ছেলে।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অন্যান্য দিনের মতো মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পাশে একসঙ্গে খেলছিলো রায়হান ও রিহান। এ সময় পরিবারের লোকজন কাজে ব্যস্ত ছিলেন। খেলতে খেলতে এক পর্যায়ে দু শিশু খেলার ছলে বাড়ির পাশে থাকা একটি ড্রেজারের বালুর গর্তে পড়ে যায়। বাড়ির লোকজন তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
এক পর্যায়ে বালুর গর্তে তারা ডুবে আছে দেখতে পেয়ে স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার পানিতে ডুবে যাওয়া দুই শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে আনার পূর্বেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।