খুঁজুন
সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ, ১৪৩২

বাগাদীতে সম্পত্তি দখল করতে ৩০টি গাছ কেটে নিলো প্রতিপক্ষ

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৩৩ অপরাহ্ণ
বাগাদীতে সম্পত্তি দখল করতে ৩০টি গাছ কেটে নিলো প্রতিপক্ষ

পরিবেশ বান্ধব গাছের সাথে এ কেমন নিষ্ঠুরতা করলো প্রতিপক্ষের লোকজন। সম্পত্তি দখল করতে ৩০টি গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুর সদর উপজেলার ৮নং বাগাদি ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডস্থ পশ্চিম সকদি গ্রামে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ এতিমের জায়গা দখল করতে ৩০টি সুপারি গাছ কেটে নিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন।

এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে এলাকার মৃত করিম খানের ছেলে মহিন খান সম্পত্তির মালিককে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, পশ্চিম সকদি গ্রামের গফুর খান মারা যাওয়ার পর তার ১১ শতাংশ সম্পত্তি ছেলে ফরিদ খান টুটুল ও দুই মেয়ে আয়েশা আক্তার বেবি, সালমা আক্তার ঢাকার কাপড় ব্যবসায়ী শরীফ মুন্সির কাছে বিক্রি করে। সেই সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করার জন্য মঈন খান ৩০ টি সুপারি গাছ কেটে ফেলে।

এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে মঈন খান দলবল নিয়ে এতিম পরিবারের উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

এই বিষয়ে সম্পত্তির প্রকৃত মালিক গফুর খানের মেয়ে আয়েশা আক্তার বেবি জানায়, বাবা মারা যাবার পর মঈন খান আমাদের সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করে। পরে ১৪ শতাংশ জায়গার মধ্যে ১১ শতাংশ জায়গা বিক্রি করলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এলাকার সন্ত্রাসী বাহিনীদের ব্যবহার করে হামলা চালিয়ে এই জায়গার জবরদখল করার চেষ্টা করে সেই জায়গার ৩০ টি সুপারি গাছ কেটে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত মঈন খানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রস্তুতি চলছে।

এই বিষয়ে অভিযুক্ত মঈন খানের সাথে যোগাযোগ করতে তার বাড়িতে গিয়ে তাকে না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

মতলবে বাবার মৃত্যুর ৪ ঘণ্টা পর ছেলের মৃত্যু

মোঃ রবিউল আলম
প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫, ১০:৩৬ অপরাহ্ণ
মতলবে বাবার মৃত্যুর ৪ ঘণ্টা পর ছেলের মৃত্যু

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবা মো. আবুল হাসেম খান (৬০) এর মৃত্যুর ৪ ঘন্টা পার ছেলে মো. সোলেমান খান (৩০) ও মৃত্যু বরণ করেন।

জানা যায়, মতলব দক্ষিণ উপজেলার উত্তর ডিঙ্গাভাঙ্গা গ্রামের মো. সোলেমান খান (৩০) অসুস্থ হয়ে গত বৃহস্পতিবার ভর্তি হন চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে। রোববার সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে একই হাসপাতালে ভর্তি হন তাঁর বাবা মো. আবুল হাসেম খান (৬০)। ২৮ জুলাই সোমবার ভোর ৪টা ৪০ মিনিটে চিকিৎসাধীন আবস্থায় মারা যান মো. আবুল হাসেম খান। বাবার মৃত্যুর সংবাদ শুনে চিকিৎসাধীন সোলেমান খান আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাবার মৃত্যুর ৪ ঘণ্টা পর সোমবার সকাল ৯টায় মারা যান তিনি।

অল্প সময়ের ব্যবধানে একই পরিবারের দুজনের মৃত্যুতে তাঁদের পরিবার নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পারিবারিক কবরস্থানে তাঁদের লাশ দাফন করা হয়েছে।

মো. আবুল হাসেম খান ও মো. সোলেমান খানের বাড়ি চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার উত্তর ডিঙ্গাভাঙ্গা গ্রামে। মো. আবুল হাসেম খানের চার ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে সোলেমান খান বড়। মতলব দক্ষিণ উপজেলা সদরের গাউছিয়া মার্কেটে সোলেমানের দর্জি দোকান ছিল। তাঁর আয়েই সংসার চলত বলে জানিয়েছেন স্বজনেরা।

সোলেমান খানের ছোট ভাই মো. শাহাজালাল খান বলেন, ‘এত অল্প সময়ে বাবা ও বড় ভাইকে হারাইলাম। এই কষ্ট ও শোক ক্যামনে সহ্য করুম। বড় ভাইয়ের আয়েই সংসার চলত।’

মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালেহ আহাম্মদ বলেন, তিনি ঘটনাটি জেনেছেন। এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ হয়নি। দুজনের মৃত্যুই অসুস্থতাজনিত।

মতলবে ভূয়া ১৪ ফেসবুক আইডির বিরুদ্ধে ছাত্রদল নেতার জিডি

মোঃ রবিউল আলম
প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫, ১০:০২ অপরাহ্ণ
মতলবে ভূয়া ১৪ ফেসবুক আইডির বিরুদ্ধে ছাত্রদল নেতার জিডি

মতলব দক্ষিণ উপজেলায় বিএনপি এবং এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে অপপ্রচার করছে অসংখ্য ফেইক আইডি। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তি থেকে শুরু করে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাধারণ মানুষের নামে ফেইজবুকে ফেইক আইডির মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য, ছবি ও ভিডিও এডিটিং এবং গুজব ছড়িয়ে সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। আর এই সব ফেইক আইডির বিরুদ্ধে জিডি করলেন উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির ছাত্র প্রতিনিধি ও চাঁদপুর ‘ল’ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র মোঃ ফয়সাল খন্দকার।

রবিবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যায় ১৪টি ফেইক আইডির নাম ও লিঙ্ক উল্লেখ করে উপজেলার জনপ্রিয় ছাত্রদল নেতা ফয়সাল খন্দকারের জিডি করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানার ডিউটি অফিসার জিয়াউল হক মিলন।

জিডির অভিযোগ থেকে জানা যায়, সামাজিক, রাজনৈতিক ও পরিবারিকভাবে সম্মানহানি করার জন্য ছাত্রদল নেতা মোঃ ফয়সাল খন্দকারের নামে মিথ্য তথ্য ও ছবি এডিটিং করে ভিন্ন তারিখ ও সময়ে ফেইক আইডির মাধ্যমে ফেইজবুকে কয়েকটি পোস্ট করা হয়। ফেইক আইডি গুলোর মধ্যে মতলবের কিং, মতলব আমার গৌরবময় দীপ্ত, সংবাদ সারাদেশ, মতলবের আয়নাঘর, মতলব বার্তা, গুপ্ত রাজনীতি, Matlab Wants Peace, Snigdha Zaman, Ismail Prodhan, Md Jamal, মতলবের সিআইডি, সংবাদ সারাদেশ, পরিমনি, আজকের মতলব উল্লেখ্য যোগ্য।

তথ্য মতে, জিডিতে উল্লেখিত ফেইক আইডিগুলোসহ আরও অনেক ফেইক আইডির মাধ্যমে মতলব দক্ষিণ উপজেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাধারণ মানুষের নামে নানা রকম উস্কানিমূলক তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করছে প্রতিনিয়ত। রীতিমতো এসব আইডিগুলি বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে তথ্য ছড়িয়ে ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের অর্থ দাবি করছে। এই সমস্ত ফেক আইডির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে বহুবার। তারপরও আইনের তোয়াক্কা না করেই, নির্ধিয়ায় চালাচ্ছে এসব বেনামি আইডিগুলি। উপজেলায় সম্প্রীতি কিছু আইডি বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ থেকে শুরু করে সাংবাদিক পর্যন্ত সকলের নামে বিভ্রান্তমূলক তথ্য ছড়িয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে দিন রাত সমান তালে। যে কোন নির্বাচন ও দলের কমিটি গঠন করার সমেয় আসলেই এসব ফেক আইডির জন্ম হয় অনেক বেশি।

থানায় জিডি করার বিষয়ে একাধিক রাজনৈতিক মামলার আসামি ছাত্রদল নেতা ফয়সাল খন্দকার বলেন, ২০১৪ সালের ২৮ অক্টোবর রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতার হয়েছি। ২০২৩ সালে নয়পল্টনে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে আহত হই। ২০২৪ সালের ২৪ মার্চ মতলব দক্ষিণ থানার সাবেক ওসি রিপন বালা তুলে নিয়ে আমাকে শারীরিক নির্যাতন করে এবং ১৪ জুলাই উপজেলা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আমার উপর অতর্কিতভাবে হামলা করে পাঁজরের হাড় ভেঙে দেয়। ছাত্রদলের রাজনীতিতে আমার ত্যাগ ও অর্জনকে কলঙ্কিত করতে একটি পক্ষ ওই সকল ফেইক আইডির মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

ফয়সাল খন্দকার আরও জানান, আইনি প্রক্রিয়া শুরু করতে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করছেন এবং সাইবার ক্রাইম ইউনিটেও অভিযোগ জানাবেন। তার ধারণা, দলীয় রাজনীতিতে গ্রুপিং এর কারণে একটি চক্র সক্রিয় এবং এর পেছনে একাধিক ব্যক্তি জড়িত।

এ বিষয়ে মতলব দক্ষিণ থানার ওসি মো. সালেহ আহাম্মদ বলেন, উপজেলায় আমরা অনেক ফেসবুক ফেইক একাউন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা ইতিমধ্যে চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছি। অতি শীঘ্রই এসব ফেইক আইডির মালিকদের ধরে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

শহীদ সিয়াম সর্দারের কবর জিয়ারত করলেন গণঅধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দ

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫, ৯:৫০ অপরাহ্ণ
শহীদ সিয়াম সর্দারের কবর জিয়ারত করলেন গণঅধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনে বুলেটের আঘাতে নির্মমভাবে মৃত্যুবরণ করেন সিয়াম সরদার। চাঁদপুর সদর উপজেলার ৬ নং মৈশাদী ইউনিয়নের সোহাগ সরদারের ছেলে সিয়াম সরদার (ওরফে জিহাদ) ( ১৭) এর রুহের মাগফিরাত কামনায় দক্ষিণ হামান কর্দ্দি জামে মসজিদে ২৮ জুলাই সোমবার বাদ আসর চাঁদপুর জেলা গণঅধিকার পরিষদের আয়োজনে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করে।

মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন চাঁদপুর জেলা গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক কাজী রাসেল, সদস্য সচিব মাহমুদুল হাসান, যুগ্ম আহবায়ক সাংবাদিক মোঃ জাকির হোসেন, যুগ্ম সদস্য সচিব সামিউল প্রধান, ওমর সালমান, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম শরীফ হোসেন, সদর উপজেলা যুব অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব আলামিন সুমন,পৌর যুব অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব মাসুদ রানা নিশান, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খলিলুর রহমান, ১০ নং লক্ষীপুর মডেল ইউনিয়ন যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মাহাবুব অলিউল্লাহসহ ওই এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং মুসল্লিগণ ।

দোয়া শেষে সবাই তার কবর জিয়ারত করেন এবং পরিবারের সাথে কথা বলেন নেতৃবৃন্দরা। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা ইমরান হোসেন।

সিয়াম সরদারের বাবা আবেগ আপ্লুত কন্ঠে বলেন, আমার একমাত্র ছেলে দেশের কল্যাণের জন্য শহীদ হয়েছেন আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতবাসী করেন। আমি একজন দিনমজুরের কৃষক আমার ছেলে সিয়াম টাইলস মিস্ত্রির কাজ করতেন ২৪ এর ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনে ১৮ই জুলাই ঢাকায় মিরপুর ১০ বেনারসী মার্কেটের সামনে আন্দোলনরত অবস্থায় বুলেটের আঘাতে নির্মম ভাবে মৃত্যুবরণ করেন। আমার ছেলের বাম চোখ দিয়ে বুলেট ঢুকে পিছন দিয়ে বের হয়ে যায়, কত না কষ্ট পেয়েছে আমার ছেলেটা। আমরা খবর পেয়েছি ঐদিন রাত পৌনে বারোটার সময় পরদিন শুক্রবার জানাজা শেষে তাকে দাফন করেছি। একমাত্র ছেলেকে হারিয়েছি দুঃখ নেই কারণ আমার ছেলের মত আরো শত শত দেশপ্রেমীরা জীবন দিয়েছে এবং দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করেছে। আমার ছেলে সহ সকল শহীদদের জন্য আমি দোয়া চাচ্ছি আপনারাও দোয়া করবেন আল্লাহ যেন সবাই বেহেশত নসিব করেন।

সিয়ামের বোন হাঁসি ইসলাম জানায়, সরকার থেকে আমরা সহযোগিতা পাচ্ছি এছাড়াও বিএনপি, জামাত, ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দরা আমাদের খোঁজ খবর নিয়েছেন। আমরা সরকার, প্রশাসন ও আপনারাসহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।