খুঁজুন
শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ২৯ চৈত্র, ১৪৩১

চাঁদপুরে ৯১ ইটভাটার মধ্যে অবৈধ ৪১টি ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে

শওকত আলী
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ৫:২১ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে ৯১ ইটভাটার মধ্যে অবৈধ ৪১টি ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে

চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলায় ৯১ ইটভাটার মধ্যে ৪১ ভাটাই অবৈধ। আর এসব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে শুরু হয়েছে যৌথ বাহিনীর অভিযান। একইদিন ফরিদগঞ্জ উপজেলার তিনটি ইটভাটা ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

রবিবার দুপুরে অভিযানের অংশ হিসেবে ফরিদগঞ্জ উপজেলার মেসার্স টুগবি ব্রিক ফিল্ড, ভঙ্গেরগাঁও ব্রিক ফিল্ড এবং মানিকরাজ ব্রিক ফ্লিল্ড এ ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় এসব ব্রিক ফিল্ড বুলডুজার দিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয় এবং দমকল বাহিনী পানি দিয়ে ভাটার চলমান আগুন বন্ধ করে দেয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে থাকা চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকারিয়া হোসেন বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক জেলার অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধ করার জন্য জেলা প্রশাসক বলেছেন। এরপরও যারা বন্ধ করছে না, তাদের ইটভাটাগুলো ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে এবং এই কাজ অব্যাহত থাকবে।

অভিযানে অংশগ্রহণকারী আরেক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিপঙ্কর বড়াই বলেন, জেলায় ৯১ ইটভাটার মধ্যে অধিকাংশ ভাটাই অবৈধ। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক যারা ভাটা বন্ধ করবেন না, তাদেরগুলো বন্ধের ব্যবস্থা করা হবে। তারই অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও দমকল বাহিনীর সহযোগিতায় অভিযান শুরু হয়েছে। এটি চলমান থাকবে।

পরিবেশ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমরা উচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী কাজ শুরু করেছি। ইতোপূর্বে জেলা প্রশাসক ইটভাটা মালিকদের নিয়ে তাঁর কার্যালয়ে বৈঠক করেছেন। ওই সময় তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন অবৈধ ও লাইসেন্স ছাড়া যেসব ভাটা রয়েছে সেগুলো বন্ধ রাখার জন্য। এর সাথে নির্দেশনা ছিলো যেসব ইটভাটা বন্ধ করবে না, সেগুলো পর্যায়ক্রমে আমরা বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আজকে যেসব ইটভাটা বন্ধ করে দিয়েছি এসব ভাটা মালিকদের একাধিকবার জরিমানা করা হয়েছে এবং বন্ধ করার জন্য বলা হয়েছে।

অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. হান্নানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সহযোগিতা করেন।

ড.জালালের পক্ষে মুন্সীরহাটে অগ্নিকান্ডস্থল পরিদর্শন করেন এনামুল হক বাদল

মোঃ রবিউল আলম
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:০৪ অপরাহ্ণ
ড.জালালের পক্ষে মুন্সীরহাটে অগ্নিকান্ডস্থল পরিদর্শন করেন এনামুল হক বাদল

মতলবের মুন্সীরহাট বাজারে অগ্নিকান্ডস্থল পরিদর্শন করেন মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার বিকালে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব ড. মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনের পক্ষে আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকান মালিকদের সাথে কথা বলেন মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও মতলব পৌরসভার সাবেক মেয়র এনামুল হক বাদল।

এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদেরকে কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা আলহাজ্ব ড. মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনের পক্ষ থেকে সমবেদনা জানান এবং তারা যেন এ ক্ষতি পুষিয়ে পুনরায় ব্যবসা কার্যক্রম চালিয়ে আসতে পারেন সেজন্য দোয়া করেন। এ ক্ষেত্রে সরকারি সহায়তার পাশাপাশি ব্যক্তিগত সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেয়া হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ সফিকুল ইসলাম সাগর এবং মতলব পৌর ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম নয়ন হাজরা, সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেনসহ স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মী।

পরিদর্শনকালে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব ড. মোঃ জালাল উদ্দিনের পক্ষে থেকে সান্তনা দেন এবং সমবেদনা জানান উপজেলা বিএনপির সভাপতি এনামুল হক বাদল।

উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে একটি ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে মুন্সীরহাট বাজারের ১৮ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

হাইমচরে বাংলা নববর্ষ কে স্বাগত জানিয়ে ইসলামিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

মোঃ শরীফ হোসেন
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:৫২ অপরাহ্ণ
হাইমচরে বাংলা নববর্ষ কে স্বাগত জানিয়ে ইসলামিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

‘বিজাতীয় অপসংস্কৃতি নয়, মুসলিম সংস্কৃতিই এদেশের ঐতিহ্য’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে হাইমচর উপজেলায় বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ তারুন্য মঞ্চে নূরের খোঁজে ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এক ইসলামিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অপসংস্কৃতির পরিবর্তে ইসলামিক ভাবধারাপূর্ণ বিভিন্ন গজল পরিবেশন করেন জনপ্রিয় শিল্পীরা।

শুক্রবার সকালে এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নূরের খোঁজে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা জুলফিকার হাসান মুরাদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাইমচর থানা অফিসার ইনচার্জ মহিউদ্দিন সুমন।

হৃদয় মানবতা সামাজিক সংগঠনের সভাপতি বোরহান উদ্দিন শিহাবের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হাইমচর প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাওলানা আলী আকবর এবং প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক সাহেদ হোসেন দিপু পাটোয়ারী।

অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, বরেণ্য ওলামা মাশায়েখ, স্থানীয় রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক এবং এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। ইসলামিক সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরার এই ব্যতিক্রমী আয়োজন সকলের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। বক্তারা তাদের বক্তব্যে মুসলিম সংস্কৃতির গুরুত্ব এবং অপসংস্কৃতির প্রভাব সম্পর্কে আলোকপাত করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অফিসার ইনচার্জ মহিউদ্দিন সুমন এই ধরনের ইসলামিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম এবং আমাদের সংস্কৃতি একটি সমৃদ্ধ সংস্কৃতি। এই ধরনের অনুষ্ঠান সমাজের সকল স্তরের মানুষকে একত্রিত করতে এবং সঠিক পথে পরিচালিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

বিশেষ অতিথিবৃন্দও তাদের বক্তব্যে ইসলামিক সংস্কৃতির চর্চা এবং এর প্রসারের উপর জোর দেন। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশনকারী শিল্পীরা ইসলামিক গান ও হামদ-নাত পরিবেশনের মাধ্যমে দর্শকদের মুগ্ধ করেন।

নূরের খোঁজে ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগ হাইমচরে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে, যেখানে নিজস্ব সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে উৎসবকে উদযাপন করা হচ্ছে।

কচুয়ায় ১২০ বছরের বৃদ্ধ জায়েদা বেগমের পাশে দাঁড়িয়েছেন রফিকুল ইসলাম রনি

ইউনুছ মিয়া
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:১৯ অপরাহ্ণ
কচুয়ায় ১২০ বছরের বৃদ্ধ জায়েদা বেগমের পাশে দাঁড়িয়েছেন রফিকুল ইসলাম রনি

Oplus_131072

কচুয়ায় ১২০ বছরের বৃদ্ধ অসহায় জায়েদা বেগমের পাশে দাঁড়িয়েছেন কচুয়ার কৃতি সন্তান ও বাংলাদেশ বিআরবি ক্যাবলস লিমিটেডের মার্কেটিং ডাইরেক্টর শিক্ষানুরাগী রফিকুল ইসলাম রনি। সে উপজেলার সাচার ইউনিয়নের হাতিরবন্দ গ্রামের মিয়াজি বাড়ির মৃত বস্কর আলীর স্ত্রী। বৃদ্ধ জায়েদা বেগম দুনিয়াতে স্বামী, সন্তান ও পরিবারের লোকজন না থাকায় জীবন যুদ্ধ সংগ্রামে দিন কাটাচ্ছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃদ্ধ জায়েদা বেগম স্বামী বস্কর আলীর মৃত্যুর পর স্বামীর ভালোবাসার মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কারণে আর বিয়ে করেননি। যৌবন জীবনটা কাটিয়েছেন স্বামীর ভালোবাসার শ্রদ্ধা ও মায়ার বন্ধনে।

বস্কর আলী ও বৃদ্ধ জায়েদা বেগমের একটি ছেলে থাকলেও অভাব অনটনে কারণে মাকে ছেড়ে ছেলের পরিবার নিয়ে জীবন কাটছে হিমশিমে। ছোট্ট একটি ঝুপড়ি ঘরে ১২০ বছরের বৃদ্ধা জায়েদা বেগমের জীবন কাটছে দুঃখ-কষ্টে ও সংগ্রামে। বেঁচে থাকার জন্য বৃদ্ধ জায়েদা বেগম জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। জায়েদা বেগম সরকারি ও বেসরকারিভাবে কোন সহায়তা পাচ্ছেনা তেমন। থাকার জন্য একটি সরকারি গৃহ নির্মাণের প্রকল্প থেকে একটি ঘরের জন্য জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের কাছে গেলেও কেউ সাড়া দেননি তার ডাকে। এরকম পরিস্থিতিতে বৃদ্ধ জায়েদা বেগম জীবন সংগ্রাম নিয়ে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হলে কচুয়ার কৃতি সন্তান, বাংলাদেশ বিআরবি ক্যাবলস লিমিটেডের মার্কেটিং ডাইরেক্টর ও শিক্ষানুরাগী রফিকুল ইসলাম রনির নজরে আসলে সে বৃদ্ধ মায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। শুক্রবার শিক্ষানুরাগী রফিকুল ইসলাম রনির প্রতিনিধি একটি দল বৃদ্ধ জায়েদা বেগমের বাড়িতে গিয়ে কয়েক মাসের খাবারের জন্য বাজার ও ঝুড়ি ছোট্ট ঘরটি থেকে বৃদ্ধ জায়েদা বেগম স্বস্তিতে জীবন কাটার জন্য ঘর মেরামত করার জন্য নগদ অর্থ প্রদান করেন।

শিক্ষানুরাগী রফিকুল ইসলাম রনির মানবতার দৃষ্টি স্থাপন দেখে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দরা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।