খুঁজুন
বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১৯ ভাদ্র, ১৪৩২

পদ্মা-মেঘনায় দুই মাস জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচি

অভিযানের জন্য বরাদ্দকৃত জ্বালানি খুবই অপ্রতুল

মনিরুজ্জামান বাবলু
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৭:০৫ অপরাহ্ণ
অভিযানের জন্য বরাদ্দকৃত জ্বালানি খুবই অপ্রতুল

ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে সরকার প্রতিবছর প্রজনন নিশ্চিত ও জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে। সরকারের এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স। এর মধ্যে দিন ও রাতে অভয়াশ্রম এলাকায় নিয়মিত টহলে থাকে নৌ পুলিশ। কিন্তু নৌ পুলিশকে জাটকা সংরক্ষণে দায়িত্ব পালনে যে নৌযান এবং জ¦ালানি দেয়া হয়, তা খুবই নগন্য। বাণিজ্যিক ভাবে নৌযান পরিচালনাকারীদের সাথে কথা বলে জানাগেল জ্বালানির খরচের পরিমান। নৌ পুলিশও তুলে ধরেছেন তাদের বাস্তবতা। জ্বালানির বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন মনে করে মৎস্য বিভাগ।

জানা গেছে, দেশের ৫টি অভয়াশ্রম এলাকায় মার্চ-এপ্রিল দুই মাস জাটকার বিচরণ বেশি থাকে। যে কারণে এই সময়ে ইলিশসহ সব ধরণের মাছ আহরণ, মজুদ, পরিবহন ও ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ থাকে। আর এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে কাজ করে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ।

চাঁদপুরে নৌ পুলিশের একটি থানাসহ ৬টি পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে। এসব ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা নৌযান দিয়ে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য যে জ্বালানি তেল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, তাতে ভাড়া কিংবা নৌ পুলিশের নিজস্ব স্পীড বোট চালু করলেই জালানি শেষ হয়ে যাওয়ার উপক্রম। বাকি ২৪ ঘন্টা নদীতে টহলে থাকা কোনভাবেই সম্ভব হয় না।

চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন মোলহেডে বাণিজ্যিকভাবে স্পীড বোট ভাড়ায় পরিচালনা করেন বেশ কয়েকজন। তার মধ্যে আব্দুর রহিম বলেন, ২০০ সিসি একটি বোট প্রতিঘন্টায় ৬০ লিটার জ্বালানি এবং দুটি ইঞ্জিন ওয়েল লাগে। আর যাত্রী বেশি হলে আরো বেশি খরচ হয়। একই কথা জানালেন আলমগীর হোসেন নামের আরেক স্পীড বোট চালক। তিনি বলেন, তার ৭৫ সিসি স্পীড বোট প্রতিঘন্টায় জ্বলানি খরচ হয় ৪০ লিটার এবং ইঞ্জিন ওয়েল খরচ হয় ১ থেকে দেড় লিটার।

নৌ পুলিশ জানায়, চাঁদপুর নৌ থানায় একটি স্পীড বোট থাকলেও সেটি অকেজো। যে কারণে দিন ও রাতে তাদের ২টি করে ৪টি স্পীড বোটই ভাড়া নিয়ে অভিযান পরিচালনা করতে হয়। প্রতিঘন্টায় ন্যূনতম একটি স্পীড বোট পরিচালনায় ৪০-৬০ লিটার জ¦ালানি লাগে। আর তাদের জন্য প্রতিদিনের গড় বরাদ্দ হচ্ছে ৮ থেকে ১০লিটার। তাও আবার ইঞ্জিন ওয়েল ছাড়া।

চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএসএম ইকবাল বলেন, নদীতে টহলের জন্য আমাদের মাসিক বরাদ্দ থাকে। তবে অভিযান পরিচালনার জন্য বাড়তি বরাদ্দ আসে। তবে ওই বরাদ্দ খুবই অপ্রতুল। চলমান অভিযানে আমাদের থানা থেকে দুটি করে ৪টি টহল দল থাকে। তাদের অভিযান চলমান রাখার জন্য দৈনিক কমপক্ষে ১৫০ লিটার জ্বালানির প্রয়োজন হয়।

অভিযানের সময়ে জ¦ালানি বরাদ্দ বৃদ্ধির বিষয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মির্জা ওমর ফারুক বলেন, অভয়াশ্রম এলাকায় সদরসহ ৯টি স্পীড বোট নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এর মধ্যে একটি ২৩০ সিসি স্পীড বোটের প্রতিদিন প্রায় ২০০ লিটার জ্বালানি খরচ হয় এবং ৫০ ঘন্টা পরপর ১০ লিটার ইঞ্জিন ওয়েল খরচ হয়। তবে অভিযান আরো সফল করার জন্য এই জ্বালানি বরাদ্দ ও লোকবল বাড়ানো যায় তাহলে টহল আরো বৃদ্ধি করা যাবে।

নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, স্পীড বোট জ্বালানি অত্যন্ত ব্যয় বহুল। আমরা যদি সর্বনিম্ন ৭৫ সিসি স্পীড বোট দিয়ে ৩ ঘন্টা অভিযান পরিচালনা করি তাতেও কমপক্ষে ১৪০ লিটার জ্বালানির প্রয়োজন হয়। চলমান জাটকা সংরক্ষণ অভিযানে আমাদের যে পরিমান জ্বালানি প্রয়োজন, তার তুলনায় বরাদ্দ খুবই অপ্রতুল। নৌ অঞ্চলের একটি থানা ও ১১টি ফাঁড়ির জন্য মাসিক বরাদ্দ হচ্ছে ৩ হাজার লিটার। যা দিয়ে অভিযান পরিচালনা করা খুবই কষ্ট সাধ্য হয়ে যাচ্ছে।

এসপি আরো বলেন, গত ৫ আগস্টের ঘটনায় চাঁদপুর নৌ থানা পুড়িয়ে দেয়া হয়। এরপর কাজ চালানোর উপযোগী করা হলেও থানায় হাজত খানা প্রস্তুত হয়নি। এছাড়াও অভিযানের সময় জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্সের অভিযানে আটক জেলেদের থানায় ও আদালতে আনা-নেয়ার জন্য পরিবহন সংকট রয়েছে। গণপরিবহনে আসামী নেয়ার ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে।

৮ ব্যাংক থেকে আরও ৪ কোটি ৭৫ লাখ ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৭:৪১ অপরাহ্ণ
৮ ব্যাংক থেকে আরও ৪ কোটি ৭৫ লাখ ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক

ডলারের বাজার স্থিতিশীল রাখতে বিগত তিন অর্থবছর ধরে রিজার্ভ থেকে বিপুল পরিমাণ ডলার বিক্রি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ভিন্ন পথে হাঁটছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ছয় দফায় মোট ৬৮ কোটি ডলারের বেশি কিনে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সবশেষ আজ মঙ্গলবার ৮টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে কেনা হয়েছে ৪ কোটি ৭৫ লাখ ডলার।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, বাজারে বর্তমানে ডলারের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি। এ কারণেই রিজার্ভ থেকে বিক্রি না করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজার থেকেই ডলার কিনছে। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভবিষ্যতেও এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

আজ ডলার কেনা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ (এফএক্স) নিলাম কমিটির মাধ্যমে, মাল্টিপল প্রাইস অকশন পদ্ধতিতে। এক ডলারের বিনিময় হার ছিল ১২১ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৭৫ পয়সা পর্যন্ত।

এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পাঁচ দফায় ডলার কেনে। ১৩ জুলাই ১৮ ব্যাংক থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার কেনা হয়। এরপর ১৫ জুলাই একই দরে ৩১ কোটি ৩০ লাখ ডলার, ২৩ জুলাই ১২১ টাকা ৯৫ পয়সা দরে এক কোটি ডলার কেনে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া ৭ আগস্ট ১২১ টাকা ৩৫ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে ৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার, ১০ আগস্ট ১১ ব্যাংকের কাছ থেকে ১২১ টাকা ৪৭ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে মোট ৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার কেনা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ডলারের দাম হঠাৎ করে অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া বা অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়া- দুটোই অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। বর্তমানে দেশে খাদ্যের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে এবং বিদেশি দায় পরিশোধও সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ফলে নিকট ভবিষ্যতে ডলারের তীব্র চাহিদা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

তাদের মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই ডলার ক্রয় রিজার্ভকে আরও শক্তিশালী করবে। এছাড়া জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এলে বিনিয়োগ বাড়বে, ফলে ডলারের চাহিদাও বাড়তে পারে।

২০১৮ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে রাতের ভোটের পরামর্শ দিয়েছিল কে?

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৭:১৩ অপরাহ্ণ
২০১৮ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে রাতের ভোটের পরামর্শ দিয়েছিল কে?

২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগের রাতে ৫০ শতাংশ ভোট ব্যালট বাক্সে ভরার পরামর্শ দিয়েছিলেন ওই সময়ের পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জাবেদ পাটোয়ারী।

মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১- এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে জবানবন্দিতে এ কথা জানান আসামি থেকে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। এদিন বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন জুলাই আন্দোলনের সময়ে পুলিশ প্রধানের দায়িত্বে থাকা মামুন।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগের রাতে ৫০ শতাংশ ভোট ব্যালট বাক্সে ভরে রাখতে শেখ হাসিনাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন ওই সময়ের আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী।

এসময় পুলিশে গোপালগঞ্জ সিন্ডিকেট নিয়েও জবানবন্দি দেন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

সাবেক আইজিপি ট্রাইব্যুনালে আরও বলেন, আন্দোলন দমনে মারণাস্ত্র ব্যবহার, হেলিকপ্টার থেকে গুলি ও ব্লক রেইডের সিদ্ধান্ত হয় রাজনৈতিকভাবে।

তিনি জানান, লেথাল উইপেন ব্যবহারের নির্দেশনা এসেছিল শেখ হাসিনার কাছ থেকে। আর সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান হাবিব, ডিবির হারুন ছিলেন মারণাস্ত্র ব্যবহারে অতিউৎসাহী।

আব্দুল্লাহ আল মামুন জবানবন্দিতে বলেন, র‌্যাব-১ এ টিআইএফ নামে গোপন বন্দিশালা ছিল। অন্যান্য র‌্যাবের ইউনিটে ছিল এমন বন্দিশালা। রাজনৈতিক ভিন্নমত ও সরকারের জন্য হুমকি হয় এমন মানুষদের ধরে আনা হতো এখানে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে আসতো এসব নির্দেশনা। কখনো নির্দেশনা দিতেন তারেক সিদ্দিকী। আর আয়নাঘরে আটক ও ক্রসফায়ারে হত্যার মতো কাজগুলো করতেন র‌্যাবের এডিসি অপারেশন ও গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক।

এ বছরের ২৪ মার্চ মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি জানান, স্বেচ্ছায় আসামি থেকে রাজসাক্ষী হয়ে সত্য উন্মোচন করতে চান তিনি।

এর আগে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনে আহত, শহীদ পরিবারের সদস্য, চিকিৎসকসহ ৩৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ মাসেই এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হওয়ার প্রত্যাশা করছে প্রসিকিউশন।

আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে বাড়ছে লাশের সারি, ১৪০০ ছাড়ালো প্রাণহানি

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৬:৫৬ অপরাহ্ণ
আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে বাড়ছে লাশের সারি, ১৪০০ ছাড়ালো প্রাণহানি

আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, কেবল কুনার প্রদেশেই অন্তত ১ হাজার ৪১১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৩ হাজার ১২৪ জন। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে অন্তত ৫ হাজার ৪০০ বাড়ি।

এর আগে আফগান রেড ক্রিসেন্ট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ১২৪ জন বলে জানিয়েছিল। তবে উদ্ধার অভিযান চলমান থাকায় মৃতের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বহু গ্রাম সম্পূর্ণভাবে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।

উদ্ধারকর্মীরা মরিয়া হয়ে ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া মানুষদের খুঁজছেন। তবে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের কারণে অনেক গ্রাম সড়ক ও মোবাইল নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, যা ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রমকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে।

কুনারের নুরগাল জেলার এক বাসিন্দা বলেন, শিশুরা ধ্বংসস্তূপের নিচে। বৃদ্ধরা ধ্বংসস্তূপের নিচে। তরুণরাও ধ্বংসস্তূপের নিচে। তিনি আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য আকুতি জানিয়ে বলেন, আমাদের সাহায্য দরকার। মরদেহ সরাতে এবং জীবিতদের উদ্ধারে আমাদের পাশে দাঁড়ান।

গত রোববার (৩১ আগস্ট) স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে আঘাত হানে ছয় মাত্রার এ ভূকম্পন। এর কেন্দ্রস্থল ছিল জালালাবাদ শহর থেকে প্রায় ২৭ কিলোমিটার দূরে এবং গভীরতা ছিল মাত্র আট কিলোমিটার। ভূমিকম্পের পর একাধিক আফটারশক অনুভূত হয়, যা আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে তোলে।

ভূমিকম্পের আগে আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল অঞ্চলটি। গত সপ্তাহান্তে নানগারহার ও কুনারের সেই বন্যায় অন্তত পাঁচজন নিহত হন এবং অন্তত ৪০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আফগানিস্তান ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল। দেশটির হিন্দুকুশ পর্বতমালা ইউরেশীয় ও ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত হওয়ায় প্রায়ই ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে।

ভূমিকম্প ও বন্যার পরপরই ভয়াবহ প্রাণহানি ও অবকাঠামোগত ক্ষতি আফগানিস্তানকে বড় ধরনের মানবিক সংকটের মুখে ঠেলে দিয়েছে।

সূত্র: আল-জাজিরা