খুঁজুন
শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ২৯ চৈত্র, ১৪৩১

চাঁদপুরে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে করণীয় বৈঠক

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ণ
চাঁদপুরে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে করণীয় বৈঠক

চাঁদপুরে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে করণীয় বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও চাঁদপুর পৌরসভার প্রশাসক গোলাম জাকারিয়া।

চাঁদপুরে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে করণীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার শহরের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপি, জাতীয় পার্টি, গণ-অধিকার পরিষদ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি, প্রশাসন, পুলিশ, সাংবাদিক, সমাজের প্রতিনিধি, যুব সংগঠন প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও চাঁদপুর পৌরসভার প্রশাসক গোলাম জাকারিয়া।

তিনি বক্তব্যে বলেন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। আমরা সমস্যার কথা সবাই জানি ও বলি। তবে এর সমাধান আমাদেরকেই বের করতে হবে। সকলকে রাষ্ট্রীয় আইন মেনে চলতে হবে। সমাজ পরিবর্তনে শুধু প্রশাসন, পুলিশের একা দায়িত্ব নয়, তা আপনার আমার সকলের দায়িত্ব। সকলে ন্যায় সঙ্গত কাজের সাথে থাকবেন।

তিনি আরো বলেন, আত্ম-সামাজিক উন্নয়ন করতে হবে। এর মধ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ কয়েকটি বিষয় জড়িত। মেয়েদের শিক্ষার মান না বাড়লেও হার বেড়েছে। আমাদের মধ্যে কিছু কালচার বিদ্যমান রয়েছে। এর মধ্যে খারাপ কালচার থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

ম্যাফ চাঁদপুরের সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মুনির চৌধুরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফর রহমান, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি রহিম বাদশা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের পলাশ, জেলা মহিলা অধিদপ্তরের ফিল্ড অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা গন অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ জাকির হোসেন।

ম্যাফের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বাহার ও দপ্তর সম্পাদিক নাহিদা সুলতানা সেতুর পরিচালনায় আরোও বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলাদলের নেত্রী অ্যাড. রেহেনা ইয়াসমিন কচি, তালতলা পাটওয়ারী বাড়ি জামে মসজিদের খতিব মাওঃ আব্দুস সালাম, সদর থানা জাতীয়পার্টি সভাপতি জাকির হোসেন হিরু, জেলা কৃষকদলের সভাপতি ও ম্যাফের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ খোকন, চাঁদপুর প্রভাতি কাগজের সম্পাদক ও প্রকাশক আব্দুল আউয়াল রুবেল, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি সাকিবুল ইসলাম, পৌর মহিলাদলের সহ-সভাপতি ফারজানা রুজি, সদর থানা ছাত্রদলের সভাপতি জিসান আহমেদ, তারণ্যের অগ্রদুতের সাধারণ সম্পাদক তাহসিনুর রহমান বুনন।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের সিনিয়র রিজিওনাল ম্যানেজার আবুল বাশার। সভার শুরুতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ম্যাফের সদস্য তানিয়া ইসলাম।

বক্তারা বলেন, বর্তমানে চাঁদপুরে বাল্যবিবাহের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে কোভিড-১৯ চলাকালীন ও পরবর্তী সময়ে বাল্য বিবাহের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। দরিদ্র পরিবারের অভিভাবকগন জীবনযাপনের ব্যয়ভার কমাতে অনেক সময় কন্যা সন্তানের দ্রুত বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। এছাড়া বর্তমান সামাজিক অস্থিরতা ও নিরাপত্তার অভাবে বাল্যবিবাহের প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে। আলোচনায় জানানো হয়, ১৮ বছরের নিচে মেয়েদের অপরিণত সন্তান জন্মদান বা কম ওজনের সন্তান জন্মদানের আশঙ্কা ৩৫-৫৫ শতাংশ বেশি। এক্ষেত্রে ১৮ বছরের নিচে বয়সী মায়েদের শিশু মৃত্যুর হার ৬০ শতাংশ বেশি বলে জানান তারা। এজন্য সম্মিলিতভাবে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদ দেন।

সভায় বক্তারা যে সকল সমস্যা ও সুপারিশ তুলে ধরেন তা হলো- বর্তমানে চাঁদপুরে বাল্যবিবাহের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে কোভিড-১৯ চলাকালীন ও পরবর্তী সময়ে বাল্য বিবাহের এ প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাল্যবিবাহ তুলনামূলক ভাবে রিমোট এলাকাগুলোতে বেশি সংগঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে ২নং ওয়ার্ড থেকে ৮ নং ওয়ার্ড পর্যন্ত ব্যাপক হারে হচ্ছে। উল্লেখযোগ্য হলো ৭ নং ওয়ার্ডের ব্যাপারে কয়েকটি স্কুল যেমন- শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়, আক্কাস আলী, উত্তর শ্রীরামদি প্রাথমিক স্কুল, এছাড়াও অন্যান্য ওয়ার্ডের প্রাথমিক বিদ্যালয়েরও একই অবস্থা। লক্ষনীয় বিষয় হল তৃতীয় শ্রেনী থেকে পঞ্চম শ্রেণীর শিশুদের বাল্যবিবাহ ঘটছে বেশী। এই কনফারেন্স হতে চাঁদপুরে বাল্যবিবাহের মত জনগুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানে নাগরিক সমাজ, প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান করা হয়।

চাঁদপুর জেলায় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সকল সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার তাগিদ দিয়েছেন। এজন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সরকারী কর্মকর্তাদের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে স্থানীয় জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ঐক্যমত প্রতিষ্ঠার করণীয় ঠিক করতে মাল্টি-পার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম (এমএএফ) চাদঁপুর এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

যুক্তরাজ্যের এফসিডিও -এর অর্থায়নে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশন্যাল পরিচালিত বি-স্পেস প্রকল্প এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে সহায়তা করে।

ড.জালালের পক্ষে মুন্সীরহাটে অগ্নিকান্ডস্থল পরিদর্শন করেন এনামুল হক বাদল

মোঃ রবিউল আলম
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:০৪ অপরাহ্ণ
ড.জালালের পক্ষে মুন্সীরহাটে অগ্নিকান্ডস্থল পরিদর্শন করেন এনামুল হক বাদল

মতলবের মুন্সীরহাট বাজারে অগ্নিকান্ডস্থল পরিদর্শন করেন মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার বিকালে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব ড. মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনের পক্ষে আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকান মালিকদের সাথে কথা বলেন মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও মতলব পৌরসভার সাবেক মেয়র এনামুল হক বাদল।

এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদেরকে কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা আলহাজ্ব ড. মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনের পক্ষ থেকে সমবেদনা জানান এবং তারা যেন এ ক্ষতি পুষিয়ে পুনরায় ব্যবসা কার্যক্রম চালিয়ে আসতে পারেন সেজন্য দোয়া করেন। এ ক্ষেত্রে সরকারি সহায়তার পাশাপাশি ব্যক্তিগত সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেয়া হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ সফিকুল ইসলাম সাগর এবং মতলব পৌর ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম নয়ন হাজরা, সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেনসহ স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মী।

পরিদর্শনকালে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব ড. মোঃ জালাল উদ্দিনের পক্ষে থেকে সান্তনা দেন এবং সমবেদনা জানান উপজেলা বিএনপির সভাপতি এনামুল হক বাদল।

উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে একটি ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে মুন্সীরহাট বাজারের ১৮ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

হাইমচরে বাংলা নববর্ষ কে স্বাগত জানিয়ে ইসলামিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

মোঃ শরীফ হোসেন
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:৫২ অপরাহ্ণ
হাইমচরে বাংলা নববর্ষ কে স্বাগত জানিয়ে ইসলামিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

‘বিজাতীয় অপসংস্কৃতি নয়, মুসলিম সংস্কৃতিই এদেশের ঐতিহ্য’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে হাইমচর উপজেলায় বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ তারুন্য মঞ্চে নূরের খোঁজে ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এক ইসলামিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অপসংস্কৃতির পরিবর্তে ইসলামিক ভাবধারাপূর্ণ বিভিন্ন গজল পরিবেশন করেন জনপ্রিয় শিল্পীরা।

শুক্রবার সকালে এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নূরের খোঁজে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা জুলফিকার হাসান মুরাদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাইমচর থানা অফিসার ইনচার্জ মহিউদ্দিন সুমন।

হৃদয় মানবতা সামাজিক সংগঠনের সভাপতি বোরহান উদ্দিন শিহাবের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হাইমচর প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাওলানা আলী আকবর এবং প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক সাহেদ হোসেন দিপু পাটোয়ারী।

অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, বরেণ্য ওলামা মাশায়েখ, স্থানীয় রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক এবং এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। ইসলামিক সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরার এই ব্যতিক্রমী আয়োজন সকলের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। বক্তারা তাদের বক্তব্যে মুসলিম সংস্কৃতির গুরুত্ব এবং অপসংস্কৃতির প্রভাব সম্পর্কে আলোকপাত করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অফিসার ইনচার্জ মহিউদ্দিন সুমন এই ধরনের ইসলামিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম এবং আমাদের সংস্কৃতি একটি সমৃদ্ধ সংস্কৃতি। এই ধরনের অনুষ্ঠান সমাজের সকল স্তরের মানুষকে একত্রিত করতে এবং সঠিক পথে পরিচালিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

বিশেষ অতিথিবৃন্দও তাদের বক্তব্যে ইসলামিক সংস্কৃতির চর্চা এবং এর প্রসারের উপর জোর দেন। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশনকারী শিল্পীরা ইসলামিক গান ও হামদ-নাত পরিবেশনের মাধ্যমে দর্শকদের মুগ্ধ করেন।

নূরের খোঁজে ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগ হাইমচরে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে, যেখানে নিজস্ব সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে উৎসবকে উদযাপন করা হচ্ছে।

কচুয়ায় ১২০ বছরের বৃদ্ধ জায়েদা বেগমের পাশে দাঁড়িয়েছেন রফিকুল ইসলাম রনি

ইউনুছ মিয়া
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:১৯ অপরাহ্ণ
কচুয়ায় ১২০ বছরের বৃদ্ধ জায়েদা বেগমের পাশে দাঁড়িয়েছেন রফিকুল ইসলাম রনি

Oplus_131072

কচুয়ায় ১২০ বছরের বৃদ্ধ অসহায় জায়েদা বেগমের পাশে দাঁড়িয়েছেন কচুয়ার কৃতি সন্তান ও বাংলাদেশ বিআরবি ক্যাবলস লিমিটেডের মার্কেটিং ডাইরেক্টর শিক্ষানুরাগী রফিকুল ইসলাম রনি। সে উপজেলার সাচার ইউনিয়নের হাতিরবন্দ গ্রামের মিয়াজি বাড়ির মৃত বস্কর আলীর স্ত্রী। বৃদ্ধ জায়েদা বেগম দুনিয়াতে স্বামী, সন্তান ও পরিবারের লোকজন না থাকায় জীবন যুদ্ধ সংগ্রামে দিন কাটাচ্ছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃদ্ধ জায়েদা বেগম স্বামী বস্কর আলীর মৃত্যুর পর স্বামীর ভালোবাসার মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কারণে আর বিয়ে করেননি। যৌবন জীবনটা কাটিয়েছেন স্বামীর ভালোবাসার শ্রদ্ধা ও মায়ার বন্ধনে।

বস্কর আলী ও বৃদ্ধ জায়েদা বেগমের একটি ছেলে থাকলেও অভাব অনটনে কারণে মাকে ছেড়ে ছেলের পরিবার নিয়ে জীবন কাটছে হিমশিমে। ছোট্ট একটি ঝুপড়ি ঘরে ১২০ বছরের বৃদ্ধা জায়েদা বেগমের জীবন কাটছে দুঃখ-কষ্টে ও সংগ্রামে। বেঁচে থাকার জন্য বৃদ্ধ জায়েদা বেগম জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। জায়েদা বেগম সরকারি ও বেসরকারিভাবে কোন সহায়তা পাচ্ছেনা তেমন। থাকার জন্য একটি সরকারি গৃহ নির্মাণের প্রকল্প থেকে একটি ঘরের জন্য জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের কাছে গেলেও কেউ সাড়া দেননি তার ডাকে। এরকম পরিস্থিতিতে বৃদ্ধ জায়েদা বেগম জীবন সংগ্রাম নিয়ে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হলে কচুয়ার কৃতি সন্তান, বাংলাদেশ বিআরবি ক্যাবলস লিমিটেডের মার্কেটিং ডাইরেক্টর ও শিক্ষানুরাগী রফিকুল ইসলাম রনির নজরে আসলে সে বৃদ্ধ মায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। শুক্রবার শিক্ষানুরাগী রফিকুল ইসলাম রনির প্রতিনিধি একটি দল বৃদ্ধ জায়েদা বেগমের বাড়িতে গিয়ে কয়েক মাসের খাবারের জন্য বাজার ও ঝুড়ি ছোট্ট ঘরটি থেকে বৃদ্ধ জায়েদা বেগম স্বস্তিতে জীবন কাটার জন্য ঘর মেরামত করার জন্য নগদ অর্থ প্রদান করেন।

শিক্ষানুরাগী রফিকুল ইসলাম রনির মানবতার দৃষ্টি স্থাপন দেখে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দরা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।