খুঁজুন
বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫, ১১ আষাঢ়, ১৪৩২

স্থলপথে ভারতের নিষেধাজ্ঞা

বড় ক্ষতি হবে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রপ্তানিতে

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ৪:০১ অপরাহ্ণ
বড় ক্ষতি হবে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রপ্তানিতে

বাংলাদেশ থেকে স্থলবন্দর দিয়ে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য, পোশাকসহ প্রায় সাত ধরনের পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারত। এতে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হবে ভারতে বাংলাদেশের প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রপ্তানি। গত বছর (২০২৩-২৪ অর্থবছর) বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রায় ১৫৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল। এর মধ্যে পোশাক ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যই বেশি।

বাংলাদেশ থেকে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রপ্তানি হচ্ছে দেশটিতে। এ দেশের প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের একটি অন্যতম বড় বাজার ভারত। ওই দেশের মূল ভূখণ্ডের পাশাপাশি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে (সেভেন সিস্টার্স) বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের বড় বাজার রয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরামে ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন (এলসিএস)/ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট (আইসিপি) দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত বিভিন্ন খাদ্যসহ প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাবপত্র রপ্তানি করা যাবে না বলে জানিয়েছে ভারত। পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন বা এলসিএসের জন্যও এটি প্রযোজ্য হবে।

এ পরিস্থিতিতে ভারতে খাদ্যপণ্য রপ্তানি মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হবে জানিয়ে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল বলেন, স্থলপথে পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞার কারণে কার্যত ভারতের সঙ্গে রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ নৌপথে পণ্য পরিবহন বাংলাদেশের কোম্পানিগুলোর জন্য প্রতিযোগিতামূলক হবে না। খরচের পাশাপাশি সময়ের কারণে আমরা পারবো না। আবার সব জায়গায় নৌপথে পণ্য যাবেও না। বিশেষ করে সবচেয়ে বড় বাজার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সে সুযোগ নেই।

কামরুজ্জামান কামাল বলেন, যেসব বন্দর দিয়ে আমরা রপ্তানি করি সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ স্থলবন্দর ব্যবহার করে এসব সামগ্রী আমদানিতে যে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ভারত, সেটি কার্যকর হলে আমাদের পণ্য রপ্তানি মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হবে, বন্ধ হয়ে যাবে। এ নিয়ে আমরা সরকারের উদ্যোগ প্রত্যাশা করছি।

ড্যানিশ ফুডের হেড অব বিজনেস দেবাশীষ সিংহ বলেন, মূলত সেভেন সিস্টার্সের বাজারে ভারতের নিজস্ব পণ্যের চেয়ে বাংলাদেশের পণ্যের আধিক্য বেশি ছিল। কারণ ভারতের মূল ভূখণ্ডের কোম্পানিগুলোর চেয়ে আমাদের দেশের কোম্পানিগুলো কম খরচে সেখানে পণ্য পৌঁছাতে পারতো। সে সুযোগ বন্ধ করার জন্য এই পদক্ষেপ বলে মনে হচ্ছে। এ দেশের কোম্পানিগুলোর জন্য বড় দুঃসংবাদ এটি।

দেবাশীষ সিংহ বলেন, ভারতে রপ্তানির জন্য আমরা ছয়টি স্থলবন্দর ব্যবহার করি, এর সবগুলো বন্ধ করা হয়েছে। ভারত এখন কেবল কলকাতা ও মুম্বাই সমুদ্রবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের পণ্য আমদানির সুযোগ দিচ্ছে। এ দুটি বন্দর রপ্তানিকারকদের একদম কাজে আসবে না, ওইসব দিয়ে রপ্তানিও হয় না।

তিনি বলেন, এখন অন্য কোনোভাবে রপ্তানি করার সুযোগ থাকলেও বাংলাদেশি কোম্পানি খরচে পোষাতে পারবে না। কারণ আমরা আগে বর্ডার পার হলেই আসাম, গোহাটি, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরামে পণ্য পৌঁছাতে পারতাম স্থলপথে। ওই পথে না গেলে নৌপথে অনেক ঘুরে, বারবার ট্রান্সপোর্ট পরিবর্তন করে খরচে টিকতে পারবো না।

এদিকে, গত এপ্রিলে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে নিজ দেশের বন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে বাংলাদেশের পণ্য যাওয়ার ব্যবস্থা প্রত্যাহার করে ভারত। এখন স্থলবন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে খাদ্যপণ্যসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ভারতীয় আমদানিকারকদের জন্য বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। দুটি সিদ্ধান্তই বাংলাদেশের রপ্তানির জন্য নেতিবাচক। এ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের আন্তরিক উদ্যোগ প্রত্যাশা করছেন রপ্তানিকারক ও অর্থনীতিবিদরা।

সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান বলেন, এ ধরনের অশুল্ক প্রতিবন্ধকতা বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের জন্য জটিলতা তৈরি করবে। দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বাণিজ্যের বিকাশেও বাধা সৃষ্টি করবে।

নিয়ন্ত্রণমূলক তদারকি একটি দেশের সার্বভৌম অধিকার, তবে এ ধরনের হঠাৎ ও বেছে বেছে কিছু বন্দরে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা, বিশেষ করে স্থলপথে বাণিজ্যের খরচ বাড়িয়ে দেয় এবং অনিশ্চয়তা তৈরি করে। আমি আশা করি, দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক সহযোগিতার চেতনায় এসব অশুল্ক বাধা পুনর্বিবেচনা করা হবে। গঠনমূলক সংলাপ ও বাণিজ্য সহজীকরণে আরও ভালো সমন্বয় উভয় দেশের জন্যই মসৃণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উৎসাহিত করতে সহায়ক হবে।

এ বিষয়ে বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টিকে আমরা গভীরভাবে দেখছি। এভাবে নানা বিষয়ে নিষেধাজ্ঞায় দুই দেশের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। শিগগির আমরা ভারতের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক করবো।

শাহরাস্তি আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল ঢাকায় আটক

মোঃ সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫, ১০:৪১ অপরাহ্ণ
শাহরাস্তি আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল ঢাকায় আটক

কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীলীগের শাহরাস্তি উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তুষারকে ঢাকায় আটক করে ডিবি পুলিশ।

সোমবার (২৩ জুন) রাত সাড়ে ১১ টায় ঢাকাস্থ নাখালপাড়ার বাসা থেকে তাকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, তাকে ডিবি পুলিশ আদালতে সোপর্দ করে। তার বিরুদ্ধে ঢাকায় মামলা রয়েছে। এছাড়াও ৫ আগস্টের পর শাহরাস্তি থানায় তার বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি ঢাকায় অবস্থান করছিলেন।

মতলব উত্তরে ইয়াবা সহ আটক এক

আলআমীন পারভেজ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫, ৮:২৬ অপরাহ্ণ
মতলব উত্তরে ইয়াবা সহ আটক এক

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নে অবস্থিত মতলব সেতুর পশ্চিম পার টোলপ্লাজা এলাকায় মতলব উত্তর থানা পুলিশ কর্তৃক অভিযান পরিচালনা করে ৪৬৫ পিস ইয়াবা সহ একজন কে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত ব্যাক্তি কুমিল্লা কোতয়ালীর মোঃ মাইনউদ্দিন। মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ রবিউল হকের নির্দেশে মতলব উত্তর থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন সহ সংগীয় ফোর্স অভিযান চালিয়ে মাদকসেবীকে আটক করেন।

চাঁদপুরের মাদকসম্রাট স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোবারক গ্রেপ্তার

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫, ৮:১৩ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরের মাদকসম্রাট স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোবারক গ্রেপ্তার

চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১০ নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের পূর্ব হাসা গ্রামের মাদক সম্রাট মোবারক পাটোয়ারী (৪৭)কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে ডিবি পুলিশ।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন যাবত চাঁদপুর সদর ও ফরিদগঞ্জের মাদকের বড় বড় চালান পাচার করার সাথে জড়িত ছিল এই মাদক ব্যবসায়ী মোবারক পাটোয়ারী। এছাড়া ও সে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১০ নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা থাকাকালীন সময়ে দলের প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম, জমি দখল,মাদক ব্যবসা সহ এলাকার মানুষকে নানান ভাবে হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এই বিষয়ে তৎকালীন সময়ে ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় চাঁদপুরের ডিবির এসআই মাজাহার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোপান সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (২৩ জুন) রাতে খবর পেয়ে গোয়ালভাওর বাজার এলাকা থেকে মোবারক পাটোয়ারীকে আটক করতে সক্ষম হয়।

ডিবি পুলিশের হাতে আটক হওয়া মোবারক পাটোয়ারী উত্তর হাসা গ্রামের মৃত জব্বর পাটোয়ারী ছেলে।

চাঁদপুরের বাস স্ট্যান্ড এলাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের উপর হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলায় মোবারক পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের পাঠায় চাঁদপুর সদর সডেল থানা পুলিশ।

আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।
ফরিদগঞ্জের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোবারক পাটোয়ারী গ্রেফতার হওয়ায় এলাকার মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে।

এদিকে মোবারক পাটোয়ারীকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য অনেক নেতাকর্মী ও শীর্ষ মাদক কারবারিরা তদবির করেও ব্যর্থ হয় বলে জানা যায়।