চাঁদপুরে ভিপি নূর
আমাদের কর্মকান্ডে মানুষ যেনো বলতে না পারে আগেই ভালো ছিলাম

Oplus_131072

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, যারা সেনাবাহিনীর মতো প্রতিষ্ঠানকে কংলকিত করেছে, তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। তাদের বিচার নিশ্চিতের জন্য আমরা আওয়াজ তুলবো। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্মান রক্ষা করাও আমাদের দায়িত্ব।
তিনি রবিবার বিকেলে চাঁদপুর হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে চাঁদপুর জেলা গঅণধিকার পরিষদ এর উদ্যোগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া, আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা যারাই সরকার গঠন করি। রাষ্ট্র চালাই, রাষ্ট্র চালাতে এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমাদের লাগবে। আমরা যদি ঐতিহাসিকভাবে লক্ষ্য করি, ৭১ এর মুক্তিযোদ্ধ থেকে শুরু করে ৭৫ এর সিপাহী জনতা বিপ্লবের মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করা, ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে এরশাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো এবং ২৪ এর গণ অভূত্থানে সেনাবাহিনী জনগণের কাঁতারে এসে দাঁড়িয়েছে। কাজই সেনাবাহিনী কিংবা পুলিশ বাহিনীকে কোন বাহিনীর প্রতিষ্ঠানকে বির্তকিত করা যাবে না। এগুলো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। এগুলো আমার-আপনার ভ্যাট-ট্যাক্সের পয়সায় চলে।
নুর আওয়ামীলীগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এই যে একটা জাতীয় ঐক্য তৈরি হয়েছিলো। জাতীয় ঐক্যের মধ্যদিয়ে ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনার পতন হয়েছিলো। ৫ আগষ্ট জনতা রায় দিয়েছে, আওয়ামী লীগ এ দেশের রাজনীতি থেকে বাতিল। এই বাতিল মালকে আর কেউ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবেন না।’
চাঁদপুরের দীপু মনি আর সেলিম খানের মতো যেন আর কারো জন্ম না হয়- এমন প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘এই চাঁদপুরে বালুখ্যাকো সেলিম থেকে ভূমি দস্যু বিভিন্ন দখলবাজ, চাঁদাবাজ, জুলুমকারী তাদের অত্যাচারে আপনারা অতিষ্ঠ ছিলেন। কাজেই আজকে মানুষ যেনো আবার আমাদের মধ্যে আমরা যারা এই অভ্যুত্থানের অংশীজনরা বলছি, ওই আওয়ামী লীগের কোনো অপকর্ম যেনো আমাদের মধ্যে খুঁজে না পায়। মানুষ যেনো না বলতে পারে আগেই ভালো ছিলাম। এই কথাটি যেনো মানুষ না বলতে পারে তা আমাদের মনে, মগজে রাখতে হবে। আমাদের কর্মকান্ডে যেনো মানুষ কষ্ট না পায়।’
জেলা গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক কাজী রাসেলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেছেন, আমরা চাই রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যার বিচার এবং একই সাথে নির্বাচনী রোডম্যাপ। আমরা বলেছি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ইলেকশন দিতে হবে। ইলেকশন নিয়ে যদি তালবাহানা করা হয়, বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু মানবে না।
তিনি সেনাবাহিনী প্রসঙ্গে বলেন, ‘আজকে সেনাবাহিনীকে জনগনের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চক্র করা হচ্ছে। সেনাবাহিনী গনঅভ্যুত্থানে ভূমিকা রেখেছে। সেনাবাহিনী যদি ওই আওয়ামী হায়নাদের দিকে বন্দুকের নল না তাক করতো তাহলে এই গনঅভ্যুত্থান হতো না। সুতরাং কেউ সেনাবাহিনীকে নিয়ে মন্দ কথা বলার চেষ্টা করবেন না।’
তিনি আরো বলেন, ‘সেনাবাহিনী ভূমিকা রেখেছিলো, বাংলাদেশ জনগন আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টা এই গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এই গণঅভ্যুত্থানের ধারা আমরা যদি আজকে সফল রাখতে চাই তাহলে আমাদের সবাইকে এক থাকতে হবে।’
জেলা গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব মোঃ মাহমুদুল হাসান ও যুগ্ম আহবায়ক সাংবাদিক মো. জাকির হোসেনের যৌথ সঞ্চালনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিলে জেলা বিএনপি, জামায়াত ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিসসহ গণঅধিকার পরিষদ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের জেলা, উপজেলা, পৌর ইউনিয়নের বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন