খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৭ ভাদ্র, ১৪৩২

চাঁদপুরে ভিপি নূর

আমাদের কর্মকান্ডে মানুষ যেনো বলতে না পারে আগেই ভালো ছিলাম

মনিরুজ্জামান বাবলু
প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৫, ৮:২৮ অপরাহ্ণ
আমাদের কর্মকান্ডে মানুষ যেনো বলতে না পারে আগেই ভালো ছিলাম

Oplus_131072

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, যারা সেনাবাহিনীর মতো প্রতিষ্ঠানকে কংলকিত করেছে, তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। তাদের বিচার নিশ্চিতের জন্য আমরা আওয়াজ তুলবো। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্মান রক্ষা করাও আমাদের দায়িত্ব।

তিনি রবিবার বিকেলে চাঁদপুর হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে চাঁদপুর জেলা গঅণধিকার পরিষদ এর উদ্যোগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া, আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা যারাই সরকার গঠন করি। রাষ্ট্র চালাই, রাষ্ট্র চালাতে এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমাদের লাগবে। আমরা যদি ঐতিহাসিকভাবে লক্ষ্য করি, ৭১ এর মুক্তিযোদ্ধ থেকে শুরু করে ৭৫ এর সিপাহী জনতা বিপ্লবের মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করা, ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে এরশাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো এবং ২৪ এর গণ অভূত্থানে সেনাবাহিনী জনগণের কাঁতারে এসে দাঁড়িয়েছে। কাজই সেনাবাহিনী কিংবা পুলিশ বাহিনীকে কোন বাহিনীর প্রতিষ্ঠানকে বির্তকিত করা যাবে না। এগুলো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। এগুলো আমার-আপনার ভ্যাট-ট্যাক্সের পয়সায় চলে।

নুর আওয়ামীলীগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এই যে একটা জাতীয় ঐক্য তৈরি হয়েছিলো। জাতীয় ঐক্যের মধ্যদিয়ে ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনার পতন হয়েছিলো। ৫ আগষ্ট জনতা রায় দিয়েছে, আওয়ামী লীগ এ দেশের রাজনীতি থেকে বাতিল। এই বাতিল মালকে আর কেউ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবেন না।’

চাঁদপুরের দীপু মনি আর সেলিম খানের মতো যেন আর কারো জন্ম না হয়- এমন প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘এই চাঁদপুরে বালুখ্যাকো সেলিম থেকে ভূমি দস্যু বিভিন্ন দখলবাজ, চাঁদাবাজ, জুলুমকারী তাদের অত্যাচারে আপনারা অতিষ্ঠ ছিলেন। কাজেই আজকে মানুষ যেনো আবার আমাদের মধ্যে আমরা যারা এই অভ্যুত্থানের অংশীজনরা বলছি, ওই আওয়ামী লীগের কোনো অপকর্ম যেনো আমাদের মধ্যে খুঁজে না পায়। মানুষ যেনো না বলতে পারে আগেই ভালো ছিলাম। এই কথাটি যেনো মানুষ না বলতে পারে তা আমাদের মনে, মগজে রাখতে হবে। আমাদের কর্মকান্ডে যেনো মানুষ কষ্ট না পায়।’

জেলা গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক কাজী রাসেলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেছেন, আমরা চাই রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যার বিচার এবং একই সাথে নির্বাচনী রোডম্যাপ। আমরা বলেছি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ইলেকশন দিতে হবে। ইলেকশন নিয়ে যদি তালবাহানা করা হয়, বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু মানবে না।

তিনি সেনাবাহিনী প্রসঙ্গে বলেন, ‘আজকে সেনাবাহিনীকে জনগনের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চক্র করা হচ্ছে। সেনাবাহিনী গনঅভ্যুত্থানে ভূমিকা রেখেছে। সেনাবাহিনী যদি ওই আওয়ামী হায়নাদের দিকে বন্দুকের নল না তাক করতো তাহলে এই গনঅভ্যুত্থান হতো না। সুতরাং কেউ সেনাবাহিনীকে নিয়ে মন্দ কথা বলার চেষ্টা করবেন না।’

তিনি আরো বলেন, ‘সেনাবাহিনী ভূমিকা রেখেছিলো, বাংলাদেশ জনগন আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টা এই গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এই গণঅভ্যুত্থানের ধারা আমরা যদি আজকে সফল রাখতে চাই তাহলে আমাদের সবাইকে এক থাকতে হবে।’

জেলা গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব মোঃ মাহমুদুল হাসান ও যুগ্ম আহবায়ক সাংবাদিক মো. জাকির হোসেনের যৌথ সঞ্চালনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিলে জেলা বিএনপি, জামায়াত ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিসসহ গণঅধিকার পরিষদ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের জেলা, উপজেলা, পৌর ইউনিয়নের বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

শাহরাস্তিতে মাদক ও স্বৈরাচার বিরোধী আলোচনা সভা

মোঃ সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:৩০ অপরাহ্ণ
শাহরাস্তিতে মাদক ও স্বৈরাচার বিরোধী আলোচনা সভা

মাদকের বিষয়ে শাহরাস্তি উপজেলার টামটা দক্ষিণ ইউনিয়ন ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো একটি প্রতিবাদী আলোচনা সভা ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। ৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মাদক ব্যবসায়ী ও স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।

আলোচনা সভায় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বিল্লাল শিকদারের সভাপতিত্ব ও টামটা দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবদলের নেতা মো. মমিন শিকদার (লিটন মাস্টার) এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের ব্রাঞ্চ অফিসার মনির হাওলাদার।

এছাড়াও অন্যানদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, টামটা দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদকশামীম আহমেদ, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বিল্লাহ হোসেন শিকদার, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেরাজুন নবী (রাজু), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল প্রিন্স, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম (মানিক), সৌদি আরবের রিয়াদ শাখার বিএনপির সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদিন, ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক দিদার হোসেন মজুমদার।

সভায়বক্তারা মাদকের ভয়াবহতা এবং সমাজে এর বিস্তার রোধে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্সের ওপর জোর দেন এবং এই সামাজিক ব্যাধি থেকে যুবসমাজকে রক্ষায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

আলোচনা সভা শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। যা স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। এই আয়োজনের মাধ্যমে এলাকার মাদক নির্মূল ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় এক নতুন বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

শাহরাস্তিতে ​মহিলা মাদরাসার কমিটির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

মো. সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২৩ পূর্বাহ্ণ
শাহরাস্তিতে ​মহিলা মাদরাসার কমিটির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

শাহরাস্তিতে বলশিদ মহিলা মডেল আলিম মাদরাসার নতুন কমিটি নিয়ে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামকে সভাপতি করার পর থেকেই এই বিতর্ক শুরু হয়। তার পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। ইতিমধ্যে কমিটির তিনজন সদস্য পদত্যাগও করেছেন।

​স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদরাসার কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াটি ছিল অস্বচ্ছ ও গোপনে। তারা বলছেন, মাদরাসার নাম তিনবার পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রথমে “ফজিলতের নেছা মহিলা মাদরাসা”, পরে “শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মহিলা মাদরাসা” এবং এখন “বলশিদ মডেল মহিলা আলিম মাদরাসা” নাম রাখা হয়েছে। যদিও মাদরাসার ফটকে এখনও আগের নামফলকই ঝুলছে। ​এছাড়াও সভাপতি আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে আরও কিছু গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

​তিনি একসাথে একাধিক মাদরাসার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। ​তার স্ত্রী নাজমা বেগম মাদরাসার অফিস সহকারী হলেও তিনি নাকি বাড়িতে বসেই হাজিরা খাতায় সই করেন। ​তাদের পরিবারের আরও পাঁচজন সদস্য মাদরাসার বিভিন্ন পদে চাকরি করছেন।

অভিভাবক সদস্য খোরশেদ আলম জানান, “আমার দুই মেয়ে এখানে পড়ে। আমাকে হঠাৎ ডেকে অভিভাবক সদস্য হিসেবে সই করতে বলা হয়। এটা একটা কৌশল ছিল বুঝতে পেরে আমি পদত্যাগ করেছি।”

​ইউপি সদস্য মোশাররফ হোসেন বলেন, “গোপনে অসৎ উদ্দেশ্যে এই কমিটি করা হয়েছে। আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানতাম না।”

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন জানান, অধ্যক্ষের কক্ষের চাবি ও কমিটির সব নথিপত্র সভাপতির কাছেই থাকে।

​সভাপতি আমিনুল ইসলাম সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “মাদরাসার নাম দুইবার পরিবর্তন হয়েছে, তিনবার নয়। অন্য প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হয়েও এখানে সভাপতি হওয়া নিয়মসিদ্ধ। যারা পদত্যাগ করেছেন, সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।”

​উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিয়া হোসেন জানিয়েছেন, “কমিটি নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”

স্থানীয়দের দাবি, এই বিতর্কিত কমিটি বাতিল করে একটি স্বচ্ছ কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন। তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে যদি সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও সুপার মনিরুজ্জামানকে অপসারণ করা না হয়, তাহলে তারা আরও কঠোর আন্দোলন করবেন।

এলাকাবাসীর সর্বস্তরের জনগণের অংশ গ্রহনে  মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন,ওই সময় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় এলাকাবাসী সৈয়দ আহমেদ দুলাল, কামরুল আহসান মজুমদার, মমতাজ উদ্দিন ভূঁইয়া, শাহ আলম খান, বাবুল হোসেন পাটোয়ারী, গিয়াস উদ্দিন মিয়াজী, লিপন, মনির হোসেন, রুহুল আমিন পাটোয়ারী, কিরণ মুন্সি, মোশারেফ মেম্বার, হেলাল মুন্সী, সাগরসহ বহু অভিভাবক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে প্রতিপক্ষের হামলায় শিশুসহ মা ও মেয়ে আহত

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৯:৩০ অপরাহ্ণ
লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে প্রতিপক্ষের হামলায় শিশুসহ মা ও মেয়ে আহত

চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের মাঝি বাড়িতে পারিবারিক কলহের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় বসত ঘর ভাংচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়ও প্রতিপক্ষের হামলায় শিশু সহ মা ও মেয়ে আহত হয়েছে। এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

ঘটনার বিবরনে ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের মাঝি বাড়ির দুলাল গংদের সাথে শাহানারা বেগমের সাথে সম্পত্তিগত ও পারিবারিক ভাবে বিরোধ চলে আসছে। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুলাল, সানু (৫০) ও তাদের ৩ মেয়ে বিথী, রিমা, সাবিনা জোরপূর্বক শাহানারা বেগমের বসত ঘরে প্রবেশ করে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় শাহানারা বেগম, তার মেয়ে জান্নাত আক্তার ও নাতনি ১০ বছরের শিশু উম্মে আইমান গুরুতর আহত হয়। এছাড়াও হামলাকারীরা তাদের বসত ঘর সহ ভিতরের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে। শাহানারা বেগমদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা চলে যায়। পরে উপস্থিত লোকজন শাহানারা বেগম সহ আহতদের উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। শাহানারা বেগম ও নাতিন উম্মে আইমানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন এবং জান্নাত আক্তারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি দেন।

জান্নাত আক্তার বলেন, তাদের সাথে আগে থেকেই পারিবারিক বিষয় নিয়ে একটু দ্বন্দ ছিলো। তারা প্রতিনিয়ত আমাদেরকে প্রাণে মারার হুমকি দিত এবং নুন থেকে চুন ঘষলেই তারা আমাকে ও আমার মাকে মারতে আসতো। রবিবার আমি ঘরে বসে আমার মামাতো বোনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলতেছি, এ সময় আমাদের ঘরের পাশ দিয়ে রিমা যাওয়ার সময় কি শুনে তার বাবা মা ও বোনদেরকে নিয়ে এসে আমাদেরকে মারধর করে এবং গালিগালাজ করতে থাকে।

শাহানারা বেগমের ছেলে অলিউল্লাহ বলেন, আমি বাড়িতে ছিলাম না। যখনই আমি বাড়ি থেকে সরে যাই তখনই তারা আমার মাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেয়। আমার বোন স্বামীর বাড়ি থেকে আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসছে, তাদের উপর এভাবে হামলা করেছে এবং পরবর্তীতে আমার বোন ও আমি বাড়িতে না থাকলে আমার মাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। আমাদের অপরাধ আমরা তাদের বংশের না এবং স্থানীয় না, আমরা মামার বাড়িতে থাকি এজন্য আমরা বাড়ি থেকে সরে যাওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেয়। তাই আমি প্রশাসনের কাছে আমাদের জীবনের নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসীদের শাস্তির আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার চাই।

শাহানারা বেগমের ছেলে অলিউল্লাহ বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় দুলাল, সানু, বিথী, রিমা, সাবিনাকে বিবাদী কের একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ বাহার মিয়া বলেন, বিষয়টি জেনেছি, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমি বিষয়টি তদন্ত করে দেখতেছি।