খুঁজুন
সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

দুই মামলায় অব্যাহতি পেলেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির ৬৪ নেতাকর্মী

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: বুধবার, ২১ মে, ২০২৫, ৫:৩৯ অপরাহ্ণ
দুই মামলায় অব্যাহতি পেলেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির ৬৪ নেতাকর্মী

পতিত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের দায়ের করা দুটি পৃথক মামলায় অব্যাহতি পেয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকসহ ৬৪ নেতাকর্মী।

বুধবার দুপুরে চাঁদপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ বেগম শামসুন্নাহার দুটি মামলা থেকে এসব আসামীদের অব্যাহতি প্রদান করেন।

আসামী পক্ষের আইনজীবী ও চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট বাবর বেপারী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৮ মার্চ চাঁদপুর-হাইমচর আঞ্চলিক সড়কের দক্ষিণ বালিয়া কাজী বাড়ির সামনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কর্তৃক আহত অনির্দিষ্টকালীন অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচি চলমান ছিলো। ওই স্থানে ট্রাকে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এনে ৩২জন নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০ জনকে আসামী করে মামলা করা হয়। মামলার বাদী ছিলেন চাঁদপুর সদর মডেল থানায় তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) হামিদুল হক।

এই মামলায় প্রধান আসামী ছিলেন তৎকালীন সময় জেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকসহ নেতাকর্মীরা।

অপরদিকে ২০১৮ সালের ৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় শহরের বকুলতলা রোডস্থ রেললাইন এলাকায় বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে বিএনপি-জামাতের নেতাকর্মীরা কর্মসূচি পালন করে। পুলিশ ওই স্থানে ককটেল বিস্ফোর ও উস্কানিমূলক স্লোগানের অভিযোগ এনে ১৫জন নামীয় এবং ২৫-৩০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলার বাদী ছিলেন তৎকালীন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মফিজুল ইসলাম।

দীর্ঘ বছর এসব মামলা চলমান অবস্থায় আদালত স্বাক্ষ্য প্রমাণ ও নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে রাষ্ট্রপক্ষ আসামীদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত করতে না পারায় বিচারক সকল আসামীকে দুটি মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।

অব্যহতি পাওয়া আসামীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সলিম উল্যাহ সেলিম, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা বিল্লাল হোসেন মিয়াজী, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. হারুনুর রশিদ, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জাহাঙ্গীর খান ও জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নুরুল আমিন খান আকাশ।

আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. বাবর বেপারী বলেন, পতিত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে পুলিশের দায়ের করা এসব মামলায় দীর্ঘ বছর বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা হয়রানি এবং জুলুমের শিকার হয়েছেন। আদালতের ন্যয় বিচারের কারণে এসব মামলা থেকে তারা অব্যাহতি পেলেন।

শাহরাস্তিতে ঘর থেকে ভিজিএফের চাল উদ্ধার, ইউপি সদস্য গ্রেফতার

মোঃ ইউসুফ বেপারী
প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ৬:৪৮ অপরাহ্ণ
শাহরাস্তিতে ঘর থেকে ভিজিএফের চাল উদ্ধার, ইউপি সদস্য গ্রেফতার

শাহরাস্তি উপজেলায় বসতঘর থেকে দুঃস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফের চাল উদ্ধার করেছে প্রশাসন। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মো. হুমায়ুন কবিরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার সূচীপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

‎রোববার দিবাগত রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিগার সুলতানা অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।

‎জানা গেছে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে শাহরাস্তি উপজেলার সূচীপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরণের জন্য বরাদ্দকৃত ১৬ বস্তা আতপ চাল স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হুমায়ুন কবির নিজ বাসগৃহে মজুদ করেন। বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে এলে তারা ইউএনওকে অবহিত করেন। তাৎক্ষণিকভাবে ইউএনও ঘটনাস্থলে গিয়ে চাল মজুদের সত্যতা পান এবং অভিযুক্তকে আটক করে মামলা রুজুর নির্দেশ দেন।

‎গ্রেফতার হওয়ার আগে হুমায়ুন কবির দাবি করেন, চালগুলো পরদিন গ্রামবাসীর মধ্যে বিতরণের উদ্দেশ্যে অস্থায়ীভাবে নিজ ঘরে রাখা হয়েছিল।

‎তবে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. সবুজ জানান, চালগুলো জব্দ করে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

‎শাহরাস্তি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল বাসার বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

‎উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা বলেন, ভিজিএফের চাল বাড়িতে মজুদ রাখার কোনো বিধান নেই। চাল বিতরণে অনিয়ম করায় অভিযুক্ত ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে মতলব দক্ষিণ পিআইও কার্যালয়

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১ জুন, ২০২৫, ৮:১৫ অপরাহ্ণ
খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে মতলব দক্ষিণ পিআইও কার্যালয়

জনবল সংকটে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে মতলব দক্ষিণের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়। এতে করে টেনেটুনেই যেন চলছে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির কর্মযজ্ঞ।

রোববার সকালে ওই কার্যালয়ে গেলে জনবল সংকটের এমন তথ্য উঠে আসে।

সরজমিনে দেখা যায়, একাই একশ’ হিসেবে হরদম কাজ করছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। তিনিই এখানে সকল কাজের কাজী। যদিও তার সাথে এখানে সেতু প্রকল্পের কার্য সহকারী পদায়িত রয়েছেন।

যদিও বাৎসরিক বাজেট বিবেচনায় এই উপজেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা খাতে চলতি অর্থ বছরে কমপক্ষে প্রায় ১৫ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

তথ্য মতে, ২০১৭ সাল থেকে এই কার্যালয়টিতে অফিস সহায়ক, ২০২৩ সাল থেকে অফিস সহকারী, ২০২২ সাল থেকে উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদটি শুন্য রয়েছে। যদিও অন্যান্য উপজেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে পিআইও ছাড়াও উপ-সহকারী প্রকৌশলী, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, কার্য সহকারী ও অফিস সহায়ক কর্মরত আছেন।

এসব তথ্যের সত্যতা স্বীকার করে মতলব দক্ষিণের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এখানে জনবল সংকটের কারনে আমাকেই অফিস সহকারী, অফিস সহায়কসহ সকল দায়িত্ব দাপ্তরিক প্রয়োজনে একা পালন করতে হচ্ছে। পুরনো একটি ল্যাপটপে যাবতীয় দাপ্তরিক কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছি। আমার জন্য মাঠ পর্যায়ের প্রকল্পের তদারকী কাজে ব্যবহারের জন্য দেয়া মোটরসাইকেলটিও অকেজো হয়ে পড়ে আছে। তবে এমন পরিস্থিতিতেও প্রকল্প মনিটরিং কাজসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সচেষ্ট রয়েছি।

স্থানীয়রা বলছেন, এই মতলবে ২টি আশ্রয় কেন্দ্র, ২০টি সেতু নির্মাণ প্রকল্প, ৪৩ জন অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস নির্মাণ প্রকল্প, অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি, গ্রামীণ অবকাঠামো সংষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি, টিআর-কাবিখা প্রকল্পের আওতায় ব্যাপক সংখ্যক প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া কম্বল, ঢেউটিন, শুকনো খাবার, জিআর কর্মসূচীও চলমান রয়েছে। তবে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও কার্য সহকারী প্রায়শই কোন প্রকল্প তদারকি কাজে মাঠে গেলে বেশিরভাগ সময়ই কার্যালয়টি তালাবদ্ধ থাকে। এতে দুর্যোগে সাড়াদানসহ বিভিন্ন কর্মকান্ড দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

এ বিষয়ে চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণের উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমজাদ হোসেন বলেন, জনবল সংকটের বিষয়ে আমি বিগত মার্চ মাসে একটি স্মারক পত্রের মাধ্যমে শুন্য পদ পূরনের জন্য মহাপরিচালক মহোদয়কে অনুরোধ করেছি। আমার বিশ্বাস অচিরেই কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে তড়িৎ সিদ্ধান্ত নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগের কর্মসূচী সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে সচেষ্ট হবেন।

একই সুরে কথা বললেন চাঁদপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জাহিদ হাসান খান। তিনি বলেন, শুধু মতলব দক্ষিণ নয়, আমার জেলা কার্যালয়েও জনবল সংকট রয়েছে। এতে বিভাগীয় কার্যক্রম তদারকীও কঠিন হয়ে পড়েছে। দ্রুত সমস্যা সমাধানে আমি এ কথা মহাপরিচালক মহোদয়কে অবহিত করেছি।

চাঁদপুরজমিন হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে শিবিরের চক্ষু চিকিৎসা অনুষ্ঠিত

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১ জুন, ২০২৫, ৭:৪৩ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরজমিন হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে শিবিরের চক্ষু চিকিৎসা অনুষ্ঠিত

চাঁদপুর সদর উপজেলার ৮নং বাগাদী ইউনিয়নের নানুপুর চৌরাস্তা মোড়ে অবস্থিত চাঁদপুরজমিন হাসপাতালে ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর উদ্যোগে রোববার সকালে শিবিরের চক্ষু চিকিৎসা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দৈনিক চাঁদপুরজমিন ও জাতীয় দৈনিক অনুপমা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক, চাঁদপুরজমিন হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর চেয়ারম্যান, হাজী লোকমান পাবলিক স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও অধ্যক্ষ মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান রোকন। অনুষ্ঠানে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন দৈনিক চাঁদপুরজমিন পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মনজুর হোসেন মঞ্জু।

হাজী লোকমান পাবলিক স্কুলের সিনিয়র সহকারি শিক্ষিকা ইয়াসমিন আক্তারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মোঃ ওসমান খান, বিশিষ্ট সমাজসেবক আব্দুর রহমান দুলাল, অন্ধ কল্যাণ সমিতি কুমিল্লার সমন্বয় মোঃ দেলোয়ার হোসেন, হাজী লোকমান পাবলিক স্কুলের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন শেখ, দৈনিক চাঁদপুরজমিন পত্রিকার ফটো সাংবাদিক শাহনেওয়াজ আহমেদ।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক সমীর চন্দ্র রায় ও পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক নাজির আহমেদ সহ অনেকেই। অনুষ্ঠান শেষে দোয়া পরিচালনা করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি।

অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, চোখের চিকিৎসা নিতে এসে এখানে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে আপনারা আমাকে জানাবেন।

রোকন বলেন, যার চোখ নেই সে বুঝে চোখের কি মর্যাদা, এজন্যই চোখের যতœ নিতে হবে সবাই চোখ ভালো থাকলে সবই ভালো থাকবে। চোখ আল্লাহ তায়ালার এক বড় নেয়ামত, এজন্য এর যতœ নেওয়া খুবই জরুরী। আমার মত এই ধরনের মানবতার সেবায় সবার এগিয়ে আসা উচিত। তাহলে এলাকায় আর কোন অপরাধ থাকবে না, চোখকে রক্ষা করতে হলে আপনার সন্তানকে মোবাইল থেকে দূরে রাখুন। আমরা যেভাবে সন্তানদেরকে মোবাইল দিয়ে রেখেছি এর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। না হলে ভবিষ্যতে অল্পতেই চোখে সমস্যা দেখা দিবে। এখানে যারা উপস্থিত আছেন বেশির ভাগই বয়স্ক। আপনার সন্তান এবং নাতি নাতনি যারা আছেন তাদেরকে মোবাইল থেকে দূরে সরিয়ে রাখলেই অনেক কিছু থেকে হেফাজত হবে। আমি এই প্রতিষ্ঠানের উত্তরোত্তর ভবিষ্যৎ কামনা করছি।