খুঁজুন
শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫, ১১ শ্রাবণ, ১৪৩২

স্থলপথে ভারতের নিষেধাজ্ঞা

বড় ক্ষতি হবে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রপ্তানিতে

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ৪:০১ অপরাহ্ণ
বড় ক্ষতি হবে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রপ্তানিতে

বাংলাদেশ থেকে স্থলবন্দর দিয়ে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য, পোশাকসহ প্রায় সাত ধরনের পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারত। এতে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হবে ভারতে বাংলাদেশের প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রপ্তানি। গত বছর (২০২৩-২৪ অর্থবছর) বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রায় ১৫৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল। এর মধ্যে পোশাক ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যই বেশি।

বাংলাদেশ থেকে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রপ্তানি হচ্ছে দেশটিতে। এ দেশের প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের একটি অন্যতম বড় বাজার ভারত। ওই দেশের মূল ভূখণ্ডের পাশাপাশি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে (সেভেন সিস্টার্স) বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের বড় বাজার রয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরামে ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন (এলসিএস)/ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট (আইসিপি) দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত বিভিন্ন খাদ্যসহ প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাবপত্র রপ্তানি করা যাবে না বলে জানিয়েছে ভারত। পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন বা এলসিএসের জন্যও এটি প্রযোজ্য হবে।

এ পরিস্থিতিতে ভারতে খাদ্যপণ্য রপ্তানি মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হবে জানিয়ে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল বলেন, স্থলপথে পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞার কারণে কার্যত ভারতের সঙ্গে রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ নৌপথে পণ্য পরিবহন বাংলাদেশের কোম্পানিগুলোর জন্য প্রতিযোগিতামূলক হবে না। খরচের পাশাপাশি সময়ের কারণে আমরা পারবো না। আবার সব জায়গায় নৌপথে পণ্য যাবেও না। বিশেষ করে সবচেয়ে বড় বাজার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সে সুযোগ নেই।

কামরুজ্জামান কামাল বলেন, যেসব বন্দর দিয়ে আমরা রপ্তানি করি সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ স্থলবন্দর ব্যবহার করে এসব সামগ্রী আমদানিতে যে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ভারত, সেটি কার্যকর হলে আমাদের পণ্য রপ্তানি মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হবে, বন্ধ হয়ে যাবে। এ নিয়ে আমরা সরকারের উদ্যোগ প্রত্যাশা করছি।

ড্যানিশ ফুডের হেড অব বিজনেস দেবাশীষ সিংহ বলেন, মূলত সেভেন সিস্টার্সের বাজারে ভারতের নিজস্ব পণ্যের চেয়ে বাংলাদেশের পণ্যের আধিক্য বেশি ছিল। কারণ ভারতের মূল ভূখণ্ডের কোম্পানিগুলোর চেয়ে আমাদের দেশের কোম্পানিগুলো কম খরচে সেখানে পণ্য পৌঁছাতে পারতো। সে সুযোগ বন্ধ করার জন্য এই পদক্ষেপ বলে মনে হচ্ছে। এ দেশের কোম্পানিগুলোর জন্য বড় দুঃসংবাদ এটি।

দেবাশীষ সিংহ বলেন, ভারতে রপ্তানির জন্য আমরা ছয়টি স্থলবন্দর ব্যবহার করি, এর সবগুলো বন্ধ করা হয়েছে। ভারত এখন কেবল কলকাতা ও মুম্বাই সমুদ্রবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের পণ্য আমদানির সুযোগ দিচ্ছে। এ দুটি বন্দর রপ্তানিকারকদের একদম কাজে আসবে না, ওইসব দিয়ে রপ্তানিও হয় না।

তিনি বলেন, এখন অন্য কোনোভাবে রপ্তানি করার সুযোগ থাকলেও বাংলাদেশি কোম্পানি খরচে পোষাতে পারবে না। কারণ আমরা আগে বর্ডার পার হলেই আসাম, গোহাটি, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরামে পণ্য পৌঁছাতে পারতাম স্থলপথে। ওই পথে না গেলে নৌপথে অনেক ঘুরে, বারবার ট্রান্সপোর্ট পরিবর্তন করে খরচে টিকতে পারবো না।

এদিকে, গত এপ্রিলে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে নিজ দেশের বন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে বাংলাদেশের পণ্য যাওয়ার ব্যবস্থা প্রত্যাহার করে ভারত। এখন স্থলবন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে খাদ্যপণ্যসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ভারতীয় আমদানিকারকদের জন্য বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। দুটি সিদ্ধান্তই বাংলাদেশের রপ্তানির জন্য নেতিবাচক। এ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের আন্তরিক উদ্যোগ প্রত্যাশা করছেন রপ্তানিকারক ও অর্থনীতিবিদরা।

সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান বলেন, এ ধরনের অশুল্ক প্রতিবন্ধকতা বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের জন্য জটিলতা তৈরি করবে। দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বাণিজ্যের বিকাশেও বাধা সৃষ্টি করবে।

নিয়ন্ত্রণমূলক তদারকি একটি দেশের সার্বভৌম অধিকার, তবে এ ধরনের হঠাৎ ও বেছে বেছে কিছু বন্দরে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা, বিশেষ করে স্থলপথে বাণিজ্যের খরচ বাড়িয়ে দেয় এবং অনিশ্চয়তা তৈরি করে। আমি আশা করি, দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক সহযোগিতার চেতনায় এসব অশুল্ক বাধা পুনর্বিবেচনা করা হবে। গঠনমূলক সংলাপ ও বাণিজ্য সহজীকরণে আরও ভালো সমন্বয় উভয় দেশের জন্যই মসৃণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উৎসাহিত করতে সহায়ক হবে।

এ বিষয়ে বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টিকে আমরা গভীরভাবে দেখছি। এভাবে নানা বিষয়ে নিষেধাজ্ঞায় দুই দেশের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। শিগগির আমরা ভারতের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক করবো।

আহ্বায়ক টিএইচএম জাহাঙ্গীর ও সদস্য সচিব বিল্লাল হোসেন

বাংলাদেশ রিপোর্টার্স কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠিত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫, ৯:৩৮ পূর্বাহ্ণ
বাংলাদেশ রিপোর্টার্স কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠিত

বাংলাদেশ রিপোর্টার্স কাউন্সিল (বিআরসি)কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ জুলাই ২০২৫) বিকেলে ভার্চুয়াল মিটিংয়ের মাধ্যমে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির মেয়াদ ৬ মাস। বাংলাদেশ রিপোর্টার্স কাউন্সিলের আহবায়ক করা হয়েছে টি এইচ এম জাহাঙ্গীর, সদস্য সচিব হয়েছেন অপরাধ অনুসন্ধান পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার মো. বিল্লাল হোসেন।

৫১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি নিম্নরূপ : আহ্বায়ক চ্যানেল এস-এর জয়েন্ট নিউজ এডিটর টিএই এম জাহাঙ্গীর ও সদস্য সচিব হয়েছেন অপরাধ অনুসন্ধান পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার মো. বিল্লাল হোসেন।

যুগ্ম-আহবায়ক : দি ডেইলী স্টেটের সম্পাদক রফিক উল্লাহ্ সিকদার, অর্থনীতির ৩০দিনের সম্পাদক খোন্দকার জিল্লুর রহমান, অর্থধারার নির্বাহী সম্পাদক জাহিদ আহমদ চৌধুরী বিপুল, ডেইলী প্রেজেন্ট টাইমসের প্রধান সম্পাদক মো: ওমর ফারুক জালাল, বিটিভির সিনিয়র রিপোর্টার লায়লা ফেরদৌসী শোহেলী,  ক্রাইম নিউজ গবেষকের হারুন আল কবির নিক্সন, দৈনিক সংবাদ প্রতিক্ষণের সম্পাদক মো. আব্দুল আউয়াল সেতু, বিটিভির সিনিয়র রিপোর্টার নার্গিস জুঁই, খিলগাঁও প্রেস ক্লাবের সভাপতি এমএইচ পাপ্পু চৌধুরী, আজকের প্রভাতের সিনিয়র রিপোর্টার ওমর ফারুক, সদস্য সচিব অপরাধ অনুসন্ধানের সিনিয়র রিপোর্টার মো: বিল্লাল হোসেন, অর্থ-সচিব বাংলা টাইমসের বার্তা সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান।

সদস্যরা হলেন : নেক্সাস টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি তালাত মাহমুদ, একুশে টেলিভিশনের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার মানিক সিকদার, সিআইএস-এর চীফ ক্রাইম রিপোর্টার এফএইচঅপু, রূপান্তর সংবাদের বাংলাদেশ প্রতিনিধি এস এম মেহেদী,  সময়ের বাংলাদেশের শরীফ মোহাম্মদ মাসুম, জিটুফোর সম্পাদক মো. আমিরুল ইসলাম, বিডি টাইমস নিউজের সম্পাদক নোমান রহমান, সাপ্তাহিক আমাদের অধিকারের সম্পাদক মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন,  ডেইলী রূপসী বাংলার সম্পাদক উজ্জ্বল হোসাইন, সোনালী খবরের সম্পাদক মনিরুজ্জামান মিয়া, নারায়নগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, ভয়েজ এশিয়া ডট কম-এর বার্তা সম্পাদক মো. সাজেদুল হক (ডিউক), বার্তা প্রবাহ যুগ্ম-সম্পাদক  মো. সালাহ উদ্দিন (সালেহ বিপ্লব), বাংলা নিউজ ২৪.কম রিপোর্টার দেলোয়ার হোসেন বাদল, দৈনিক নতুন আশার সম্পাদক আকাশ মিয়াজী, ডেইলী অবজারভার-এর স্টাফ রিপোর্টার তানভির রায়হান, ডেইলী পোস্ট-এর সিনিয়র রিপোর্টার আল-ইহসান, দি৷ ডেইলী আর্থ-এর সহ-সম্পাদক মোহাম্মদ সাজিদ, দৈনিক মুক্তখবর রিপোর্টার আহমদ আলী, দৈনিক গণকন্ঠ-এর সি: রিপোর্টার মো. সিকান্দর আলী, সময় নিউজ বিডির সম্পাদক মো. আশরাফুল আলম, বিজনেস আই বাংলাদেশ-এর নির্বাহী সম্পাদক এসএম ফয়সল আহমদ, দৈনিক রূপালীর সিনিয়র রিপোর্টার এম আতাউর রহমান, দৈনিক আমাদের বাংলার সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী, চ্যানেল এস-এর নারায়নগঞ্জ প্রতিনিধি সাইফুল্লাহ মাহমুদ টিটু , এটিএন নিউজ-এর রিপোর্টার মো. মাহবুবুল হক মাহবুব, বাংলা নিউজ বিডি-এর এসএম শাহ্ জালাল, দৈনিক নতুন আশা-এর সিনিয়র রিপোর্টার মো. এ কে ফজলুল হক (সুমন), দৈনিক আমাদের মাতৃভূমির সিনিয়র রিপোর্টার নাহিদা আক্তার পপি, ডেইলী প্রেজেন্ট টাইমস-এর সিনিয়র রিপোর্টার আবুল কালাম আজাদ, বিএসআর-এর আনিসুর রহমান আনিস, সকালের সময়-এর স্টাফ রিপোর্টার মিরাজ ইসলাম, চ্যানেল এস-এর ক্রাইম রিপোর্টার জাকির আহমদ জীবন, চ্যানেল এস  কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি আবু বক্কর, সিআইএস-এর ক্রাইম রিপোর্টার জাকির হোসাইন, ডেইলী প্রেজেন্ট টাইমস-এর সাব-এডিটর সেলিনা আক্তার ইতি, এস এম মিডিয়ার পরিচালক সঞ্জয় মোদক, ও বাংলাদেশ অনলাইন সাংবাদিক সোসাইটির সহ-সভাপতি মো.  রাজন মাদবর।

সংগঠনটির লক্ষ্য হচ্ছে দেশের সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষা, পেশাগত মান উন্নয়ন, এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখা। নতুন কমিটি দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার পর সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তারা শীঘ্রই সাংবাদিকদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, নিরাপত্তা ও পেশাগত নীতিমালার উন্নয়নে কাজ করবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই কমিটির মাধ্যমে দেশের সাংবাদিক সমাজ আরও সুসংগঠিত হবে এবং নীতিগতভাবে শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে।

যাত্রী বিদায়-স্বাগত জানাতে শাহজালালে ২ জনের বেশি যেতে পারবে না

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৫ জুলাই, ২০২৫, ৬:৫৪ অপরাহ্ণ
যাত্রী বিদায়-স্বাগত জানাতে শাহজালালে ২ জনের বেশি যেতে পারবে না

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কোনো যাত্রীকে বিদায় বা স্বাগত জানাতে সর্বোচ্চ দুইজন বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে পারবেন বলে জানিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) বেবিচকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) কাউছার মাহমুদ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আগামী রোববার (২৭ জুলাই) থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের বিদায় বা স্বাগত জানাতে বিমানবন্দর এলাকার ডিপারচার ড্রাইভওয়ে ও অ্যারাইভাল ক্যানোপিতে যাত্রীর সঙ্গে সর্বোচ্চ দুইজন প্রবেশ করতে পারবেন।

যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রাখা, যানজট ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিমানবন্দর এলাকায় আগত সবাইকে সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল এবং সহযোগিতার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে বেবিচক।

হার মানলো অগ্নিদগ্ধ শিক্ষার্থী মাকিন, নিহত বেড়ে ৩৩

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৫ জুলাই, ২০২৫, ৬:৪৩ অপরাহ্ণ
হার মানলো অগ্নিদগ্ধ শিক্ষার্থী মাকিন, নিহত বেড়ে ৩৩

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মাকিন (১৪) নামের আরও এক শিক্ষার্থী মারা গেছে। সে মাইলস্টোন স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুর ১টা ৫ মিনিটের দিকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। এ নিয়ে এ দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩৩ জনে।

জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান বলেন, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মাকিন নামের আরও একজন মারা গিয়েছে। তার শরীরে ৭০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।

মাকিনের বাবা মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, আমার দুই ছেলের মধ্যে ছোট মাকিন। আমাদের গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের গাছা এলাকায় জানাজার পর তাকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।

গত সোমবার দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত হয় বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান। এতে ওই যুদ্ধবিমানের পাইলট, স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকসহ ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ৫০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।