খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৭ ভাদ্র, ১৪৩২

প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে জুলাই বিপ্লবে ছাত্রদের উপর হামলাকারি জসিম

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০২৫, ৯:৩৪ অপরাহ্ণ
প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে জুলাই বিপ্লবে ছাত্রদের উপর হামলাকারি জসিম

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী ও আন্দোলনকারীদের ওপর হামলাকারী ছেংগারচর পৌর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য ক্যাডার জসিম ভূইয়া এখনও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। এ ঘটনায় একাধিক মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখন পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। অথচ যুবলীগ ক্যাডার হিসেবে পরিচিত এই জসিমের ভয়েই গত জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত অজানা আতঙ্ক ছিল ছাত্র-জনতার।

ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর প্রথম কয়েকদিন সন্ত্রাসী জসিম গা ঢাকা দিয়ে থাকলেও এখন প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। শুধু তাই নয়, মতলব উত্তরের শ্রীরায়ের চর বাংলা বাজার ব্রীজ ও ছেংগারচর বাজারের স্কুল রোডে ছাত্রদের উপর হামলা ঘটনায় কেউ মুখ খুললে তাদের দেখে নেয়ার হুমকি-ধমকিও দিচ্ছেন। তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীরা।

জানা যায়, মতলব সেতু টোল প্লাজা ও নিশ্চিন্তপুর বাজার এলাকায় গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় পৌর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসিম ভূইয়া ও তার ক্যাডার বাহিনী।

ছেংগারচর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান ঢালী ও পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির খান ও উপজেলা শ্রমিকলীগ নেতা শামীম প্রধানের নেতৃত্বে এই হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় অংশ নেয় সে। এ ঘটনায় শ্রীরায়ের চর ব্রীজে
গুলিবিদ্ধ হয় দাউদকান্দি উপজেলার ভ্যান চালক নুরুল ইসলাম মিয়া এবং আহত হয় দুই শতাধিক আন্দোলনকারী শিক্ষাথী।

ভ্যান চালক গুলিবিদ্ধের ঘটনায় তার স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা বেশ কয়েকজনের নামে দাউদকান্দি থানায় মামলা দায়ের করেন। কিন্তু সন্ত্রাসী জসিম ভূইয়া প্রকাশ্যে চলাফেরা করলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অজানা কারণে তাকে গ্রেফতার করছে না।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, যুবলীগ ক্যাডার জসিম ভূইয়া সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া’র আস্থাভাজন হিসেবে এলাকায় পরিচিত।

চাঁদপুর সদরে কালীবাড়ি মোড় এলাকায় সংঘর্ষের পূর্ব মুহুর্তে জসিম ভূইয়াসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছাত্র-আন্দোলন বিরোধী নানা স্লোগান দেয়। পরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে হামলা ও গুলিবর্ষণ করেন। জেলা বিএনপির কার্যালয় এবং জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের বাসভবন (মুনিরা ভবনে) ভাঙচুর করেন। সেখানে প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে দেখা যায় আওয়ামী ক্যাডার জসিমকে।

৪ আগস্টের ওই হামলায় আহত এক শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, ওইদিন ছাত্রদের উপর হামলার ঘটনায় সন্ত্রাসী জসিম ছিল। আমার ছেলেও হামলায় আহত হয়েছে। কিন্তু সে এখনো প্রকাশ্যে ঘুরছে। আমি এর উচিত বিচার চাই।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক আরেকজন বলেন, দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি, দখল বাণিজ্য, মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, পুলিশের ওপর হামলা থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরণের অপরাধেই জসিম যুক্ত ছিল। তবে ৫ আগস্ট হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে কয়েকদিন সে গা ঢাকা দিলেও বর্তমানে বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তিনি এলাকায় বলে বেড়াচ্ছেন, সবকিছু ম্যানেজ হয়ে গেছে।

চাঁদপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলেন অন্যতম সমন্বয়ক মো. রিয়াজ হোসাইন বলেন, ৪ আগস্ট চাঁদপুর সদর ও মতলবে যারা নৃশংস হত্যাযজ্ঞ হামলা চালিয়েছে, তাদের ছবি প্রশাসনকে দিয়েছি। তাদের গ্রেফতারের দাবীতে আমরা কথাও বলেছি। কিন্তু এখনো জসিম দের মতো আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের অনেকে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, এটা ২৪ এর চেতনার জন্য হুমকি। প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি তাদের গ্রেফতারের জন্য।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রবিউল হক বলেন, জুলাই বিপ্লবে হামলায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, যুবলীগ ক্যাডার জসিম ভূইয়ার বিরুদ্ধে মতলব উত্তর থানাসহ চাঁদপুরের বিজ্ঞ আদালতে কয়েকটি মামলা আছে।

শাহরাস্তির আনসার কর্মকর্তা তুলসী দেবনাথের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:০৭ অপরাহ্ণ
শাহরাস্তির আনসার কর্মকর্তা তুলসী দেবনাথের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা

চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তুলসী দেবনাথের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তর সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করেছে।

স্থানীয় আনসার-ভিডিপি সদস্যদের অভিযোগ অনুযায়ী, দীর্ঘ ৮–১০ বছর ধরে একই উপজেলায় কর্মরত থেকে তুলসী দেবনাথ দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নানাভাবে আর্থিক অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ডিউটির জন্য নিয়োগ দিতে জনপ্রতি ৫শ’ থেকে ১হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ, মোটর ড্রাইভিং প্রশিক্ষণে অংশ নিতে ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা দাবি, আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণে ২শ’ থেকে আড়াই হাজার টাকা উৎকোচ, দলনেতা-দলনেত্রীদের মাসিক ভাতা থেকে নিয়মিত টাকা কর্তন, এমনকি নির্বাচনকালীন সরকারি ভাতা বণ্টনেও ব্যাপক অনিয়ম রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

অভিযোগের ভিত্তিতে কুমিল্লা রেঞ্জ পরিচালক আশীষ কুমার ভট্টাচার্য ও ১৭ আনসার ব্যাটালিয়নের পরিচালক ফাতেমাতুজ জোহরার নেতৃত্বে তদন্ত পরিচালিত হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে তুলসী দেবনাথের বিরুদ্ধে আনীত দুর্নীতির অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে।

এদিকে, দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় উত্তর ইউনিয়নের দলনেতা মো. মোস্তফা কামালকে ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে। দীর্ঘ ২০ বছরের কর্মজীবনে সততার সাথে দায়িত্বপালনকারী এ সদস্য ২০১৬ সালে “প্রেসিডেন্ট ভিডিপি সেবা পদক” অর্জন করেছিলেন।

তিনি অভিযোগ করেন, এটি সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলক এবং দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় তাকে অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি পুনর্বহাল ও স্থগিত ভাতা চালুর দাবি জানিয়েছেন।

মোস্তফা কামাল সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে আবেদন দাখিল করে বহিষ্কার আদেশ বাতিল ও পুনঃবহালের অনুরোধ করেছেন।

তিনি তার আবেদনে উল্লেখ করেন, ২০০৪ সাল থেকে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করলেও, উপজেলা আনসার কর্মকর্তা তুলসী দেবনাথ ও প্রশিক্ষক পিন্টু চন্দ্র দাসের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার কারণেই তাকে এবং আরও কয়েকজন দলনেতাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

তিনি জানান, তদন্তে মৌখিক ও লিখিতভাবে তথ্য-প্রমাণ দেওয়ার পরও উল্টো তার বিরুদ্ধে অসদাচরণের মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। জেলা ও রেঞ্জ পর্যায়ের কয়েক দফা তদন্তে অনিয়মের বিষয়টি ধরা পড়লেও শেষ পর্যন্ত যথাযথ ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

এতে শুধু তিনি নন, তার সঙ্গে দুইবার “প্রেসিডেন্ট আনসার সেবা পদক” অর্জন করা কোম্পানি কমান্ডার আব্দুস ছাত্তার ও পৌর দলনেতা মোজাম্মেল হোসেনকেও একই অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়।

মোস্তফা কামাল আরও বলেন, “আমি ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট ভিডিপি সেবা পদক পাই। অথচ জুলাই/২০২৪ থেকে আমার সম্মানী ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছি। সরকারের নিকট আমার একটাই আবেদন, বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করে আমাকে পুনঃবহাল করা হোক।”

এদিকে গত ৭ সেপ্টেম্বর (রবিবার) দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে এক গণমাধ্যমকর্মী পেশাগত দায়িত্ব পালনের পথে শাহরাস্তি উপজেলার চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়নের ফরিদ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত গ্রামভিত্তিক ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণের প্রথম দিনে গিয়ে দেখেন ঘোষিত ৭০ জন প্রশিক্ষণার্থীর স্থলে উপস্থিত ছিলেন মাত্র ৪১ জন (৭ জন মেয়ে ও ৩৪ জন ছেলে)। এমনকি ওইদিন নতুন করে আরও ৪ জন ভর্তি হতে আসেন। পরে ১০ সেপ্টেম্বর (বুধবার) সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে প্রশিক্ষণের চতুর্থ দিনে গণমাধ্যমকর্মীরা গিয়ে দেখেন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা আরও কমে দাঁড়িয়েছে ৩৪ জনে (২৪ জন পুরুষ ও ১০ জন মহিলা)।

বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশিক্ষক তুলসী দেবনাথের কাছে জানতে চাইলে তিনি দাবি করেন, “এখন পর্যন্ত মোট ৫৫ জন ভর্তি হয়েছে। অন্যরা আশপাশে আছে, হয়তো পরবর্তী দিনে যোগ দেবে। প্রশিক্ষণে মোট ৭০ জন অংশ নেবে এবং প্রশিক্ষণ শেষে তাদের প্রত্যেককে সনদপত্র ও প্রতিদিন ১৫০ টাকা হারে মোট দেড় হাজার টাকা ভাতা প্রদান করা হবে, তবে ১০ টাকা কেটে রাখা হবে।

প্রশ্ন উঠেছে—যখন চতুর্থ দিনে উপস্থিত সদস্য সংখ্যা মাত্র ৩৪ জন, তখন অনুপস্থিত বাকিদের প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ ছাড়াই কীভাবে ভাতা ও সনদ বিতরণ করা হবে? ভুক্তভোগী আনসার সদস্যরা মনে করেন, এটি আনসার কর্মকর্তার দুর্নীতির আরেকটি স্পষ্ট দৃষ্টান্ত।

স্থানীয় ভিডিপি সদস্যরা জানান, একজন দায়িত্বশীল সরকারি কর্মকর্তা তুলসী দেবনাথ ও পিন্টু দাস এ ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু সদস্যদের ক্ষতিই করছে না, বরং পুরো বাহিনীর ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ করছে। যারা অনিয়মের প্রতিবাদ করেন, তাদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হয়। ভুক্তভোগী সদস্যরা সরকারের কাছে দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রকৃত কর্মঠ সদস্যদের মর্যাদা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জোর দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে তুলসী দেবনাথকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, কিসের দুর্নীতি। আপনারা আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করুন।

শাহরাস্তিতে মাদক ও স্বৈরাচার বিরোধী আলোচনা সভা

মোঃ সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:৩০ অপরাহ্ণ
শাহরাস্তিতে মাদক ও স্বৈরাচার বিরোধী আলোচনা সভা

মাদকের বিষয়ে শাহরাস্তি উপজেলার টামটা দক্ষিণ ইউনিয়ন ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো একটি প্রতিবাদী আলোচনা সভা ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। ৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মাদক ব্যবসায়ী ও স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।

আলোচনা সভায় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বিল্লাল শিকদারের সভাপতিত্ব ও টামটা দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবদলের নেতা মো. মমিন শিকদার (লিটন মাস্টার) এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের ব্রাঞ্চ অফিসার মনির হাওলাদার।

এছাড়াও অন্যানদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, টামটা দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদকশামীম আহমেদ, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বিল্লাহ হোসেন শিকদার, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেরাজুন নবী (রাজু), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল প্রিন্স, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম (মানিক), সৌদি আরবের রিয়াদ শাখার বিএনপির সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদিন, ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক দিদার হোসেন মজুমদার।

সভায়বক্তারা মাদকের ভয়াবহতা এবং সমাজে এর বিস্তার রোধে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্সের ওপর জোর দেন এবং এই সামাজিক ব্যাধি থেকে যুবসমাজকে রক্ষায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

আলোচনা সভা শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। যা স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। এই আয়োজনের মাধ্যমে এলাকার মাদক নির্মূল ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় এক নতুন বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

শাহরাস্তিতে ​মহিলা মাদরাসার কমিটির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

মো. সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২৩ পূর্বাহ্ণ
শাহরাস্তিতে ​মহিলা মাদরাসার কমিটির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

শাহরাস্তিতে বলশিদ মহিলা মডেল আলিম মাদরাসার নতুন কমিটি নিয়ে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামকে সভাপতি করার পর থেকেই এই বিতর্ক শুরু হয়। তার পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। ইতিমধ্যে কমিটির তিনজন সদস্য পদত্যাগও করেছেন।

​স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদরাসার কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াটি ছিল অস্বচ্ছ ও গোপনে। তারা বলছেন, মাদরাসার নাম তিনবার পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রথমে “ফজিলতের নেছা মহিলা মাদরাসা”, পরে “শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মহিলা মাদরাসা” এবং এখন “বলশিদ মডেল মহিলা আলিম মাদরাসা” নাম রাখা হয়েছে। যদিও মাদরাসার ফটকে এখনও আগের নামফলকই ঝুলছে। ​এছাড়াও সভাপতি আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে আরও কিছু গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

​তিনি একসাথে একাধিক মাদরাসার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। ​তার স্ত্রী নাজমা বেগম মাদরাসার অফিস সহকারী হলেও তিনি নাকি বাড়িতে বসেই হাজিরা খাতায় সই করেন। ​তাদের পরিবারের আরও পাঁচজন সদস্য মাদরাসার বিভিন্ন পদে চাকরি করছেন।

অভিভাবক সদস্য খোরশেদ আলম জানান, “আমার দুই মেয়ে এখানে পড়ে। আমাকে হঠাৎ ডেকে অভিভাবক সদস্য হিসেবে সই করতে বলা হয়। এটা একটা কৌশল ছিল বুঝতে পেরে আমি পদত্যাগ করেছি।”

​ইউপি সদস্য মোশাররফ হোসেন বলেন, “গোপনে অসৎ উদ্দেশ্যে এই কমিটি করা হয়েছে। আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানতাম না।”

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন জানান, অধ্যক্ষের কক্ষের চাবি ও কমিটির সব নথিপত্র সভাপতির কাছেই থাকে।

​সভাপতি আমিনুল ইসলাম সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “মাদরাসার নাম দুইবার পরিবর্তন হয়েছে, তিনবার নয়। অন্য প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হয়েও এখানে সভাপতি হওয়া নিয়মসিদ্ধ। যারা পদত্যাগ করেছেন, সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।”

​উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিয়া হোসেন জানিয়েছেন, “কমিটি নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”

স্থানীয়দের দাবি, এই বিতর্কিত কমিটি বাতিল করে একটি স্বচ্ছ কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন। তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে যদি সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও সুপার মনিরুজ্জামানকে অপসারণ করা না হয়, তাহলে তারা আরও কঠোর আন্দোলন করবেন।

এলাকাবাসীর সর্বস্তরের জনগণের অংশ গ্রহনে  মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন,ওই সময় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় এলাকাবাসী সৈয়দ আহমেদ দুলাল, কামরুল আহসান মজুমদার, মমতাজ উদ্দিন ভূঁইয়া, শাহ আলম খান, বাবুল হোসেন পাটোয়ারী, গিয়াস উদ্দিন মিয়াজী, লিপন, মনির হোসেন, রুহুল আমিন পাটোয়ারী, কিরণ মুন্সি, মোশারেফ মেম্বার, হেলাল মুন্সী, সাগরসহ বহু অভিভাবক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।