খুঁজুন
সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০২৫, ১৭ চৈত্র, ১৪৩১

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় চাঁদপুর জেলা ছাত্রকল্যান পরিষদের ইফতার

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫, ৮:৩৭ অপরাহ্ণ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় চাঁদপুর জেলা ছাত্রকল্যান পরিষদের ইফতার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় চাঁদপুর জেলা ছাত্রকল্যান পরিষদের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর শহরের রেডচিলি চাইনিজ এন্ড রেষ্টুরেন্টে ইফতার মাহফিল আয়োজিত হয়।

ইফতার মাহফিলে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ইকরামুল সিদ্দিক, চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শওকত জামিল সৈকত, অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন।

অনুষ্ঠানে দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইটির অধ্যাপক ড. মেজবাহ উদ্দিন সরকার।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় চাঁদপুর জেলা ছাত্রকল্যান পরিষদের সভপতি জহিরুল ইসলাম মির্জার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাবাব সবুজ অর্নবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র প্রনব কুমার দে।

ইফতার মাহফিলের পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যে চাঁদপুরের এতজন ছাত্রছাত্রী রয়েছে, সেটা আজকের এই অনুষ্ঠানে না আসলে হয়তো জানতে পারতাম না। এটি অত্যন্ত ভালো একটি উদ্যোগ। এতে করে একই জেলার শিক্ষার্থীরা একটি প্লাটফর্মে থেকে তাদের শিক্ষা কার্যক্রমকে অনেক দুর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।

তিনি আরো বলেন, চাঁদপুরে যারা মেধাবী গরীব ছেলে মেয়ে রয়েছে, যারা আর্থিক ভাবে দুর্বল থাকার কারনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেনা, তাদেরকেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ে সহযোগিতা করতে হবে। এমন সব ভালো ভালো কাজের মাধ্যমে আপনাদের সংগঠনটি আরো অনেক দুর এগিয়ে যাবেন। আপনাদের এই সংগঠনটি আরো সুদীর্ঘ হোক, আরো মুজবুত হোক এমনটাই প্রত্যাশা করছি।

ইফতার মাহফিলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চাঁদপুর জেলা ছাত্রকল্যান পরিষদের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

মাত্র ৫ টাকায় ঈদের নতুন পোশাক : হাসি ফুটলো ৫০০ শিশুর

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০২৫, ৮:৪৬ অপরাহ্ণ
মাত্র ৫ টাকায় ঈদের নতুন পোশাক : হাসি ফুটলো ৫০০ শিশুর

মাত্র ৫ টাকা! এই টাকায় হয়তো আমরা এক কাপ চা কিনি কিন্তু চাঁদপুরের ফরাক্কাবাদের ৫০০ শিশুর কাছে এই ৫ টাকা ছিল ঈদের নতুন জামার স্বপ্ন পূরণের চাবিকাঠি। ঈদের আনন্দ যেখানে অনেকের জন্য নতুন পোশাকের হাসি, সেখানে ফরাক্কাবাদের শত শত সুবিধাবঞ্চিত শিশুর সেই হাসি ছিল অনিশ্চিত। তাদের সেই স্বপ্নপূরণে এগিয়ে এসেছে স্বপ্নতরু সামাজিক সংগঠন।

“মানবতার কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ” এই স্লোগানকে হৃদয়ে ধারণ করে, দীর্ঘদিন ধরে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে স্বপ্নতরু। তারই ধারাবাহিকতায় আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে স্বপ্নতরু সামাজিক সংগঠনের ফরাক্কাবাদ শাখা আয়োজন করে এক ব্যতিক্রমী ঈদ বাজারের।

শনিবার সকালে চাঁদপুর সদর উপজেলার ফরাক্কাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ যেন রঙিন হয়ে ওঠে সেই শিশুদের হাসিতে। অনুষ্ঠানে প্রায় ৫ শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের হাতে ৫ টাকার বিনিময়ে তুলে দেওয়া হয় নতুন ঈদের পোশাক।

তবে এটি কোনো দান নয়, ছিল এক সম্মানের আয়োজন। শিশুদের হাতে জামা তুলে দেওয়া হয় ‘ক্রয় করার’ অনুভূতি দিয়ে, যাতে তারা বুঝতে পারে এই জামা তারা নিজেরাই কিনেছে, দয়ার হাত পেতে নয়।
স্বপ্নতরু সামাজিক সংগঠনের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন বলেন, “আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি। আমরা চাই, কেউ যেন ঈদের দিনে নতুন জামা না পেয়ে কষ্টে না থাকে। সেই ভাবনা থেকেই ৫ টাকার বিনিময়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে নতুন পোশাক বিতরণ করা হয়েছে। যাতে তারা বোঝে, এ আনন্দ তাদের নিজের অধিকার।”

ঈদের নতুন জামা হাতে পেয়ে অনেক শিশুর চোখে ছিল খুশির জল। কারও হাতে রঙিন জামা, কারও হাতে নতুন ফ্রক, কেউবা পাঞ্জাবি গায়ে দিয়ে বলছিল এবার আমিও নতুন জামা পরব!”
ফরাক্কাবাদের স্কুল মাঠের সেই দৃশ্যটা যেন ছিল মানবতার সবচেয়ে সুন্দর ছবির মতো।

মাত্র ৫ টাকায় কেনা জামার বিনিময়ে শত শত শিশুর মুখে ফুটে উঠলো ঈদের হাসি। স্বপ্ন দেখুক তারা, এগিয়ে যাক মানবতা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং স্বপ্নতরু সংগঠনের সকল শাখার সদস্যরা।

চাঁদপুর এসএসসি ৯৩ ব্যাচ বন্ধু মহলের ইফতার মাহফিলে যুগ্ম সচিব নাজমুল আহসান

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০২৫, ৮:১৪ অপরাহ্ণ
চাঁদপুর এসএসসি ৯৩ ব্যাচ বন্ধু মহলের ইফতার মাহফিলে যুগ্ম সচিব নাজমুল আহসান

চাঁদপুর এসএসসি ৯৩ ব্যাচ বন্ধু মহলের ইফতার মাহফিলে বাংলাদেশ সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয়ে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত বন্ধু মোহাম্মদ নাজমুল আহসানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন ৯৩ ব্যাচের সকল বন্ধুরা।

চাঁদপুর এসএসসি ৯৩ ব্যাচ বন্ধু মহলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর শহরের রেডচিলি চাইনিজ এন্ড রেষ্টুরেন্টে এই ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

ইফতার মাহফিলে অংশ নেন এসএসসি ৯৩ ব্যাচের বন্ধু ও বাংলাদেশ সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয়ে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত মোহাম্মদ নাজমুল আহসান।

ইফতার মাহফিলের পূর্বে ৯৩ ব্যাচের সকল বন্ধুরা মিলে পদোন্নতিপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব নাজমুল আহসানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
পরে বন্ধু মহলের আব্দুল গফুরের দোয়া ও মুনাজাত পরিচালার মাধ্যমে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় চাঁদপুরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের এসএসসি ৯৩ ব্যাচের সকল বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের পাশে দাঁড়ালেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক

শওকত আলী
প্রকাশিত: শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০২৫, ৭:৪৩ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের পাশে দাঁড়ালেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক

পবিত্র ঈদুল ফিতর সুন্দরভাবে উদযাপন করার লক্ষ্যে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।

শনিবার জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে জেলার প্রতিটি উপজেলায় আহত ও শহিদ পরিবারের কাছে ঈদ উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়।

জেলা প্রশাসন থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, চাঁদপুর জেলার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১৪৫ জন আহত এবং ৩১ জন শহীদ পরিবারকে ঈদ উপহার প্রদান করা হয়। এছাড়াও জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ২৯ জন শহীদ পরিবারকেও জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ঈদ সামগ্রী দেয়া হয়।

ঈদ সামগ্রীর মধ্যে ২ কেজি পোলাওয়ের চাল, সয়াবিন তেল ২ লিটার, সেমাই ৪ প্যাকেট, চিনি ১ কেজি, কিসমিস ও গুড়া দুধ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন জানান, আমি চেয়েছি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত এবং শহীদ পরিবারের সদস্যরা যেন পবিত্র ঈদুল ফিতর সুন্দরভাবে উদযাপন করতে পারে তার জন্যে একটু ক্ষুদ্র উপহার সামগ্রী দেয়া হয়েছে।

ডিসি আরো বলেন, শুধুমাত্র ঈদ নয়, সবসময়ই চাঁদপুর জেলা প্রশাসন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত এবং শহীদ পরিবারের পাশে থাকবে। আমি আশাকরি রাষ্ট্রও সবসময়ই তাদের পাশে আছে এবং থাকবে। কারণ রাষ্ট্র সবসময়ই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত এবং শহীদদের কথা ভাবেন এবং চিন্তা করেন।