চাঁদপুরে ১৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড

শওকত আলী
প্রকাশের সময়: বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫ । ৭:৩২ অপরাহ্ণ

টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে চাঁদপুরে বেড়েছে জলাবদ্ধতা ও জনদুর্ভোগ। কখনো মাঝারি, আবার কখনো মুষলধারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্কুল, কলেজগামী শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী হাজার-হাজার মানুষ। বিশেষ করে নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়ায় অনেকের বসতঘরে পানি ঢুকে পড়েছে এবং ছোট-ছোট শিশুদেরকে নিয়ে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে মহল্লাবাসীকে।

গত সোমবার, মঙ্গলবার রাত থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে চাঁদপুর শহরের অধিকাংশ নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেওয়ায় সাধারন মানুষজন দুর্ভোগে পড়ে রয়েছে।

সরজমিনে বুধবার সকালে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, শহরের বিষ্ণুদী মাদ্রাসা রোড, নাজির পাড়া, পালপাড়া, আলিমপাড়া, রহমতপুর কলোনীসহ বেশ কিছু সড়কে ব্যাপক জলাবদ্ধতা রয়েছে। এতে করে দুর্ভোগে পড়েছেন ওই এলাকার হাজার-হাজার বাসিন্দারা।

এদিকে টানা বৃষ্টিতে জেলার গ্রামীণ সড়কগুলো ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি শাহরাস্তি ও ফরিদগঞ্জ উপজেলায় গেল বছরের মতো জলাবদ্ধতায় শিকার হয়ে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

অন্যদিকে যাত্রী সংকটে লঞ্চ চলাচলে সিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। যাত্রী পেলে ২ ধেকে ৩ ঘন্টার পর ছাড়ছে ঢাকাগামী যাত্রীবাহি লঞ্চগুলো।

চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী মাদ্রাসা রোড এলাকার ব্যবসায়ী বেলাল হোসাইন জানান, অতি বৃষ্টির কারণে দোকানের সামনে হাটু সমান পানি জমে আছে। যার কারণে কোন ক্রেতা আসতে পারছে না। বৃষ্টি চলমান থাকলে দোকানে পানি ঢুকে যাবে। তখন আরো বিড়ম্বনায় পড়তে হবে।

শহরের মিশন রোড এলাকার বাসিন্দা আলম খান বলেন, টানা বৃষ্টিতে শহরের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত এবং শ্রমিকরা কাজে যেতে পারছেনা।

চাঁদপুর জেলা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা শাহ মো. শোয়েব জানান, গত ৪৮ ঘন্টায় সকাল ৬টা পর্যন্ত ১২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবার সকাল ৯ ঘটিকা পর্যন্ত তা বেড়ে ১৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টিপাত আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

অপরদিকে জেলার বিভিন্ন উপজেলার নিন্মাঞ্চল অতিবৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এ সব অঞ্চলের হাজার-হাজার মানুষ দুর্ভোগে রয়েছে। তারা অতিকষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

এ ছাড়া চাঁদপুর সদর-হাইমচর ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা এলাকার কয়েকটি স্থানের মাছের ঘের বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় মাছ চাষিদের লাখ-লাখ টাকার ক্ষতিসাধিত হয়েছে বলে চাষিরা জানিয়েছেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. জাকির হোসেন ।  কপিরাইট © দৈনিক আলোকিত চাঁদপুর

প্রিন্ট করুন