সেলিমুছ সালামের দৃষ্টান্তমুলক পদক্ষেপে রক্ষা পেল একটি তাজা প্রাণ

মিজান লিটন
প্রকাশের সময়: বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫ । ৯:১৯ অপরাহ্ণ

চাঁদপুর শহরের চিত্রলেখা মোড় সংলগ্ন হাজী মহসিন রোডের গাজী বডিং এর সামনে কিশোর গ্যাং এর একটি দল নাহিদ ইসলাম নামে এক কিশোরের উপর দেশীয় অস্ত্রে সু-সজ্জিত হয়ে আতর্কিত হামলা চালায়।
এ সময় জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক সেলিমুছ সালাম ঘটনাস্থল দিয়ে যাচ্ছিল। তিনি তখন ঘটনাটি দেখে তার একক প্রচেষ্টায় সাহসিকতা নিয়ে ওই কিশোর গ্যাংদের হাত থেকে আহত নাহিদ ইসলামকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাঁদপুর শহরে বেশ কিছুদিন ধরে কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা বেস সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা ইতোমধ্যে কয়েকটি বড় ধরনের ঘটনাও ঘটিয়েছে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা দলবদ্ধ হয়ে কাউকে আঘাত করতে দ্বিধাবোধ করে না।

এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে সোমবার (১৪ জুন) সন্ধায় চাঁদপুর শহরের চিত্রলেখা মোড় সংলগ্ন হাজী মহসিন রোডের গাজী বোর্ডিং এর সম্মুখে। শহরের ঘোষপাড়া, মুমিন পাড়া, তালতলা এলাকার গাজী বাড়ি সহ বেশ কিছু কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা দলবদ্ধ হয়ে নাহিদ ইসলাম নামে এক কিশোরকে মারধর করে। সে সময় চাঁদপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সেলিমুছ সালাম সেখানে উপস্থিত থাকায় ঘটনাটি তার নজরে আসে। তিনি তাৎক্ষণিক সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে তার একক প্রচেষ্টায় কিশোর গ্যাং এর সদস্যদের কাছ থেকে আহত নাহিদ ইসলামকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়। তখন আহত নাহিদ ইসলামের শরীর থেকে রক্ত ঝরতে দেখা যায়।

পরে তিনি  বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করলে তাৎক্ষণিক  ঘটনাস্থল পুলিশ চলে আসলে কিশোরগ্যাং এর সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আহত নাহিদ ইসলামের বাবা মোঃ আবুল কাশেম ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং তার ছেলের  প্রাণ রক্ষা করার জন্য সেলিমুছ সালামকে ধন্যবাদ জানিয়ে তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এ সময় তিনি আরো বলেন, মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি,আজ আপনার জন্য আমার ছেলের প্রাণ রক্ষা হল নতুবা আজকে হয়তো আপনি না থাকলে আমার ছেলেকে জীবিত ফিরে  পেতামনা।

এ বিষয়ে সেলিমুছ সালামের সাথে আলাপ কালে তিনি জানান, চাঁদপুর একটি শান্তির শহর, এই শহরকে ইদানিংকালে বিভিন্ন পাড়া মহল্লার বেশ কিছু কিশোর গ্যাং এর কারণে এই শহরটি অশান্ত শহরের রূপ নিতে যাচ্ছে। আজকে যে ঘটনাটি ঘটেছে আমি যদি সেই সময় উপস্থিত না থাকতাম তাহলে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঁদপুর শহরে আরেকটি কলঙ্কিত অধ্যায়ের সৃষ্টি হতো। একটি মা বাবার বুক খালি হত।

তিনি আরো বলেন, আমাদের চাঁদপুরের মাটি ও মানুষের নেতা, জেলা বিএনপি’র কর্ণধার (সভাপতি) শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন এই কিশোর গ্যাং এর সদস্যদেরকে যেখানেই কোন অপ্রীতিকর কাজের সাথে দেখা যাব তাদেরকে কঠোর হস্তে প্রতিহত করতে হবে।  এবং কিশোর গ্যাংএর ব্যাপারে আমরা জিরো টলারেন্স, আমরা আমাদের নেতার নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি।

আমি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে আকুল আবেদন করছি এদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে এসে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক, তাহলে অন্যরা তা দেখে শিক্ষা নেবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. জাকির হোসেন ।  কপিরাইট © দৈনিক আলোকিত চাঁদপুর

প্রিন্ট করুন