
পটুয়াখালীর ৩ নির্বাচনী এলাকার দশমিনা ও গলাচিপায় হাসান মামুনের নির্দেশে তার অনুসারী বিএনপির নেতাকর্মীরা গণঅধিকার পরিষদের সংগ্রামী সভাপতি ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরসহ নেতাকর্মীদেরকে অবরুদ্ধ, মারধর ও একাধিক ইউনিয়ন কার্যালয় ভাঙচুরের প্রতিবাদে চাঁদপুর জেলা গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৪ জুন বিকেলে চাঁদপুর জেলা গণঅধিকার পরিষদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে জেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আশরাফুজ্জামান কাজী রাসেলের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সদস্য সচিব সামিউল প্রদানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও চাঁদপুর-৩ আসনের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী সাংবাদিক মো. জাকির হোসেন।
এ সময় তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে এমন উগ্র, সহিংস ও পেশিশক্তির রাজনীতি রাষ্ট্র সংস্কার ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে। যার পরিণতি সকলকে ভোগ করতে হবে। ১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনে থেকেই বিএনপির সাথে ভিপি নুরুল হক নূরের সুসম্পর্ক ছিলো, ২০২১ সালে গণঅধিকার পরিষদ সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে বিএনপির সাথে একটি সেতু বন্ধন ছিল। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় হলেও সত্য পটুয়াখালীর- ৩ নির্বাচনী এলাকার হাসান মামুন ও তার কিছু সাঙ্গপাঙ্গর কারণে বিএনপির সাথে কিছুটা হলেও দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে, হতে শুরু হয়েছে।
সাংবাদিক জাকির হোসেন বলেন, এই দূরত্ব কমিয়ে আনার জন্য বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দের কাছে হাসান মামুনসহ দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করছি। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশকে জনগণের জন্য নিরাপদ না করতে পারলে শহীদের রক্তের সাথে পুরোপুরি বেইমানি করা হবে এবং এই গণঅভ্যুত্থান ইতিহাসে ব্যর্থ হিসেবে পরিগণিত হবে।
অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, শাহিদা আক্তার, নিলুফা আক্তার, মো. মানিক, যুগ্ম সদস্য সচিব হাসান মেজি, ঢাকা মহানগর উত্তর যুব অধিকার পরিষদের অর্থ সম্পাদক সজীব হাসান, চাঁদপুর সদর উপজেলা যুব অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব আলামিন সুমন, পৌর সদস্য সচিব মাসুদ রানা নিশান, ফরিদগঞ্জ উপজেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মো. আরিফ হোসেন, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সভাপতি জি এম মানিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরনবী, চাঁদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রধিকার পরিষদের আহবায়ক মোঃ ফারুক খান, সদস্য সচিব আবু জাফর মিজি প্রমুখ।