
হাইমচরে গৃহবধু ফাতেমা (২৫) কে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার দায়ে শ্বশুড় সিরাজুল ইসলাম, শ্বাশুড়ী শাহানারা বেগম কে যাবজ্জীবন ও দেবর রিপন কে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার বিকেলে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আমিরুল ইসলাম এ রায় দেন।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী রিপন হাইমচর উপজেলার পশ্চিম ভিঙ্গুলিয়া গ্রামের আসামী সিরাজুল ইসলামের ছেলে। যাবজ্জীবন প্রাপ্ত সিরাজুল ইসলাম একই এলাকার মৃতঃ হাসেম গাজীর ছেলে ও অপর আসামী শাহানারা তার স্ত্রী।
হত্যার শিকার গৃহবধু ফাতেমা প্রবাসী ফারুক গাজীর স্ত্রী। তার পিতার বাড়ি নারায়নগঞ্জ জেলার গোলাকান্দাই এলাকার মৃতঃ জামাল উদ্দিন খানের মেয়ে।
বিবরনে জানা যায়, ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসের ১৫ তারিখ দিবাগত রাতে পারিবারিক কলহের জের ধরে ফাতেমার শ্বাশুড়ী শাহনারা কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তার গলায় চেপে ধরে, শ্বশুড় ও দেবর গৃহবধুর পেটে লাথি মারে। এতে ঘটনাস্থলেই ফাতেমার মৃত্যু হয়। পরে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে বাড়ির পুকুরে লুকিয়ে রাখে। পরের দিন সকালে বাড়ির অন্যান্য লোকজন পুকুরে লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর পাঠায়। ১৬ অক্টোবর গৃহবধুর ভাই ইউসুফ খান বাদী হাইমচর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় তৎকালিন সময়ে হাইমচর থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুস সামাদ তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারী আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউর (এপিপি) শামছুল ইসলাম মন্টু বলেন, মামলাটি ১৬ বছর চলমান অবস্থায় ২৩ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত। আসামীরা অপরাধ স্বীকার করায় এবং মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে আসামীদের উপস্থিতিতে বিচারক এ রায় প্রদান করেন।
আসামী পক্ষের আইনজীবিরা হলেন জহিরুল ইসলাম ও জুয়েল রানী শীল।