কচুয়া উপজেলায় এক বাক-প্রতিবন্ধী নারী ধর্ষণের শিকার হয়ে বাচ্চা প্রসবের পর মারা যান। সোমবার বিকালে ওই নারীকে দাফন করা হয়। এর আগে অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষক মেহেদি হাসান ওরফে প্রদীপকে (৩০) গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত মেহেদি হাসান ওরফে প্রদীপ উপজেলার আশ্রাফপুর ইউনিয়নের আশ্রাফপুর গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে। মারা যাওয়া বাক-প্রতিবন্ধী গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার বাদী তার ভাই শেখ ফরিদ বলেন, রোববার রাতে বোন সন্তান প্রসব করে। পরে তার অবস্থা গুরুতর হলে শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, প্রদীপদের বাসায় বোন পারিবারিক কাজ করতে যেতো। কোন একসময় বোনকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি জানাজানি হলে তাকে বিয়ের জন্য পারিবারিক ও সামাজিকভাবে চেষ্টা করা হয়। প্রদীপ রাজি না হওয়ায় গত ৩ মার্চ কচুয়া থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয়।
ইউপি সদস্য হাছিনা বেগম বলেন, একাধিকবার বৈঠকের চেষ্টা হয়। কিন্তু সমাধান হয়নি। এখন মেয়েটি মারা গেছে। ছেলেও জেলহাজতে। মেয়ে বাক-প্রতিবন্ধি আর ছেলেও কিছুটা বুদ্ধি প্রতিবন্ধি ছিল।
এ বিষয়ে কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আজিজুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, কচুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯(১) ধারায় একটি মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং ৩। অভিযুক্ত প্রদীপকে ৩ মার্চ রাতে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, কন্যা শিশুর পিতৃত্ব নিশ্চিত করতে নিহত বাক-প্রতিবন্ধীর ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। পরে শিশুর ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে পিতৃ পরিচয় শনাক্ত করা হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মো. জাকির হোসেন
dailyalokitochandpur@gmail.com, +8801613090707
Copyright © 2025 Dailyalokitochandpur. All rights reserved.