খুঁজুন
সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ২৪ চৈত্র, ১৪৩১

শিক্ষার্থীদের ফি কালেকশন সেবা দেবে ব্র্যাক ব্যাংক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১২:১৪ পূর্বাহ্ণ
শিক্ষার্থীদের ফি কালেকশন সেবা দেবে ব্র্যাক ব্যাংক

শিক্ষার্থীদের সহজ ফি কালেকশন সেবা দিতে ব্র্যাক ব্যাংক-এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি। এই পার্টনারশিপটি বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন এবং কার্যকর ফি সংগ্রহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে। দুই প্রতিষ্ঠানের প্রযুক্তিগত একীভূতকরণের ফলে নিরাপদ, সহজ এবং তাৎক্ষণিক ফি ও চার্জ পরিশোধের সুবিধা মিলবে।

ব্র্যাক ব্যাংকের বিস্তৃত ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক থেকে শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরা ব্যাপক সুবিধা পাবেন। ব্র্যাক ব্যাংকের ১৮৯টি শাখা, ৭৪টি উপশাখা এবং ১,১০০টিরও বেশি এজেন্ট আউটলেটে এখন সহজেই ফি জমা দেওয়া যাবে। এছাড়া, ব্যাংকের ‘আস্থা’ অ্যাপ এবং অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে যুক্ত হওয়ায় ফি পরিশোধ প্রক্রিয়া আরও সহজ হবে।

ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে, ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও হেড অব ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক শেখ মোহাম্মদ আশফাক এবং ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির কোষাধ্যক্ষ এয়ার কমোডর (অব.) ইশফাক ইলাহী চৌধুরী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অব ট্রানজ্যাকশন ব্যাংকিং একেএম ফয়সাল হালিম, হেড অব ব্রাঞ্চ ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন আলী তালুকদার, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ফাইন্যান্স কন্ট্রোলার তৌহিদুল ইসলাম, এফসিএ, এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।

ব্র্যাক ব্যাংকের ইনস্টিটিউশনাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম কর্পনেট এবং স্মল বিজনেস ও রিটেইল ডিজিটাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম, আস্থা একত্রিত করে ফি সংগ্রহ ব্যবস্থা আরও উন্নত করা হয়েছে। এই সংযোজন প্রশাসনিক কার্যক্রম সহজ করার পাশাপাশি বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও পেমেন্ট প্রক্রিয়া দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করতে সাহায্য করবে।

এছাড়াও, শিক্ষা ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার (EMS) ব্যবহার না করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ব্র্যাক ব্যাংক কাস্টমাইজড পেমেন্ট সল্যুশন প্রদান করে, যা তাদের নির্দিষ্ট চাহিদা পূরণ করতে সহায়ক হবে।

ব্র্যাক ব্যাংকের এই পার্টনারশিপটি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং তাদের স্টেকহোল্ডারদের জন্য আধুনিক, কার্যকর এবং প্রযুক্তিনির্ভর নগদ সংগ্রহ সেবা দেওয়ার মিশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।

চাঁদপুরে অসুস্থ সাংবাদিকদের মাঝে কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:০৫ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে অসুস্থ সাংবাদিকদের মাঝে কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ

বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে চাঁদপুরের ৯ জন অসুস্থ ও অসচ্ছল সাংবাদিকদের মধ্যে কল্যাণ অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার বিকেলে চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ৯ জন সাংবাদিককে ৪ লাখ ৮০হাজার টাকা প্রদান করা হয়।

অনুদানের চেক সাংবাদিকের হাতে তুলে দেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন, বিগত প্রায় ১১ বছর কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা বিতরণ হয়েছে একটি মতাদর্শের লোকদের মাঝে। পর্যালোচনা করে দেখেছি ৬ হাজার চেকের মধ্যে এক পত্রিকার একজন পেয়েছে। একই লোক বার বার অনুদান পেয়ে একসময় আবেদনের যোগ্যতা হারিয়েছে। মূলত তখন বৈষম্য করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে বৈষম্য হবেনা। এখানে যিনি পেশায় সাংবাদিক এবং অসুস্থ তিনি অবশ্যই অনুদান পাবেন। আমরা কোন মতাদর্শ দেখব না। যোগ্যব্যক্তি আবেদনের মাধ্যমে সহায়তা পাবেন।

এই সাংবাদিক নেতা বলেন, আমরা সাংবাদিকদের কল্যাণে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আমাদের সন্তানদের পড়ালেখার জন্য বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। বীমা করার জন্যও চিন্তা ভাবনা চলছে। আমরা চাইবো সাংবাদিকরা বিনামূল্যে চিকিৎসা পায় এমন একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করার জন্য। যেখানে সাংবাদিক ছাড়া অন্যরা অর্থ ব্যয় করে চিকিৎসা নিবেন।

তিনি বলেন, গত ১৫ বছর ৬০ জন সাংবাদিক হত্যার শিকার হয়েছেন। পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন অনেকে। সাংবাদিকতা করার জন্য আমরা এখন একটি মুক্ত ও স্বাধীন সময় পেয়েছি। এই সময়টাকে আমাদেরকে কাজে লাগাতে হবে। তবে এক্ষেত্রে সুযোগ পেয়ে অপসংবাদিকতা করা যাবে না।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশের বর্তমান সরকার নানা উদ্যোগ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। গণমাধ্যমেও সংস্কার করা হচ্ছে। সংস্কার এই দেশে সাংবাদিকদের কাজ করাও অনেকটা চ্যালেঞ্জিং হবে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশ গড়ার জন্য আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিব ও প্রেসক্লাবের সভাপতি রহিম বাদশা।

আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্যে দেন বাংলাদেশের খবর পত্রিকার সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ ও দৈনিক গণজাগরণ পত্রিকার উপদেষ্টা সম্পাদক ফরিদ আহমেদ রিপন।
প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাদের পলাশের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সাবেক সভাপতি জালাল চৌধুরী, গিয়াস উদ্দিন মিলন, শাহাদাত হোসেন শান্ত, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল রুশদী, জিএম শাহীন, মির্জা জাকির, লক্ষ্মন চন্দ্র সূত্রধর, আল ইমরান শোভন ও রিয়াদ ফেরদৌস।
আরো বক্তব্য দেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক অধ্যাপক দেলোয়ার আহমেদ, মুনির চৌধুরী, প্রথম আলো চাঁদপুর প্রতিনিধি আলম পলাশ, সময় টিভির নিজস্ব প্রতিনিধি ফারুক আহমেদ, প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল আউয়াল রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক তালহা জুবায়ের, ইব্রাহিম রনি ও কোষাধ্যক্ষ সালাউদ্দিন খান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সাংবাদিকদের সাথে পরিচিত হন প্রধান অতিথি সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ।

ফরিদগঞ্জে ভুয়া কবিরাজের প্রতারণা ফাঁস, সাংবাদিককে হুমকি, থানায় অভিযোগ

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:৪০ অপরাহ্ণ
ফরিদগঞ্জে ভুয়া কবিরাজের প্রতারণা ফাঁস, সাংবাদিককে হুমকি, থানায় অভিযোগ

চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৫ নম্বর রূপসা ইউনিয়নের আমিরা বাজারে দীর্ঘদিন ধরে ‘খাজা ঔষধালয়’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে ভুয়া চিকিৎসা সেবা দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন শেখ মোঃ মোখলেছুর রহমান নামের এক ব্যক্তি। যিনি নিজেকে ‘ডাক্তার’ এবং ‘কবিরাজ’ বলে পরিচয় দিয়ে নারী-পুরুষদের শারীরিক ও মানসিক সমস্যার নানা অলৌকিক সমাধান দেওয়ার দাবি করে আসছিলেন।

বিভিন্ন এলাকা থেকে পাওয়া একাধিক অভিযোগ অনুযায়ী, এই স্বঘোষিত কবিরাজ প্রলোভন ও মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বহু মানুষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। রোগ নিরাময়ের নামে অসংখ্য নারী-পুরুষের সঙ্গে অবৈজ্ঞানিক ও অবাস্তব কথাবার্তা বলে তাদের মানসিকভাবে প্রভাবিত করতেন তিনি। এই প্রতারক নানা রকম “জ্বীন তন্ত্র”, “তাবিজ”, “ভালোবাসার টান তৈরি করা” ইত্যাদি নামে চিকিৎসা প্রদান করে আসছিলেন।

একাধিক ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদক গোপনে অনুসন্ধান শুরু করেন। সংবাদকর্মীর পরিচয় গোপন রেখে, একজন সাধারণ রোগীর ভঙ্গিতে কবিরাজ মোখলেছুর রহমানের ক্লিনিকে সরাসরি গিয়ে দেখা করেন।

প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে কবিরাজ জানান, রোগী অর্থাৎ প্রতিবেদকের “ভাবি” নাকি তার সঙ্গে প্রেমে পড়ে যাবে, যদি নির্দিষ্ট কিছু তাবিজ ব্যবহার করা হয়। তিনি বলেন, “৬ হাজার টাকা দিলেই জ্বীন ব্যবহারে আপনার ভাবিকে আপনার প্রতি আকৃষ্ট করে তুলব। এক মাসের মধ্যে গভীর রাতে সে আপনাদের ঘরে চলে আসবে এবং ভবিষ্যতে আপনার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবে।”

এই ধরনের বক্তব্য শুধু প্রতারণামূলক নয়, ভয়াবহ অনৈতিক এবং মানসিকভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চক্রান্ত হিসেবেও দেখা যেতে পারে।

এই সব কথোপকথন প্রতিবেদক নিজের মুঠোফোনে গোপনে ভিডিও রেকর্ড করেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পর কবিরাজের দালাল আশপাশের লোকজন বিষয়টি আঁচ করতে পারে এবং তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবেদকের উপর চড়াও হয়। তারা তার ফোন কেড়ে নিয়ে রেকর্ড করা ভিডিওগুলো মুছে দেয়।

প্রতিবেদক যখন নিজের সাংবাদিক পরিচয় প্রকাশ করেন, তখন পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কবিরাজের অনুসারীরা তাকে সংবাদ প্রচার না করার জন্য হুমকি দিতে থাকে, শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং তাকে “ভুয়া সাংবাদিক” বলে অপবাদ দেয়।

কবিরাজের একজন দালাল (মনির করিম নামে একজন ব্যক্তি) তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিবেদকের একটি ভিডিও আপলোড করে অপমানজনক ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াতে থাকে। একই সঙ্গে, কবিরাজ মোখলেছুর রহমান স্থানীয় চিহ্নিত ক্যাডার বাহিনীকে ফোন করে ডেকে আনে। তারা প্রতিবেদককে হুমকি দেয় যে, সংবাদ প্রকাশ করলে তাকে “চাঁদাবাজ” হিসেবে গণপিটুনি দিয়ে জনসমক্ষে অপদস্থ করা হবে।

এছাড়া, প্রতিবেদকের পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) কেড়ে নেওয়ারও চেষ্টা করা হয়। এই সংকটজনক অবস্থায় প্রতিবেদক দ্রুত ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর প্রায় ৪৫ মিনিটের মধ্যে থানার এসআই সঞ্জয় ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং সাংবাদিককে উদ্ধার করেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কবিরাজের ক্যাডার বাহিনী এলাকা থেকে পালিয়ে যায়।

পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কবিরাজ মোখলেছুর রহমান নিজেই প্রতারণার কথা স্বীকার করে। আশপাশের সাধারণ মানুষও পুলিশকে ঘটনার সত্যতা এবং সাংবাদিকের উপর হামলার বিষয়ে অবগত করেন।

ঘটনার পর ৬ এপ্রিল ফরিদগঞ্জ থানায় ডাঃ শেখ মোঃ মোখলেছুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এতে সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করা, হুমকি দেওয়া, গোপনে ধারণ করা ভিডিও মুছে ফেলা, অপপ্রচার চালানো এবং একজন সংবাদকর্মীর ওপর মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়।

এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, এমন প্রতারকদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ সাধারণ মানুষের বিশ্বাস নিয়ে খেলা করার সাহস না পায়।

এছাড়া অনেকে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, স্থানীয়ভাবে পরিচালিত এই ধরনের ভুয়া চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোর বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন ও নিরাপদ রাখতে।

এই ঘটনা শুধু একজন কথিত কবিরাজের মুখোশ উন্মোচনের ঘটনা নয়, বরং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা, স্বাধীন অনুসন্ধান এবং মত প্রকাশের অধিকার নিয়েও এক বড় প্রশ্ন তুলেছে। একজন পেশাদার সংবাদকর্মী যখন প্রকৃত সত্য উদঘাটনের জন্য মাঠে নামেন, তখন তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্র ও সমাজের দায়িত্ব। একই সঙ্গে সমাজে থাকা এ ধরনের প্রতারকদের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।

জগন্নাথপুর হাজী এরশাদ মিয়া উবির বার্ষিক মিলাদ ও দোয়া

মোঃ ইউসুফ বেপারী
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:২৩ অপরাহ্ণ
জগন্নাথপুর হাজী এরশাদ মিয়া উবির বার্ষিক মিলাদ ও দোয়া

হাজীগঞ্জ উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নে জগন্নাথপুর হাজী এরশাদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে সোমবার সকালে বিদ্যালয় মাঠে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

প্রথমে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ মুরর্তেজা কামাল।

‎বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য আবু তাহের মিয়ার সভাপতিত্বে সহকারী শিক্ষক নুরুল আমিন মিয়ার পরিচালনায় মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউপির চেয়ারম্যান কাজী নুরুল রহমান বেলাল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথপুর হাজী এরশাদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাবিব উল্লাহ মজুমদার, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাবেক পরিচালানা পর্সদের অভিভাবক সদস্য খালেকুজ্জামান শামীম, কাঁকৈরতলা জনতা কলেজের সহকারি অধ্যাপক কবির হোসেন, কাজী মনিরুল হক, মোজাম্মেল হক কাজল, সাবেক অভিভাবক সদস্য আব্দুল হক মোল্লা মানিক, দাতা সদস্য মোস্তফা কামাল মিয়া, অভিভাবক এনামুল হক পাটোয়ারী, সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল কাইয়ুম মজুমদার, জগন্নাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিজয় কৃষ্ণ রায়।

মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা এটি হোসাইন আহমেদ তালুকদার। অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিষয়ের উপর বক্তব্য রাখেন।

‎এসময় রাজনীতিবীদ বিল্লাল হোসেন সাহেব, সাবেক অভিভাবক সদস্য কামরুজ্জামান সেলিম ও আলী মুন্সীসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, রাজনীতিক নেতৃবৃন্দ, সামাজিক নেতৃবৃন্দ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সবশেষে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়।